চিঠি
আনিস সাহেবের কাছে প্রতি মাসে চিঠি আসছে। হলুদ খামে শীতের নরম রোদের মতো চিঠিগুলো আনিস সাহেবের মনে এক বিচিত্র সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করে। গোটা গোটা অক্ষরগুলো নানা রূপের রং ছড়ায়। চিঠির সাদা পাতায় লেখা হয় জীবনের আখ্যান। ঠিক মাসের ১ তারিখে একখানা চিঠি আসে আনিস সাহেবের ঠিকানায়। কে কোথা থেকে পাঠাচ্ছে তা কেউ জানে না। তবে সবাই জানে চিঠি আসছে; কিন্তু চিঠির প্রেরক কিংবা এর বিষয়বস্তু জানার সুযোগ কারও নেই। এ যুগে চিঠি আসার ব্যাপারটা সত্যিই অদ্ভুত! এখন তো চিঠির যুগ নেই। এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা চিঠি সম্পর্কে জানেও না। একটি হলুদ খামে একটুকরা সাদা কাগজ যে কত সুখ–দুঃখের বার্তা বহন করে, তা এ প্রজন্মের কাছে অজানা।
আনিস সাহেবের দিন কাটে নিঃসঙ্গতায়। মানুষ যত বড় হয়, তত সে নিঃসঙ্গ হয়। নিঃসঙ্গতা মানবজীবনের এক অমোঘ নিয়তি। বুড়ো মানুষের সঙ্গে কেউ কথা বলতে চায় না। তার বকবক কারও কাছে ভালো লাগে না।
একটি চিঠির জন্য বাবার কত দীর্ঘ প্রতীক্ষা, মায়ের পথ চাওয়া, প্রিয়ার ব্যাকুলতা—তা এখন আর নেই। বছরের পর বছর শুধু চিঠি পেয়েই প্রিয় মানুষের দীর্ঘ অনুপস্থিতি ভুলে থাকতেন স্বজনেরা। লন্ডন, প্যারিস, ভেনিস, জেদ্দা, কলকাতা, যশোর কিংবা পাশের গ্রাম অথবা এ–ঘর থেকে ও–ঘর। চিঠি উড়ে যেত আকাশের ঠিকানায়। একটি সময় ছিল যখন কবুতরের পায়ে বেঁধে দেওয়া হতো চিঠি। কবুতর চিঠি বয়ে নিয়ে যেত আপন ঠিকানায়। আস্তে আস্তে সৃষ্টি হয় ডাক বিভাগের। কাঁধে ঝোলা, হাতে বল্লম ও হারিকেন নিয়ে রানার ছুটে চলতেন দিনের পর দিন, রাতের পর রাত। কখনো ঘোড়ায় চড়ে, কখনো হেঁটে। আধুনিক যুগে আসেন ডাক পিয়ন। বাইসাইকেলে করে তাঁরা চিঠি নিয়ে হাজির হতেন প্রাপকের বাড়ি। সাইকেলের বেল বেজে উঠলেই চিঠিপ্রত্যাশীরা ভিড় করতেন ডাক পিয়নের পাশে। এখন ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ই–মেইলের যুগ। কথা হয় ইমো, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপে। মিটিং হয় জুম কিংবা গুগল মিটে। তাই চিঠি আজ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে দিন দিন। এখনো গুটিকয়েক যা চিঠি চালাচালি হয়, তার সবটাই অফিশিয়াল। পোস্ট অফিস এখন চিঠির পরিবর্তে ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়েই বেশি ব্যস্ত। তাই এখন আর চিঠি আসে না। কিন্তু আনিস সাহেব প্রতি মাসে চিঠি পান। কে লেখে তাঁকে এ চিঠি? আনিস সাহেবের স্ত্রী বেঁচে নেই। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলে, ছেলের বউ ও দুই নাতির সঙ্গে আনিস সাহেব থাকেন। ছেলে অফিস নিয়ে ব্যস্ত। ছেলের বউ বাচ্চাদের স্কুল ও ঘরের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ফলে আনিস সাহেবের দিন কাটে নিঃসঙ্গতায়। মানুষ যত বড় হয়, তত সে নিঃসঙ্গ হয়। নিঃসঙ্গতা মানবজীবনের এক অমোঘ নিয়তি। বুড়ো মানুষের সঙ্গে কেউ কথা বলতে চান না। তাঁর বকবক কারও কাছে ভালো লাগে না। অথচ এ মানুষটা যখন ছোট ছিলেন। যখন আধো আধো বুলিতে ভাঙা ভাঙা শব্দ উচ্চারণ করতেন, তখন সবাই কত আগ্রহ নিয়ে তাঁর কথা শুনতেন। তাঁর কথা শোনার জন্য চারপাশে ভিড় জমত; কিন্তু বুড়োদের কথা কেউ শুনতে চান না। তাঁরা একা একা কথা বলেন। ঠিক যেন নিঃসঙ্গ পাহাড়! আনিস সাহেব তাঁর এ নিঃসঙ্গ জীবনে যে কিছু চিঠি পান, এটি তাঁর ছেলেকে স্বস্তি দেয়। কে চিঠি দেন, সেটি প্রশ্ন নয়, তবে তাঁর বাবা চিঠি পান, সেটি নিয়ে তিনি ব্যস্ত থাকে—এ বিষয়টি আনিস সাহেবের ছেলে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করেন।
সেদিন হঠাৎ আনিস সাহেবের বুকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। মিলি আনিস সাহেবের ছেলের বউ। তিনি দ্রুত রাতুলকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। রাতুল অফিসে কোনোরকম বলে তাঁর বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসক দ্রুত ইসিজি করার ব্যবস্থা করেন। ইসিজিতে মেজর স্ট্রোক ধরা পড়ে। দ্রুত ওপেন হার্ট সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। অস্ত্রোপচারের জন্য পেপারে সাইন করেন রাতুল। বাঁচা–মরা আল্লাহর হাতে। চিকিৎসক ধৈর্য ধারণ করতে বলেন। অস্ত্রোপচারের মধে৵ই আনিস সাহেব শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সরি, মিস্টার রাতুল। রাতুল বোঝেন এ সরি কোনো ছোটোখাটো সরি নয়। এ সরির অর্থ তাঁর বাবা মারা গেছেন। রাতুল একবুক কষ্ট নিয়ে হাসপাতালের আলোআঁধারি একটি পথে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি জানেন, বাবার মতো তিনিও একদিন নিঃসঙ্গ হবেন। মানুষ একা আসেন, আবার একাই চলে যান। মাঝখানে কিছু মানুষের ক্ষণিক সঙ্গ তিনি উপভোগ করেন।
আনিস সাহেবের ঘরটা খালি করতে হবে। তার নাতিরা এ ঘর দখল করবে। এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। আনিস সাহেব সেই ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন মহাকালের পথে। মিলি সবকিছু পরিষ্কার করছেন। টেবিলের ড্রয়ারে অনেকগুলো চিঠি পান। যে চিঠিগুলো প্রতিমাসে তাঁর কাছে আসত। মিলি রাতুলকে চিঠিগুলো দেখান। হলুদ খামে মোড়া চিঠি। রাতুল কিছুটা কৌতূহল নিয়ে চিঠিগুলো দেখেন। তাঁর অনেক দিনের আগ্রহ ছিল বাবার কাছে কে চিঠি পাঠান তা জানার। আজ সেই কৌতূহল নিবৃত্ত করার সুযোগ তাঁর হাতে এসেছে। তিনি বান্ডিল থেকে খামগুলো খোলেন। আশ্চর্য ব্যাপার, প্রতিটি খামে আনিস সাহেবের হাতের লেখা। প্রেরক রাতুলের মা, রাতুলের দাদা, রাতুলের দাদি কিংবা আনিস সাহেবের বন্ধু। তবে কি বাবাই চিঠিগুলো লিখতেন? আবার লিখে নিজেই নিজের ঠিকানায় পোস্ট করতেন? এ এক অদ্ভুত খেলা। একধরনের পাগলামিও বটে। আসলে পৃথিবীর সব মানুষই তো পাগল। একেকজন মানুষের পাগলামির ধরন একেক রকম। প্রথমে দাদির চিঠি খোলেন রাতুল।
বাবা আনিস,
পত্রের প্রথমে আমার দোয়া নিস। আশা করি ভালো আছিস। পর সমাচার, আমি মারা গেছি অনেক দিন হলো। আমি তোর মা। মা ছাড়া এ সময়টা তোর কেমন কাটছে জানি না। তুই তো আবার মা বলতে পাগল। মাকে না দেখলে অস্থির হয়ে পড়তিস। অথচ কতদিন হয় আমি তোকে ছেড়ে চলে এসেছি। তুই এতটা সময় আমাকে ছাড়া কেমন আছিস। আমি নেই, কে তোর যত্নœনেবে। মা ছাড়া সন্তানের কষ্ট কে বুঝবে? তুই তো ছোটবেলায় ভারি দুষ্টু ছিলি। প্রজাপতির মতো এদিক–সেদিক ছোটাছুটি করতিস। আমি ভাত মেখে তোকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতাম। তুই কিছুতেই খেতে চাইতিস না। তখন কত গল্প বলে যে তোকে খাওয়াতে হতো, সেসব মনে পড়লে এখনো হাসি পায়। তুই ছোটবেলায় খুবই ডানপিটে ছিলি। সারা দিন শুধু খেলা আর খেলা। এ–পাড়া থেকে ও–পাড়া ছোটাছুটি করে বেড়াতিস। একটু সময় স্থির থাকতিস না। মাঝেমধে৵ আমার খুব রাগ হতো। ইচ্ছা করত চড় মেরে তোর সব কটি দাঁত ফেলে দিই। কিন্তু সারা দিন পর যখন অপরাধীর মতো আমার সামনে এসে দাঁড়াতিস, তখন সব রাগ পানি হয়ে যেত। এখন তুই বড় হয়েছিস, এখন তোর কত দায়িত্ব। সে চঞ্চলতা এখন আর নেই। ইচ্ছা ছিল তোর বউকে আমি সব শিখিয়ে–পড়িয়ে নেব; কিন্তু তা আর হলো না। তোর বিয়ের আগেই আমি মারা গেলাম। জানি. তুই কষ্ট পেয়েছিস; কিন্তু কী করবি। সবার মা তো আর চিরকাল বেঁচে থাকে না। তেমনি আমিও বেঁচে নেই। তবে তোর প্রতি আমার ভালোবাসা এখনো বেঁচে আছে। ভালো থাকিস বাবা। নিজের প্রতি যত্ন নিস।
ইতি
তোর মা
পরের চিঠিটা দাদার
প্রিয় আনিস,
সালাম নিবা। আশা করি খোদার ফজলে ভালো আছ। পর বার্তা, আমি মারা গেলাম বহুদিন হইল। তোমার কোনো খোঁজখবর নিতে পারি নাই। মৃত্যুর পর থেইক্কা ফেরেশতাগো কাছে নিজের জীবনের হিসাব দিতাছি। কোনো কূলকিনারা পাইতাছি না। জীবনের হিসাব বড় কঠিন কর্ম। আমি পাপী বান্দা। আমার হিসাব আরও কঠিন। হজরত ওমর (রা.) ছিলেন নবীর প্রিয়পাত্র। নবীজি বলেছেন, আমার পরে কেউ নবী হইলে সে হইত ওমর। ওমর বড় কঠিন মানুষ ছিলেন। দ্বীনের এক বিরাট খাদেম তিনি; কিন্তু তিনি যখন মারা যান, তার ১২ বছর পর এক সাহাবি স্বপ্ন দেখেন, হযরত ওমর একটি ঘর থেকে বাহির হইয়া আসতাছেন। সাহাবি তাঁকে প্রশ্ন করলেন, ওমর আপনি কোথা থেকে এলেন? জবাবে ওমর বললেন, আমি মৃত্যুর পর এইমাত্র আমার হিসাব দিয়া বাহির হইলাম। চিন্তা কর হজরত ওমরের যদি ১২ বছর লাগে, তাইলে আমার মতো পাপী মানুষের কত বছর লাগব? তোমার কাছে আমার বিশেষ কিছু চাওয়ার নাই। তবে নিয়মিত আমার আর তোমার মায়ের কবর জিয়ারত করবা। আমরা মারা গেছি। এখন আমাদের আমলনামা বন্ধ। তুমি দোয়া করলে তা আমগো আমলনামায় যোগ হইব। নিয়মিত নামাজ পইড়। নামাজ ছাড়া গতি নাই। ভালো থাইকো।
ইতি
তোমার বাবা
পরের চিঠিটা বন্ধুর।
প্রিয় বন্ধু,
পত্রের প্রথমে আমার ভালোবাসা নিবা। আশা করি ভালো আছ। পর সমাচার। তুমি আমার বাল্যবন্ধু। আমরা একই ক্লাসে পড়তাম। আমি কিছুটা বোকাসোকা ছিলাম। তুমি ছিলা কিছুটা চালাক। আমি ক্লাসে তোমারে ছাড়া কারো সঙ্গে মিশতাম না। তোমারে ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলতাম না। তুমি কোথাও গেলে পেছনে পেছনে দৌড় দিতাম। আমার একটা শখ ছিল। টিয়া পাখি পালার শখ। তোমারে আমি পাখি পালার গল্প শোনাতাম; কিন্তু আমার কোনো টিয়া পাখি ছিল না। তোমারে বলেছিলাম, ঢাকায় গেলে মামা আমারে টিয়া পাখি কিনা দেবেন। সেই পাখি নিয়া তুমি আমি কী করব সে বিষয়ে কাল্পনিক আলোচনা করতাম। তুমি মুগ্ধ হয়ে আমার আলোচনা শুনতে। মজার ব্যাপার হইল কখনোই আমার টিয়া পাখি কেনা হয়নি। তবে তোমারে নিয়া অনেক ঘুড়ি উড়াইছি। লাল, নীল, বেগুনি। নানা রঙের ঘুড়ি। আমার বাসায় একটি বিড়াল ছিল। তুমি বিড়াল পছন্দ করতে না। তবে আমার বিড়ালটাকে আদর করতে। এমন করে জীবন চলতে পারত; কিন্তু জীবনের খাতা তো আমাদের হাতে না। আমাদের খাতায় বিচ্ছেদ লেখা হইল। আমি স্কুল চেঞ্জ করলাম। আমাদের পথ আলাদা হইয়া গেল। সেই পথ আর জোড়া লাগেনি। খুব অল্প সময়ের বন্ধুত্ব ছিল আমাদের; কিন্তু স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে। তুমি কেমন আছ জানিও। ভালো থেকো।
ইতি
তোমার বন্ধু
সবুজ
পরের চিঠিটা রাতুলের মা অর্থাৎ আনিস সাহেবের স্ত্রীর।
প্রিয়তম,
কেমন আছ জানতে চাইব না, তবে ভালো আছ এই কামনা। পরসংবাদ—জানি, এক আকাশ অভিমান তোমার বুকে। সেখানে থোক থোক মেঘ। এ অভিমানের কারণ তোমাকে ছেড়ে আমার পরপারে পাড়ি জমানো। কথা ছিল তোমায় ছেড়ে কোথাও যাব না; কিন্তু কোথা থেকে কী হয়ে গেল। কী করব বল? বিধাতার ইচ্ছার ওপরে তো আর কারও হাত নেই। তাই আমায় ক্ষমা করে দিয়ো। আমি আকাশের তারা হয়ে রোজ তোমায় দেখি। নীরব রাতে আকাশে যে শুকতারাটা জ্বলজ্বল করে, ওটাই আমি। তুমি সে তারার সাথে কথা বোলো, তোমার মনের মেঘ কেটে যাবে। আমাকে তো তুমি পছন্দ করে বিয়ে করেছিলে। সেদিন ছিল বৃষ্টি। পালকির ভেতরে আমরা বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। আমি শীতে কাঁপছিলাম। তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিলে। তারপর কত বসন্ত কেটে গেল। আমাদের ঘর আলো করে রাতুল এলো। আমাদের মেয়ে ফারিহা এলো। চারদিকে খুশির ঢেউ। ছেলে–মেয়ে বড় হলো। ফারিহার বিয়ে হলো। রাতুলের ঘরে বউ এলো। ঠিক এমন সময় আমি মারা গেলাম। তুমি একা হয়ে গেলে। আমি জানি, একাকিত্ব কত কষ্টের। কিন্তু এ কষ্টকে তোমার হাসিমুখে জয় করতে হবে। তুমি ভেঙে পড়লে তোমার ছেলেমেয়েরাও ভেঙে পড়বে। নিজের প্রতি খেয়াল রেখো। ভালো থেকো।
ইতি
তোমার প্রিয়তমা
আরও অনেক চিঠি। সব চিঠি আনিস সাহেব নিজে লিখে নিজের ঠিকানায়ই পাঠিয়েছেন। সবটাই তার কল্পনা। হয়তো এসবের মধ্যে দিয়েই তিনি ভারমুক্ত হতে চেয়েছিলেন। রাতুল ভাবে, সে–ও বাবার মতো চিঠি লিখবে। তবে মৃতদের নয়, সে জীবতদের লিখবে। এ আধুণিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে হয়তো বিষয়টা সবাই পাগলামি ভাববে। হোক না পাগলামি। তবুও রাতুল লিখবে। তার মনের মাধুরী মিশিয়ে আবেগমাখা চিঠি। রাতুল খাতা–কলম নিয়ে লিখতে বসে।
*লেখক: সুলতান মাহমুদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শরীয়তপুর।
নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]