ইউরো সফরের গল্প পর্ব-৫: ইতালিতে কয়েক দিন
১৮তম দিন...
আইসল্যান্ড ছেড়ে যেতে হবে আজ। দিনটা সুন্দর। এয়ারবিএনবি থেকে মালপত্র গুছিয়ে টুকটুক করে হেঁটে হেঁটে আমরা বাসস্টেশনে গেলাম। যাওয়ার পথে সুন্দর কিছু ভবন দেখলাম, যাদের বাগানগুলোতে গাছ দেখলাম। আইসল্যান্ডে গাছপালা দেখাটা বেশ বিরল। আমাদের বাসটা রিকজাভিক ছেড়ে ঘণ্টাখানেকের মাঝে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাল। ছোট গোছানো বিমানবন্দরে আমরা সকালের নাশতা খুঁজতে খুঁজতে একটা লাইভ বেকারিতে এলাম। সব তাজা খাবার। প্রচুর দাম। তবুও খেতে হলো, কারণ ক্ষুধার্ত।
নেদারল্যান্ডসপ্রবাসী বন্ধুর বিমান আগে উড়বে, তাই সে বিদায় জানিয়ে চলে গেল, আর আমরা বিমানের জন্য অপেক্ষায়। স্বল্প খরচের ইজি-জেট আমাদের মিলানের ছোট লিনেট বিমানবন্দরে নামাবে। বেশ দূরের লম্বা পথ, যাত্রীদের বেশির ভাগ ইতালীয়। এদের পোশাকআশাক ধোপদুরস্ত। আমরা দুই বাঙালি এদের মাঝে হারিয়ে গেলাম। দুপুরে রওনা দিয়ে সন্ধ্যার দিকে মিলানে পৌঁছাল আমাদের বিমান। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়েছে। আমরা একটা এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস বাসে করে মিলান এসে এয়ারবিএনবিতে সে রাতের জন্য আশ্রয় নিলাম। শুধুই রাতে থাকব। আমাদের গন্তব্য চিংকুয়ে টেরে (Cinque Terre) বা অনিন্দ্যসুন্দর পাঁচগাঁও।
আগামীকাল সকালে আমাদের আন্তনগর ট্রেন মিলান থেকে লা স্পেজিয়া যাবে। লা স্পেজিয়া হলো চিংকুয়ে টেরের প্রবেশ দ্বার।
১৯তম দিন—
ভোরের আন্তনগর ট্রেনে করে ঘণ্টা তিনেকের মাঝে লা স্পেজিয়া এলাম। লা স্পেজিয়া থেকে চিংকুয়ে টেরেতে ঘোরাঘুরি সহজ, কারণ গ্রামগুলো পাহাড়ি আর অসময়ের পর্যটকে এসব ছোট গ্রামে আবাস পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তাই আমরা রেলস্টেশনের কাছে সুন্দর এক এয়ারবিএনবি নিলাম। এত্ত সুন্দর!
সকালে এরা সকালের নাশতার জন্য কুপন দিল। কুপন নিয়ে সামনের এক পারিবারিক রেস্তোরাঁতে সকালের মুখরোচক নাশতা করলাম। ইতালির খাবার আসলেই মজার। এখানেও বাঙালি ভাইদের আনাগোনা আছে। ইতালিতে আপনি হারাবেন না। প্রচুর দেশি ভাই এখানে শহর–নগর–গ্রামে থাকে।
নাশতা শেষে দুদিনের রেল পাস নিলাম ১০-১২ ইউরোতে। এটা দিয়ে অঞ্চলিকা ট্রেনে গ্রামগুলোতে ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরি করতে পারব দুদিন। আমরা লা স্পেজিয়া থেকে ট্রেনে রওনা দিলাম প্রথম গ্রামে, গ্রামের নাম ‘রিওম্যাজিওরি’। কি সুন্দর। সকালের স্নিগ্ধ সূর্যের আলোতে আমরা যেন বেহেশত খুঁজে পেলাম। মোলায়েম রোদে রোদকেলি করতে করতে গ্রামটাকে আবিষ্কার করতে থাকলাম। পাহাড়ি উঁচু–নিচু পথ বেয়ে ঘুরেফিরে আমরা দুপুর পার করে দিলাম, সেখানে স্থানীয় দোকানে পিৎজা থেকে শুরু করে এমন জিনিস নেই, যা খাইনি। জিলাটো বা আইসক্রিম গিলেছি গোটা তিন। আইসল্যান্ড থেকে সবকিছু কম দামি, আবহাওয়া চমৎকার। তাই আজকে হয়ে গেলাম বেপরোয়া।
সুন্দর গ্রাম ছেড়ে আমরা চলে গেলাম সবচেয়ে দূরের গ্রাম ‘মন্টেরোসো আল মারে’।
এটা আবার বিখ্যাত এ-র সৈকতের জন্য। শীতের এ সময়ে ভিড় কম, কিন্তু গরমে এখানে তিল ধারনের জায়গা পাওয়া যায় না।
আমরা এদিক–সেদিক ঘুরে, মজার সব খাবার খেয়েদেয়ে সন্ধ্যা বানিয়ে ফেললাম। ইতালির শহর–গ্রামগুলোর একধরনের মোহনীয় ব্যাপারস্যাপার আছে। সেই মায়া কাটিয়ে এবার আমাদের যাওয়ার পালা ‘ভারনাজ্জা’ নামের গ্রামে।
আমরা এসে পৌঁছালাম সন্ধ্যার পর। পর্যটকেরা ততক্ষণে হেমন্তের শীতের ঝাঁজে গ্রাম থেকে ফিরে গেছে।
কিন্তু আমরা দুদিনের সফরে এসেছি, না দেখে ফেরত যাওয়ার উপায় নেই। তাই রাতের জনহীন গ্রামে ঘুরতে ঘুরতে অল্প কিছু খোলা দোকানপাটে হানা দিলাম। মজার মজার জিলাটো হাতে এদের ছোট্ট পোতাশ্রয়ে আশ্রয় নিলাম। এখান থেকে জেলেরা মাছ ধরতে সাগরে যায়। এরা মৎস্যজীবী। আর পর্যটকেরা এদের জন্য নিয়ে এসেছে প্রাচুর্য আর সঙ্গে বিরক্তি। পর্যটকদের ভিড়ে এদের জানপ্রাণ কাহিল। এটা যেন হরিষে বিষাদ। এ মায়াবী সন্ধ্যায় গ্রামের লোকেরা পোতাশ্রয় লাগোয়া একটা গির্জার সামনে হল্লা করছে। বাচ্চারা এলোমেলো দৌড়ে বেড়াচ্ছে। এটা হলো এ গ্রামের লোকদের নিজেদের মতো করে কাটানো সময়। দিনের বেলায় নিশ্চয়ই জায়গাটা অপূর্ব লাগে। আমরাও সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে লা স্পেজিয়া ফেরার ট্রেন ধরলাম। রাতে স্পেজিয়া ঘুরতে বের হলাম। অনেক দেশি দোকানপাট আর রেস্তোরাঁ আছে। সেটার একটাতে ফিউসন খাবার খেলাম।
বেশ রাতে আবাসে ফিরে দিলাম ঘুম। আগামীকাল যেতে হবে এ পাঁচ গ্রাম থেকে সামান্য বাইরের ছোট শহর ‘পোর্টোফিনো’। সে এক অসাধারণ সুন্দর জায়গা।
সকালবেলা ট্রেনে করে পোর্টোফিনো পৌঁছালাম। কিন্তু আসল দৃষ্টিনন্দন শহরের পোতাশ্রয় দেখতে যেতে হবে শহর লাগোয়া পাহাড়ি জায়গায়। যেতে হবে লেগুনা ধরনের ট্রেইলার বাসে। টিকিট কেটে পাহাড়ি আর বাহারি রাস্তা দিয়ে হাজির হলাম সেই পোতাশ্রয়ে। আসার রাস্তাটা মনকাড়া। বর্ণনাতীত। খাড়া ঢালু সরু পাহাড়ি রাস্তাটা যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
পোতাশ্রয়টা দেখি একদম postcard perfect। আমরা কত যে ছবি তুললাম। এমনকি পাশের পাহাড় বেয়ে ওপরের প্রাসাদ অবধি গেলাম। ওপর থেকে পোতাশ্রয়টা দেখতে অপূর্ব।
এবার ফেরার পালা, আমরা আবারও সেই ছোট লেগুনা বাসে শহরে এলাম। পরের ট্রেন ধরে এলাম চিংকুয়ে টেরের অন্যতম সুন্দর গ্রাম ‘মানারোলা’–তে। প্রতিবছর লাখো পর্যটক মানারোলার গ্রাম লাগোয়া উঁচু পাহাড়ের ধার থেকে সূর্যাস্ত দেখতে আসে। সূর্যটা যখন সাগরের মাঝে ডুবতে থাকে, সেই শেষ বিকেলের লালিমার আভায় গ্রামটা হয়ে ওঠে অতিপ্রাকৃত আর সাগরটা রক্তিম আভায় এক অন্য রকম অনুভূতি এনে দেয়। এটা সেখানে না গেলে বোঝানো অসম্ভব।
আমরা সূর্য ডোবার ঘণ্টাখানেক আগে হাজির হলাম। এই শীতের সন্ধ্যায় গাদা গাদা পর্যটক তাদের ক্যামেরা মোবাইল নিয়ে প্রস্তুত লালিমায় উদ্ভাসিত গ্রামের ছবি তোলার আদর্শ মুহূর্তের অপেক্ষায়। সূর্যটা আমাদের হতচকিত করতে যে লালিমা সেদিন ছড়িয়েছিল, যা বর্ণনা করার সাধ্য আমার নেই।
মানারোলা হয়ে উঠল রক্তিম আলোতে আলোকিত আর ডুবন্ত গনগনে সূর্যটা সাগরটাকে টকটকে লাল করে ধীরে ধীরে সাগরের জলে তলিয়ে গেল। আমি কী ভাগ্যবান, এই দুই দৃশ্য দেখে ফেলার বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী হলাম। এই সুযোগে যে কতশত ছবি তুললাম, তার ইয়ত্তা নেই। সন্ধ্যার পর ট্রেনে করে সুখী সুখী চিত্তে সেদিনের মতো ফিরে এলাম লা স্পেজিয়া–তে। আজ রাতে খেলাম স্থানীয় ইতালির খাবারদাবার। খাবারের পর শহরের অলিগলিতে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবাসে ফিরলাম বেশ রাতে।
লা স্পেজিয়া ছেড়ে ভোরের ট্রেনে ফিরছি মিলানে।
কাল সারা দিন কাটাব মিলান লাগোয়া লেক কোমো বা কোমো হ্রদে।
এই হ্রদের সৌন্দর্যের কথা ভুবনবিখ্যাত।
২০তম দিন—
আন্তনগর দ্রুতি ট্রেনে সকাল সকাল মিলানে পৌঁছে আমদের মালপত্র স্টেশনের কাছে এক দেশি ভাইয়ের দোকানে জমা রেখে উঠে পড়লাম লেক কোমো যাওয়ার ট্রেনে। এত্ত ভিড়! বছরের এ সময়ে এত্ত লোক কেন আসে?
সেখানে পৌঁছে বুঝে গেলাম কেন এতো ভিড়? এত্ত সুন্দর হ্রদ! লম্বালম্বি হ্রদের নানা তীরে বেশ অনেকগুলো গ্রাম। এর মাঝে ‘বেলাজিও আর মেনাজিও’ নামের বিখ্যাত গ্রামের নাম আপনারা জানেন। এখানে ক্যাসিনো আছে আর এই নামের আমেরিকার লাস ভেগাসে বিশাল আরেকটা ক্যাসিনো আছে। আমরা কোমোর খেয়াঘাট থেকে পাবলিক ফেরিলঞ্চ নিয়ে কাছেপিঠে পর্যন্ত গিয়ে আবার ফেরত এলাম, বেলাজিওতে যাওয়া হয়নি। দ্রুতগতির এসব ফেরিলঞ্চ একদম স্পাই মুভির আমেজ এনে দেয়। জর্জ ক্লুনির বাড়িও এ হ্রদের ধারে।
আমরা লেকের বাঁধানো পাড় ধরে অনেক দূর হেঁটে বেড়ালাম আর দুপুরে গাঙচিলকে ফাঁকি দিয়ে মজার মজার ফ্লেভারের পিৎজা খেলাম নিজেরা ভাগ করে। সারা দিনে জিলাটো খেয়েছি গোটা চার।
এরপর আমাদের আরও রোমাঞ্চপ্রিয় হওয়ার বাসনা হলো। আমরা একটা পাবলিক বাসে লেকের ধার ঘেঁষে অনেকটা দূরের মিনাজ্জিওতে রওনা হলাম। বাসটা ভর্তি স্কুলের নানা বয়সী বাচ্চাকাচ্চায়। বাসটা হেলেদুলে কত্ত কসরত করতে করতে লেকের পাড় ঘেঁষে যখন মেনাজ্জিওতে পৌঁছাল, তখন সন্ধ্যা। শীতের সন্ধ্যা তাড়াতাড়ি নামে। আমরা গ্রামের এক সুগন্ধি দোকান থেকে স্থানীয় সুগন্ধি কিনলাম আর বেলাজ্জিও যাওয়ার ফেরির অপেক্ষায় প্রোমেনাদে ধরে হাঁটাহাঁটি করতে করতে রাতটা যেন আরও জাঁকিয়ে বসল। শেষে জানা গেল যে আজকে বেলাজ্জিও যাওয়ার ফেরি আর নেই, যেতে হবে ভারেন্না–তে। কী আর করা, অল্প কিছু গাড়িওয়ালা যাত্রীদের সঙ্গে প্রায় ফাঁকা ফেরিতে চড়ে ওপারের ভারেন্না নামলাম।
ঘুটঘুটে অন্ধকারে হেঁটে হেঁটে স্টেশনে এসে দেখি দুনিয়ার লোক। টিকিট ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কেটে বসে আছি তো আছিই। একে তো গ্রামের ছোট ভুতুড়ে স্টেশন, তার ওপর বেশ রাত হয়ে গেছে।
অনেক প্রতীক্ষার পর যে ট্রেন এল সেটা আবার প্ল্যাটফর্মে না দাঁড়িয়ে দুই প্ল্যাটফর্মের মাঝবরাবর দাঁড়াল। পর্যটকেরা দৌড়ে গিয়ে হ্যাঁচোড়পাঁচোড়ে ভীষণ উঁচু ট্রেনে হুড়মুড় উঠল একদম বাংলাদেশি স্টাইলে।
ভাগ্য ভালো, আমরা জায়গা পেয়েছিলাম। ট্রেনটা হেলেদুলে মিলানে এসে পৌঁছাল বেশ রাতে। দেশি ভাইয়ের দোকান থেকে মালপত্র বুঝে নিয়ে তাকে ধন্যবাদ দিয়ে আগে থেকে ঠিক করা এয়ারবিএনবি–তে হাজির হলাম। মালপত্র রেখে পরিচ্ছন্ন হয়ে এবার খাবার খাওয়ার পালা। খুঁজতে গিয়ে একটা পিৎজার দোকান পেলাম, তা–ও বাংলাদেশি; কিন্তু দামটা বেশ কড়া।
আমরা খাবার শেষে এয়ারবিএনবিতে ফিরে দিলাম ঘুম। আগামীকাল যেতে হবে অনিন্দ্য নগরী ভেনিসে।
২১তম দিন—
সকালে উঠে দ্রুত ট্রেনে হাজির হলাম ভেনিসে। মিলান থেকে যেতে ঘণ্টাতিনেক লাগে। ভেনিসে আগেও এসেছি। সেদিন আবার আকাশ ছিল মেঘলা, মাঝে মাঝে ভীষণ বাতাস। বাতাস আমাদের কাবু করার আগেই মূল ঘোরাঘুরির জায়গাগুলো সূর্য ডোবার আগেই দেখে ফেললাম ফিরতি ট্রেন ৮টার দিকে। ভেবেছিলাম হাতে থাকা সময়টা মুরানো আর বুরানো নামের দ্বীপে যাব, কিন্তু পাবলিক ফেরিলঞ্চ খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছিল। বাতাসের তোড় থেকে বাঁচতে সান্তা লুসিয়া নামের মূল রেলস্টেশনের দোতলার ফুড কোর্টে আশ্রয় নিলাম। আমার ইচ্ছা, হাতে থাকা সময়ে ট্রেনে করে পাশের ট্রিয়েস্তে এলাকায় ঢুঁ মেরে আসার, কিন্তু শীতল বাতাসে কাতর সাথি সকল তাতে বাদ সাধল।
কী আর করা, অলস সময় কাটিয়ে অবশেষে রাতের ট্রেনের সময় হলো।
আমরা বেশ রাতের দিকে মিলানে এসে পৌঁছালাম।
আমাদের ইচ্ছা ছিল রাতের আলো–আঁধারিতে মিলান ক্যাথিড্রাল দেখার, কিন্তু সে ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে ঘুমাতে গেলাম সবাই। ইতালিতে আজ শেষ রজনী, আগামীকাল সকালে যাচ্ছি তল্পিতল্পা নিয়ে সুইজারল্যান্ড। যাব হচ্ছে গথার্ড প্যানোরমিক রেল রুটে। আমরা টানেল না নিয়ে পুরোনো মিলান জুরিখ পথে যাব। আমাদের প্ল্যান হচ্ছে মিলান থেকে লেক লুজার্নের ফ্লুয়েলেনে না নেমে আর্থ গোল্ডাওয়ে নেমে সেখান থেকে রিগি বানে মাউন্ট রিগিতে তুষার দর্শন করে আবারও লেক লুজার্ন–এর তীরে ভিটযনাউ–এ নেমে সেখান থেকে লুজার্ন যাব। এরপর সুইজারল্যান্ড ঘুরেফিরে প্যারিসে ফিরব। কারণ, আমাদের ফিরতি প্লেন প্যারিস থেকেই ছাড়বে।
এত্তসব স্বপ্ন নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। ভীষণ উত্তেজনায় তো ঘুমই আসে না!
সুইজারল্যান্ড অভিযান আসবে পরের পর্বে। চলবে...
‘নাগরিক সংবাদ’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]