জিবুতি ভ্রমণ: আফ্রিকার বুকে ছোট ফ্রান্সের অনুভূতি
২০২৩ সালে আরবামিঞ্ছ টেক্সটাইল শেয়ার কোম্পানির সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে আমি জিবুতিতে যাওয়ার সুযোগ পাই। ব্যবসায়িক সফরটি আমার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, এটি শুধু আমাদের কোম্পানির উদ্যোগ নয়, বরং ইথিওপিয়ান সরকার এবং জিবুতিতে অবস্থিত ইথিওপিয়ান দূতাবাসের ব্যবস্থাপনাতে ছিল। তাই এই ব্যবসায়িক সফর ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ইথিওপিয়া থেকে দুটি কোম্পানি এই সফরে অংশগ্রহণ করে। একটি হলো, আরবামিঞ্ছ টেক্সটাইল শেয়ার কোম্পানি এবং অপরটি হলো চীনের হু জান ইন্টারন্যাশনাল। দুটি কোম্পানি মূলত সামরিক পোশাক সরবরাহে কাজ করে। আরবামিঞ্ছ টেক্সটাইল পোশাক ও হু জান ইন্টারন্যাশনাল জুতা সরবরাহ করে সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মের জন্য।
জিবুতিতে অবস্থিত ইথিওপিয়ান অ্যাম্বাসির হলরুমে এ ট্রেড শোর আয়োজন করা হয়, যেখানে জিবুতির সরকারি ও সামরিক বাহিনী কর্তৃক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং সম্মানিত ইথিওপিয়ান রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় ছিল একজন বাংলাদেশি হিসেবে। আমরা আমাদের পণ্য বিশেষ অতিথিদের সামনে তুলে ধরি এবং দুই দেশের মধ্যে সামরিক পোশাক রপ্তানির বিষয়ে ব্যবসায়িক আলোচনা করি।
জিবুতি ট্রেড শো
আমি এবং আমার সহকর্মী আন্ডু আলাম ট্রেড শোতে অংশগ্রহণের জন্য এ বছরের ২৭ এপ্রিলে জিবুতির উদ্দেশে যাত্রা করি। আদ্দিস থেকে এক ঘণ্টার একটি ফ্লাইট ছিল। জিবুতিতে পৌঁছানোর পর ইথিওপিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধি আমাদের অভ্যর্থনা জানান। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া তারা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে আমাদের জিবুতিতে অবস্থিত ইথিওপিয়ান দূতাবাসে নিয়ে যান, যেখানে রাষ্ট্রদূতের প্রধান সহকারী হায়দার আমাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানান। হায়দার অত্যন্ত সদয় এবং সহায়ক ব্যক্তি, আমি তাঁর কথা সারা জীবন মনে রাখব। তিনি আমাদের জিবুতিতে অবস্থানকালে প্রতিটি বিষয়ে সহায়তা করেছেন।
আমাদের সামরিক পোশাক প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুর ব্যবস্থা করেন। আমরা সবকিছু গুছিয়ে রাতে হোটেলে ফিরে যাই। দূতাবাস আমাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে তিন দিনের জন্য। পরদিন ট্রেড শো সকাল ১০টায় শুরু হয়। সকাল ৯টায় রাষ্ট্রদূত বোরহান সেগায়ে তাঁর কার্যালয়ে এসে আমাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এরপর সকাল ১০টায় সব অতিথি ও জিবুতির সামরিক বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত হন এবং আমরা আমাদের সামরিক বাহিনীর ইউনিফর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরি। তাঁরা আমাদের প্রচেষ্টায় খুব খুশি হন।
রাতে সামরিক বাহিনীর দুজন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন এবং ব্যবসায়িক আলোচনা করেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাজনক ছিল। ট্রেড শো শেষ হলে দূতাবাসের প্রতিনিধি আমাদের জিবুতি শহর ও এর দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখান। এটি সত্যিই একটি অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল।
জিবুতি দেশ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা
জিবুতি আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি ছোট্ট দেশ। এটি একটি সমুদ্রতটীয় দেশ, যা অবস্থিত অযোদ্ধা প্রণালি (Gulf of Aden) এবং লোহিত সাগরের মধ্যবর্তী স্থানে। দেশটির সীমান্ত ইথিওপিয়া, সোমালিয়া এবং এর প্রত্যক্ষ প্রতিবেশী হিসেবে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে এয়েরা (Afar) অঞ্চল। রাজধানী শহর হলো জিবুতি। এটি দেশের প্রধান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
জিবুতি ভূমি ও সাগর উভয়ের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এর ভূগোল অত্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক। এটি একটি মরুভূমি এলাকা, যার বেশির ভাগ এলাকায় খরা ও উষ্ণ আবহাওয়া থাকে। আয়তন অনুসারে এটি আফ্রিকার ৪৬তম দেশ এবং বিশ্বের ১৪৭তম বৃহত্তম দেশ, এর মোট আয়তন ২৩ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার (৯ হাজার বর্গমাইল), এর মধ্যে ২৩ হাজার ১৮০ বর্গকিলোমিটার (৮ হাজার ৯৫০ বর্গমাইল) ভূমি এবং ২০ বর্গকিলোমিটার (৭ দশমিক ৭ বর্গমাইল) পানি।
অর্থনীতি: দেশের অর্থনীতি মূলত বন্দরের কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীল। জিবুতি বন্দরের মাধ্যমে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালিত হয়। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও লজিস্টিক সার্ভিসগুলো দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জিবুটিয়ান ফ্রাঙ্ক (ডিজেএফ) হলো জিবুতির সরকারি মুদ্রা।
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য: জিবুতির জনসংখ্যা বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মিশ্রণে গঠিত, যার মধ্যে সোমালি, আফার এবং আরব জাতি উল্লেখযোগ্য। দেশটির অফিশিয়াল ভাষা ফ্র্যাঞ্চ এবং আরবি হলেও সোমালীয় ভাষাও প্রচলিত এবং প্রচুর মানুষের দ্বিতীয় ভাষা।
একটি মজার বিষয় হলো, জিবুতিতে প্রায় সবাই ফ্র্যাঞ্চ ভাষায় কথা বলতে সক্ষম। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং সরকারি কার্যক্রমে ফ্র্যাঞ্চ ভাষার প্রাধান্য থাকায় আপনি সেখানে গেলে আফ্রিকার বুকে একটি ছোট ফ্রান্সের অনুভূতি পাবেন। জিবুতির সংস্কৃতি এবং সমাজে ফ্র্যাঞ্চ ভাষার প্রভাব অনেকটাই দৃশ্যমান। দেশটির শহরগুলোতে ফ্র্যাঞ্চ কফি শপ, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দেখতে পাবেন, যা দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে বাড়িয়ে তোলে।
সুতরাং, জিবুতি সত্যিই একটি অনন্য স্থান, যেখানে আফ্রিকীয় সংস্কৃতি এবং ফ্র্যাঞ্চ ভাষার মিশ্রণে একটি বিশেষ পরিচিতি গড়ে উঠেছে।
রাজনীতি: জিবুতি একটি প্রজাতন্ত্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাহী এবং সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন।
পুনরুত্থানকারী সম্পর্ক: জিবুতি কূটনৈতিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আন্তর্জাতিক সামরিক ঘাঁটির জন্য কৌশলগত স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি আছে।
জলবায়ু: জিবুতির জলবায়ু গরম ও শুষ্ক। মৌসুমি বৃষ্টিপাত খুবই সীমিত এবং সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঘটে।
জিবুতির দর্শনীও স্থান ভ্রমণ ও পর্যটন—
জিবুতি একটি ছোট দেশ হলেও এখানে দর্শনীয় স্থান ও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ভূদৃশ্য রয়েছে। দেশের অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়। নিচে জিবুতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান উল্লেখ করা হলো
১. লেক আসাল
লেক আসাল সত্যিই একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য। এটি জিবুতির মধ্যে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫৩ মিটার (৫০২ ফুট) নিচে অবস্থিত, যা এটিকে পৃথিবীর নিচের সর্বনিম্ন স্থল করে তোলে। এই হ্রদের লবণাক্ততা খুবই উচ্চ, যা এটিকে পৃথিবীর অন্যতম লবণাক্ত হ্রদ হিসেবে চিহ্নিত করে। লেক আসাল তার আশপাশের প্রকৃতির জন্যও বিখ্যাত। এখানে চমৎকার সান্দ্র জল, সাদা লবণের মেঝে এবং পাহাড়ের পাদদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে পড়ে। স্থানীয় জনগণ লবণের জন্য নদী থেকে লবণ সংগ্রহ করেন, যা তাঁদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উপায়।
স্থানটি পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয়, যাঁরা প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে মিশে থাকতে চান। লেক আসাল শুধু একটি ভ্রমণস্থলই নয়; বরং এটি একটি বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রও যেখানে ভৌত ও পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা হয়।
২. মুহারল্লো (Moucha Island)
মুহারল্লো দ্বীপটি জিবুতির মূল উপকূলের নিকটবর্তী গভীর নীল জল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আচ্ছাদিত একটি মনোরম স্থান। এটি পর্যটকদের জন্য এক স্বপ্নময় গন্তব্য, যেখানে শান্ত পরিবেশ ও সুন্দর প্রাকৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এখানে স্নরকেলিং এবং ডাইভিং করার সুযোগ রয়েছে, যা পানির নিচের breathtaking জীববৈচিত্র্য উপভোগ করার জন্য এক চমৎকার অভিজ্ঞতা। মুহারল্লো দ্বীপের জল নির্মল, উষ্ণ এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের রঙিন মাছ, প্রবাল ও অন্যান্য জলজ প্রাণী দেখা যায়, যা ডুবন্ত জগৎকে আরও ব্যতিক্রমী করে তোলে।
দ্বীপটিতে সৈকতও রয়েছে, যেখানে পর্যটকেরা সূর্যস্নান করতে পারেন বা সমুদ্রের তীরে বসে বিশ্রাম নিতে পারেন। মুহারল্লো দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশ এটি একটি আদর্শ স্থান করে তুলেছে সৃজনশীলতা ও প্রশান্তির জন্য। স্থানীয় সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা, মৎস্যজীবীদের জীবনযাপন এবং দ্বীপের একান্ত সৌন্দর্য প্রদর্শিত হয়, যা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি অনন্য স্মৃতি তৈরি করে।
৩. সাকা শহর (Djibouti City)
জিবুতির রাজধানী, সাকা শহর, আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মিশ্রণ। শহরের ঐতিহাসিক স্থানগুলো, যেমন কাসার কোনোার (Kasar Kone) এবং নানা ধরনের বাজার, পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
৪. লামো (Lake Abbe)
লামো সত্যিই একটি অত্যন্ত মোহময় স্থান। এই লেক জিবুতির সীমান্তে অবস্থিত এবং এর আশপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও জীববৈচিত্র্য সত্যিই দর্শনীয়। লামো জলাভূমিতে লবণশিলাগুলো formation খুবই বিশেষ, যা লেকটির আকর্ষণকে বাড়িয়ে তোলে। সূর্যাস্তের সময় লেকের জল এবং আকাশের রঙের পরিবর্তন এক চমৎকার দৃশ্য তৈরি করে, যা ভ্রমণকারীদের মনোমুগ্ধ করে। এ ছাড়া এখানে বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী এবং পাখির দেখা মেলে, যা স্থানটিকে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য করে তোলে। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার বা ফটোগ্রাফির জন্য খোঁজেন, তাঁদের জন্য লামো একজন স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
৫. রোকবলেন বর (Ras Bir)
রোকবলেন বর জিবুতির সবচেয়ে উত্তরের স্থান এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত। এই স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অনন্য দৃশ্যায়ণ সত্যিই অভূতপূর্ব।
এখানে দর্শকেরা উষ্ণ রোদে জ্বলন্ত ব্ল্যাকলাইটসের মাধ্যমে প্রকৃতির এক অতীন্দ্রিয় রূপ দেখতে পান। প্রকৃতির এই অসাধারণ রং এবং সূর্যাস্তের সময় আকাশের অসাধারণ রং মিলিত হয়ে একটি জাদুকরি চিত্র তৈরি করে, যা যেকোনো দর্শকের মনকে হরণ করে।
রোকবলেন বর প্রকৃতিপ্রেমী ও ফটোগ্রাফারদের জন্য একটি আদর্শ স্থান, যেখানে তাঁরা সত্যিকার অর্থেই জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে পারবেন। এ ছাড়া এখানে বায়ু, জল ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের হালকা পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ করা একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা।
৬. টি শিক্ষক (Tadjoura) ও গোবল (Gobal)
টি শিক্ষক শহর জিবুতির প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে একটি। এটি প্রাকৃতিক দৃষ্টির জন্য বিখ্যাত এবং এর নীল সমুদ্রসৈকত এবং পাহাড়ি দৃশ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
গোবল সমুদ্রতটের কাছে একটি স্থান, যেখানে দর্শকেরা স্থানীয় পশুপালন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। এটি একটি আবহাওয়া পরিবর্তনশীল স্থান, যেখানে বছরের বিভিন্ন সময় স্থানীয় ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়।
৮. আর্ট মিউজিয়াম (Djibouti Art Museum)
জিবুতির স্থাপত্য এবং শিল্পের সংমিশ্রণ, এখানকার আর্ট মিউজিয়ামে স্থানীয় শিল্পীদের কাজ প্রদর্শিত হয়। এটি সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি গভীর অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
পর্যটকেরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন—
স্নরকেলিং এবং ডাইভিং: জলজ প্রাণী এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য উপভোগ করার জন্য অসাধারণ সুযোগ।
সংস্কৃতি: স্থানীয় জনগণের আচার-আচরণ এবং খাদ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: পাহাড়, সমুদ্র ও লেকের প্রাকৃতিক দৃশ্য।
জিবুতি একটি আলাদা ও বৈচিত্র্যময় পর্যটন গন্তব্য, যেখানে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের মেলবন্ধন ঘটে।