১.
স্বপন ভাই-সাজুরা যে জায়গায়টায় থাকেন, তার নাম ম্যানচেস্টার। কানেটিকাটের রাজধানী হার্টফোর্টের ছিমছাম একটা শহর। ‘ম্যানচেস্টার!’- নামটা শুনেই আমার ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার শহরের কথা মনে পড়ে গেল। ব্রিটেনে ম্যানচেস্টার আছে, এখানে- আমেরিকাতেও! উত্তর আমেরিকায় এই ব্যাপারটা নতুন বা ব্যতিক্রম কিছু নয়। কানাডায় ‘লন্ডন’ বলে একটা বড় শহর আছে, আবার প্যারিস নামে ছোট একটা ছিমছাম শহরও আছে। নামে নামে মিলে গেলেও প্রতিটি শহর নিজস্ব ঐতিহ্য এবং স্বাতন্ত্র্য নিয়েই বিকশিত হয়।
ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার বিশ্বের প্রথম শিল্পনগরী হিসেবে বিবেচিত হয়। উনিশ শতকে এই শহরে কটন ইন্ডাস্ট্রির বিকাশ ঘটে। এবং কটন ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরেই ম্যানচেস্টার শহর সারাবিশ্বে পরিচিতি পায়।
কানেটিকাটের ম্যানচেস্টারেরও শিল্পখ্যাতি আছে। এই শহরের পরিচিতি আবার ‘সিল্ক সিটি’ হিসেবে। হোকানুম নদীকে ঘিরে জলবিদ্যুতের পর্যাপ্ততায় বিপুলসংখ্যক টেক্সটাইল মিল গড়ে উঠেছিল এই শহরে। বিখ্যাত সিল্ক ফ্যাক্টরি ‘চেনি ব্রাদার্স মিল’ এই শহরেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
সাজু-স্বপন ভাইদের বাড়িটা পড়েছে ম্যাডিসন রোডে। ঠিক পুরোদস্তুর আবাসিক এলাকা নয়, শহর আর শহরতলীর সমন্বয়ে ভিন্ন রকমের একটা বৈশিষ্ট্য এই রোডটার। আবাসিক বাড়ি, নানা ধরনের অফিস, কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও আছে আশপাশে। কয়েকটি গ্যাস স্টেশন, রেস্টুরেন্টে আছে বাংলাদেশি মালিকানাধীন।
২.
টরন্টোর বে-স্ট্রিটের এনালিস্ট শেখ সালাহউদ্দিন বলেছিলেন, কানেটিকাটে যাচ্ছেন—ইয়েল ইউনির্ভাসিটা দেখে আসবেন অবশ্যই, খুবই ভালো লাগবে। বাংলাদেশের বিখ্যাত পরিব্রাজক অণু তারেক অবশ্য ইয়েল ইউনির্ভাসিটি সঙ্গে ন্যাচারাল মিউজিয়ামটায় যেতে বললেন। কানেটিকাটে এসে মার্ক টোয়েনের বাড়িতে না গেলে ভ্রমণটাই না কি বৃথা হয়ে যায়—এই পরামর্শতো অনেকেই দিয়েছেন। আমাদের অবস্থান এখানে পুরো দু–দিনও নয়, তাও আবার উইকএন্ড, কতটা ঘোরা যাবে জানি না, তবু পরিকল্পনা সাজাই। সবার আগে মার্ক টোয়েনের বাড়ি, তার পর ইয়েল, তারপর দেখা যাক। শুনে স্বপন ভাই আমাদের নিয়ে ছুটলেন মার্ক টোয়েনের বাড়ির দিকে।
গাড়িতে নানা কথার মধ্যেই আমেরিকার বন্দুক-রাইফেল প্রসঙ্গ আসে। ‘আমেরিকায় না কি পাড়ার কনভেনিয়েন্স স্টোরেই বন্দুক কিনতে পাওয়া যায়, যে কেউ ১৮ বছর বয়স হলেই দোকানে গিয়ে পছন্দমতো অস্ত্র কিনতে পারে!’—এমন একটা কথা প্রচলিত আছে।
আলোচনা আবার আমেরিকার বন্দুক প্রসঙ্গে ফিরে যায়। সাজু এবং স্বপন ভাই জানান—কানেটিকাটে যেকোনো ধরনের অস্ত্র কিনতে লাইসেন্স লাগে, কারা অস্ত্র কিনতে পারবেন—তার যোগ্যতাও ঠিক করা আছে। যাঁরা শর্ত পূরণ করতে পারেন, তাঁরা আবেদন করে অস্ত্র কিনতে পারেন।
—‘এখানে বন্দুকের দোকান আছে?’—সেরীন কৌতূহল প্রকাশ করে! স্বপন ভাই হাসেন, সাজু হাসে। ‘আছে তো’—দুজনেই জবাব দেন। দেখতে চাই, আমি যেতে চাই।’ সেরীনের আবদারে না বলার উপায় থাকে না। স্বপন ভাই গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলেন। আমাদের যাত্রা বন্দুকের দোকানের দিকে। কানেটিকাট মার্ক টোয়েনের মতো পৃথিবী বিখ্যাত লেখকের যেমন আবাসস্থল, তেমনি আবার ‘কল্ট’ নামে দুনিয়াখ্যাত বন্দুক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাকেন্দ্র!
আচ্ছা, লেখক মার্ক টোয়েনের কি বন্দুক ছিল! মজার ব্যাপার হচ্ছে, লেখক মার্ক টোয়েনের কল্ট পিস্তল ছিল। তিনি স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন রিভলভার ব্যবহার করতেন। কল্ট পিস্তল হাতে পোজ দেওয়া তার বেশ কিছু ছবিও আছে। মার্ক টোয়েন কেন পিস্তল রাখতেন সঙ্গে! সেটা আমার জানা নেই। নিশ্চয়ই তার কোনো বইয়ে এ নিয়ে উল্লেখ থাকতে পারে! ‘রাফিং ইট’বইটিতে এ নিয়ে কথাবার্তা আছে বলে শুনেছি। মার্ক টোয়েনের বাড়ি দেখতে যখন যাব, এই ব্যাপারে খোঁজ করতে হবে।
৩.
আসলেই কি খোলা দোকানে বন্দুক, পিস্তল এগুলো বিক্রি হয়? সেরীন আবার জানতে চায়। গেলেই দেখবে, স্বপন ভাইর নির্লিপ্ত জবাব। আমেরিকায় দোকানে বন্দুকসহ নানা ধরনের অস্ত্র বিক্রি হয়, আবার অনেক স্থানে এগুলো কেনার জন্য কোনো ধরনের লাইসেন্সও লাগে না। মার্কিন অর্থনীতিই কেবল নয়, রাজনীতিতেও এর বিপুল প্রভাব আছে। হিলারি ক্লিনটন তো তাঁর একটা বইয়ে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পেছনে ‘গান-লবিস্ট’দের প্রভাবের কথা স্পষ্ট করেই উল্লেখ করেছেন। সেবার নির্বাচনে তিনি আমেরিকায় অবাধে অস্ত্র বিক্রি, বিশেষ করে কিশোরদের হাতে অস্ত্র সহজে না যাওয়ার প্রচারণা করেছিলেন। গান লবিস্ট, অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সমিতি না কী তাকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছিল— তিনি কীভাবে বিজয়ী হন, সেটি তারা দেখবেন। বলাই বাহুল্য হিলারি সেবার ভোটে জিততে পারেননি।
আমেরিকায় অবাধে অস্ত্র কেনাবেচার সুবিধা নিয়ে কানাডার রাজনীতিতেও অস্বস্তি আছে। আমেরিকা থেকে বর্ডার পার হয়ে কানাডায় অস্ত্র চলে যায়, সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়, অপরাধ বাড়ায়—এমন একটা বক্তব্য সরকার এবং বিরোধী দল সব মহল থেকেই বলা হয়ে থাকে। অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা অভিযোগ তুলে কানাডাকে ব্যতিব্যস্ত করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। তাঁর অভিযোগ-কানাডা থেকে অবৈধ অভিবাসী আর ড্রাগ আমেরিকায় যায়।
আলোচনা আবার আমেরিকার বন্দুক প্রসঙ্গে ফিরে যায়। সাজু এবং স্বপন ভাই জানান—কানেটিকাটে যেকোনো ধরনের অস্ত্র কিনতে লাইসেন্স লাগে, কারা অস্ত্র কিনতে পারবেন—তার যোগ্যতাও ঠিক করা আছে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারেন তারা আবেদন করে অস্ত্র কিনতে পারেন।
তবে এই নিয়মটা যে আমেরিকার সর্বত্রই অনুসৃত হয়, তা কিন্তু নয়। আমেরিকার মধ্যে একমাত্র নিউইয়র্কেই অস্ত্র কেনা বেচা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। চাইলেই কেউ এখানে কোনো অস্ত্র কিনতে পারেন না। অস্ত্র বেচার আগে আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড এবং অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ খবর করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে অনেক সময় ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত লেগে যায়। কানেটিকাটে অবশ্য এতো সময় লাগে না। তবে কখনো কখনো ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়। আমেরিকায় এমনো রাজ্য আছে, যেখানে কোনো ধরনের অস্ত্র কিনতে কোনো কিছুই লাগে না। দোকানে গিয়ে নিজের একটা আইডি দেখিয়েই পছন্দের অস্ত্র কিনে বাড়ি চলে আসা যায়। অন্তত ৩৮টি রাজ্যে বন্দুক কিনতে কোনো লাইসেন্স বা অনুমোদনেরও দরকার হয় না। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে টেক্সাস, টেনিসি, জর্জিয়া, মনটানা, সাউথ ডাকোটা, নিউহ্যাম্পস্ফায়ার অন্যতম। এইসব স্থানে দোকানে গিয়ে পছন্দমতো বন্দুক, পিস্তল কেনা যায়।
দূর পরবাসে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
৪.
গাড়িটা এসে যেখানে থামলো সেখানে কোনো বন্দুকের দোকান থাকতে পারে বলে মনে হলো না। আমার অনভ্যস্ত চিন্তায় বন্দুকের দোকান মানেই তো চিপাগলিতে অন্ধকার কোনো ঘুপচি ঘর। কিন্তু আমরা যেখানে দাড়িয়ে আছি, সেটা দেখতে বিশাল এক শপিং মল।
বড় পার্কিং লটের পাশের মেপল গাছগুলোয় যেন আগুন ধরে আছে। বন্দুকের কথা ভুলে গিয়ে আমরা আগুনলাগা গাছের নিচে ফটো সেশনে মগ্ন হয়ে যাই। গাছের ছবি তুললেই হবে? আমাদের তো আরও জায়গায় যেতে হবে—সাজুর তাড়া খেয়ে দোকানটার দিকে এগুতে থাকি।
প্রবেশপথে ভারী পাথরের একটা গেটের মতো তার ওপর দুটি প্রাণীর মূর্তি। সেখানে দোকানের নাম লেখা-‘কাবিলা’। ইস্ট হার্টফোর্টের রবার্ট স্ট্রিট এবং সিলভার লেইনে এই স্টোরটি আসলে ইন্টারন্যাশনাল চেইন স্টোর। সেলফোনে গুগল ঘেঁটে সাজু জানিয়ে দেয়- কানাডায়ও এর স্টোর আছে।
কানাডায় কোথাও বন্দুকের দোকান আছে—এই তথ্য আমাদের কাছে নতুন, সত্যি বলতে কী এ নিয়ে কখনো কৌতূহলও হয়নি। কানেটিকাটে বেড়াতে এসে বন্দুকের প্রসঙ্গটি মাথায় আসে।
ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, এই কাবিলাটি বন্দুক, পিস্তলসহ নানা ধরনের অস্ত্র নিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গাজুড়ে আছে। অবিশ্বাস্য ব্যাপার! কিন্তু কোম্পানিটি নিজেরাই তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানাচ্ছে। আর সামনের স্টোরটার যে আয়তন দেখছি—তাতে অস্বীকার করারও উপায় নেই।
৫.
রাজা কিংবা জমিদারবাড়ির মতো গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই মনে হলো কোনো একটা মিউজিয়ামে ঢুকে পড়েছি। বিশাল কোনো একটা পাহাড়ে শত শত বন্য প্রাণী যেনো ছুটোছুটি করছে। প্রথমটায় যে কারও মনে হবে—এই সব জীবিত প্রাণী এখানে কীভাবে এল! প্রথম ধাক্কাটা কাটিয়ে খানিকটা থিতু হতেই বোঝা গেল—এগুলো আসলে জীবন্ত প্রাণী নয়, কিন্তু দেখতে ঠিক জীবিত প্রাণীর মতোই। মনে হচ্ছে, হেন কোনো প্রাণী নেই যা শিকারযোগ্য—এখানে রাখা হয়নি।
এই প্রাণীগুলো তৈরি হলো কীভাবে? বিভিন্ন প্রাণীর আসল চামড়া দিয়ে এই প্রাণীগুলো তৈরি করা হয়েছে বিশেষ প্রক্রিয়ায়, যেগুলো দেখতে প্রথমটায় জীবিত প্রাণী বলে ভ্রম হয়! আর প্রাণীগুলো এমনভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে যেন কোনো ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম। এই পাহাড়টার ভেতরেই তৈরি করা হয়েছে অ্যাকুয়ারিয়াম, টানেল এমন কি জলপ্রপাতও। অ্যাকুয়ারিয়ামে অবশ্য জীবন্ত মাছই আছে!
মাছ, প্রাণী দেখতে দেখতে বেশ খানিকটা সময় কেটে গেল। ‘কৃত্রিম পাহাড়ে দেখতে প্রায় জীবিত প্রাণীগুলোর ডিসপ্লেতে শিকারের একটা উসকানি আছে অস্বীকার করা উপায় নেই কিন্তু নান্দনিক এমন একটা পরিবেশ পেরিয়ে কারও আর অস্ত্র কেনার আগ্রহ বা মানসিকতা থাকে কী না—সেটা নিয়ে নিজের মনেই সংশয় তৈরি হয়। কাবিলা কর্তৃপক্ষ অন্তত কানেটিকাটের স্টোরটি পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্য নিয়েই এটিকে এমনভোবে সাজিয়েছেন যে ‘কাবিলা’ আসলে একটি ট্যুরিস্টদের আকর্ষণের জায়গায় পরিণত হয়েছে। কাবিলায় ঢুকে দৃষ্টিনন্দন এইসব প্রাণী বৈচিত্র্য আর প্রকৃতি দেখতে অবলীলায় কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। বন্দুকের বাইরেও নানা পণ্যসামগ্রী স্টোরটায় আছে। ফলে ট্যুরিস্ট বেশি সময় সেখানে কাটালে তাদের লাভের সম্ভাবনাই বেশি।
বন্দুক বেচার মূল জায়গাটা আসলে দোতলায়। সিঁড়ি বেয়ে উঠার পথেও আছে নানা রকম প্রাণীর ম্যূরাল, দেয়ালে দেয়ালে নানা রকম পোট্রেট। দোতলার পাশাপাশি তিনটি রুমের একটি রুমে কাঁচের ভেতর সারি সারি সাজানো আছে নানা রকমের অস্ত্র। লং গান,শর্ট গান, পিস্তল আরও কত কী! সবগুলো তো নামও জানি না। পাশের একটি রুম কানেটিকাট রিভারভ্যালি ওয়াইল্ড লাইফ মিউজিয়াম, আরেকটি গান লাইব্রেরি। তার পাশে আরেকটা জায়গা শুটিং লাইব্রেরি। গান লাইব্রেরিটাতে নানা রকমের অসংখ্য বন্দুক, পিস্তল সাজিয়ে রাখা আছে। আর স্টোরটার পেছনে বড় আয়তনের মিউজিয়ামের মতো আছে। সেখানে কানেটিকাটের নানা রকম বন্য প্রাণী প্রদর্শনের ব্যবস্থা আছে।
আমরা হেঁটে হেঁটে নানা রকম বন্দুক দেখি। সবগুলোই দেয়ালে কাঁচের ভেতর আটকে রাখা। ফলে চাইলেই যেকেউ হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করতে পারে না। তবে যারা কিনতে আসেন—তারা হাতে নিয়ে দেখে বুঝেই কিনেন। বেশ কয়েকজন ক্লায়েন্টকেই দেখলাম- বন্দুক হাতে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। একবার ইচ্ছে হয়েছিল ক্রেতা সেজে একটা বন্দুক হাতে নিয়ে ছবি তুলি। কিন্তু আমেরিকার বর্তমান অবস্থা আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতিগতির কথা মনে হতেই সেই ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে কাবিলাকে বিদায় জানালাম।
আমাদের পরবর্তী গন্তব্য মার্ক টোয়েনের বাড়ি। ভূপেন হাজারীকার বিখ্যাত একটা গান আছে—‘মার্ক টোয়েনের সমাধিতে বসে গোর্কির কথা বলেছি‘। মার্ক টোয়েনের বাড়িতে বসে আমরা কার কথা ভাবব! চলবে...