বিশ্ব পর্যটন দিবস ও আমরা
১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ২৭ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশও যথাযত মর্যাদায় প্রতিবছর এই দিবস পালন করে আসছে। এই তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছিল; কারণ, ১৯৭০ সালে UNWTO (United Nation Tourism Organization)-এর দ্বারা লিখিত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। এই লিখিত প্রস্তাবকে বিশ্বব্যাপী পর্যটনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্বব্যাপী সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মূল্যবোধকে কীভাবে প্রভাবিত করে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখা যায়, সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
নাইজেরিয়ার নাগরিক প্রয়াত ইগনাশিয়াস আমাদুয়া প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে পালনের ধারণাটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি তাঁর অবদানের জন্য স্বীকৃতি পান।
এই দিবস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্র করে পর্যটনের সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে এবং পরিবেশ ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে সুরক্ষিত রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে উৎসাহিত করে।
বিশ্ব পর্যটন দিবসের গুরুত্ব
টেকসই পর্যটনের গুরুত্ব: পরিবেশগতভাবে সচেতন ভ্রমণ এবং স্থানীয় অর্থনীতি ও সম্প্রদায়ের ক্ষতি হ্রাস করে টেকসই সুবিধা তৈরি করা।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন: পর্যটন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী করে এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করে দেশের বেকার সমস্যা দূর করে আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ: পর্যটনের মাধ্যমে দেশ ও অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পর্যটন খাত ঝুঁকির মুখে পড়ছে, তাই এই খাতকে নিরাপদ ও উন্নত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি এবং এটা রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।