উচ্চমাধ্যমিকে ফলাফল বিপর্যয়: পর্দার আড়ালের কিছু কারণ ও সুপারিশ
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মোট পরীক্ষার্থীর ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ পাস করেছেন। এই হার অনুযায়ী, মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন, অর্থাৎ ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ৬৯ হাজার ৯৭। এত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার ঘটনা সংশ্লিষ্ট মহলে নানা ধরনের জিজ্ঞাসা ও আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
এ প্রসঙ্গে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই ফলাফল শিক্ষার্থীদের নিজস্ব প্রস্তুতি ও পরীক্ষার খাতায় প্রদত্ত উত্তরগুলোর ওপর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছে। মূল্যায়নপ্রক্রিয়া শেষে শিক্ষার্থীরা খাতায় যা লিখেছে, তার ভিত্তিতেই এই সামগ্রিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে যে উদ্বেগ ও আলোচনা তৈরি হয়েছে, তা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার গভীরে থাকা এক উদ্বেগজনক বাস্তবতা সামনে এনেছে। অনেকেই ফলাফলের এই অবনতির জন্য প্রচলিত কিছু কারণকে দায়ী করছেন। কিন্তু পর্দার আড়ালে এমন কিছু সত্য লুকিয়ে আছে, যা আমাদের ধারণার চেয়েও গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
এই লেখায় আমরা সেইসব সাধারণ ব্যাখ্যার বাইরে গিয়ে কিছু মূল কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করব। এই কারণগুলো আমাদের বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষা ও সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। চলুন, ফলাফল বিপর্যয়ের পেছনের সেই কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক।
এই ফলাফল খারাপ নয়, বরং বাস্তব
প্রথমেই যে বিষয়টি বুঝতে হবে তা হলো, এবারের ফলাফলকে ‘খারাপ’ বলার চেয়ে ‘বাস্তব’ বলাই বেশি যৌক্তিক। মূল্যায়নে কঠোরতা আনার ফলে এবার পরীক্ষায় নকলের সুযোগ প্রায় ছিল না বললেই চলে। এর অনিবার্য পরিণতি হলো, যাঁরা সত্যিকার অর্থেই পড়াশোনা করেছেন ও মেধাবী, কেবল তাঁরাই উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন। অতীতে অনেকেই হয়তো নকলের ওপর নির্ভর করে পাস করতেন, কিন্তু এবার সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেধার প্রকৃত চিত্রটিই ফুটে উঠেছে। কঠোরভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষকদের প্রচেষ্টা এখানে প্রশংসার যোগ্য; কারণ, এর মাধ্যমেই মেধার এই বাস্তবিক চিত্রটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য এটি একটি ইতিবাচক এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
মোবাইল গেমসে আসক্ত
মোবাইল গেমসে আসক্তি আধুনিক যুগের একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্যও বিঘ্নœহয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আসক্তি শুধু সময়ের অপচয়ই ঘটায় না, বরং শিক্ষার্থীর মনোযোগ ও মানসিক সক্ষমতাকেও দুর্বল করে তোলে। গেমসের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগের কারণে পাঠ্যবইয়ের প্রতি একটি অনীহা তৈরি হয়। গেমিংয়ের নেশা শিক্ষার্থীদের ঘুম ও খাদ্যের নিয়মিত রুটিনকে বিঘ্নিত করে, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁদের পড়াশোনার ফলাফলকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।
অনলাইন মিডিয়ায় আসক্ত
অনলাইন মিডিয়ায় আসক্তি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, শিক্ষার্থীদের একটি ভার্চ্যুয়াল জগতে আটকে রাখছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো তাঁদের অগণিত কর্মঘণ্টা শোষণ করে নেয়, যা সরাসরি পাঠ্যসূচি সম্পন্ন করা ও গভীর অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময়কে সংকুচিত করে। এ ছাড়া অনলাইনে উপস্থিত অগভীর ও বিচ্ছিন্ন তথ্যের প্রবাহ শিক্ষার্থীদের গভীর চিন্তা ও ধারাবাহিক জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে।
রাজনৈতিক আধিপত্য
রাজনৈতিক আধিপত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সুশীল পরিবেশকে ব্যাহত করার একটি মূল সমস্যা। প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব অনেক সময় শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে ফেলে। এর ফলে মূল্যায়নপ্রক্রিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ ঘটে, যেখানে প্রকৃত মেধার কদর না হয়ে রাজনৈতিক পরিচয় ও ছত্রচ্ছায়া প্রাধান্য পায়। এমন একটি পরিবেশে মেধাবী শিক্ষার্থীরা হতাশাগ্রস্ত হন এবং তাঁদের মেধার পূর্ণ বিকাশের সুযোগ কমে আসে। অন্যদিকে কিছু শিক্ষার্থী রাজনৈতিক ইন্ধনে নিয়ম ও শৃঙ্খলা উপেক্ষা করে চলার মনোভাব তৈরি করেন, যা তাঁদের শিক্ষাজীবনে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রতিযোগিতানির্ভর পড়াশোনা না করা
এইচএসসি স্তরের ফলাফলে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের অভাব একটি মারাত্মক অন্তরায় সৃষ্টি করে। এই স্তরে কেবল পাঠ্যবই গৎবাঁধা উপায়ে মুখস্থ করলেই চলে না, বরং বিষয়বস্তুর গভীরে প্রবেশ করে তা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে হয় এবং নানা ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান করতে হয়। প্রতিযোগিতার মনোভাব না থাকলে শিক্ষার্থীরা কেবল পাস করার ন্যূনতম লক্ষ্যকে সামনে রেখে পড়াশোনা করেন, যার ফলে তাঁদের জ্ঞানার্জন অগভীর ও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। পরীক্ষায় একটু ভিন্ন ধাঁচের বা প্রয়োগমূলক প্রশ্ন এলেই তাঁরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন এবং সঠিক উত্তর দিতে পারেন না। এ ধরনের অগভীর পড়াশোনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও বিশ্লেষণী দক্ষতার বিকাশকেও পুরোপুরি বাধাগ্রস্ত করে।
পারিবারিক অসচ্ছলতা ও বৈবাহিক কারণে পিছিয়ে পড়া
পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে পিছিয়ে পড়া একটি মর্মান্তিক ও গভীর সামাজিক সমস্যা। অর্থনৈতিক দুরবস্থা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের প্রাপ্যতাকে সীমিত করে দেয়। প্রয়োজনীয় বই, গাইড বা ইন্টারনেট সংযোগের মতো মৌলিক জিনিসপত্রের অভাব তাঁকে একাডেমিকভাবে পিছিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি আয়ের জন্য খণ্ডকালীন কাজ করতে হয় অথবা পরিবারের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়, যা তাঁর পড়াশোনার জন্য বরাদ্দকৃত সময়কে কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া আর্থিক চাপ তাঁর মানসিক শান্তিকে বিঘ্নিত করে, ফলে শিক্ষার্থী নির্ভারভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন না।
শর্টকাট মানসিকতা
এই ‘শর্টকাট মানসিকতা’ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে বর্তমান প্রজন্মের একটি অংশ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য থেকে কতটা সরে গেছে। এটি কেবল একাডেমিক ব্যর্থতা নয়, বরং একটি প্রজন্মের মধ্যে পরিশ্রমবিমুখতা ও নৈতিক আপসের এক অশনিসংকেত, যা ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মফস্সল অঞ্চলের কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এইচএসসি ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে গভীর গবেষণা পরিচালনার অপরিহার্য সময় এসেছে। যদিও মূল্যায়নকারী কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে খাতা মূল্যায়ন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু সমস্যার মূলে রয়েছে বহুমুখী কারণ। মফস্সল অঞ্চলের কলেজগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি, ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দুর্বল ফলাফলও ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে।
শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন-ভাতা ও মর্যাদা
এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্বার্থও একটি প্রাসঙ্গিক ইস্যু; তাঁদের সম্মানজনক বেতন-ভাতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য প্রায়ই তাঁদের আন্দোলনে মুখর হতে দেখা যায়। তাই কেবল একটি নয়, বরং সমস্যার সব দিকই এখন সামগ্রিকভাবে বিশ্লেষণের দাবি রাখে। ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে না পারার ঘটনা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। এ প্রসঙ্গে একটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়: শিক্ষার্থীদেরই–বা দোষ কতটুকু? তাঁদের এই ব্যর্থতার পেছনে ব্যবস্থাপনার কোন স্তরে ঘাটতি বা গলদ রয়ে গেছে, তা সন্ধান করা জরুরি।
প্রদত্ত সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করে নিম্নলিখিত প্রস্তাব বিবেচেনা করা যেতে পারে—
১. শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক পড়ার পরিবর্তে গভীরভাবে বুঝে শেখার ওপর জোর দেওয়া;
২. কার্যকরী ও যুক্তিভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, যা প্রকৃত জ্ঞান যাচাই করবে;
৩. কঠোর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার ধারা অব্যাহত রাখা;
৪. অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও বাড়িতে সন্তানের ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়সীমা ও তদারকি করা;
৫. স্কুল-কলেজে ডিজিটাল লিটারেসি ও সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু;
৬. শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা, যাতে প্রযুক্তির বাইরেও বিকাশের সুযোগ পায়;
৭. পাঠ্যসূচিকে আরও আকর্ষণীয় ও জীবনমুখী করা;
৮. সব কলেজের সিলেবাস এবং শিক্ষাক্রম প্ল্যান অনলাইনে থাকতে হবে;
৯. ব্যবহারিক ও প্রয়োগভিত্তিক শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব;
১০. শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে স্কুল-কলেজে লাইব্রেরি ও পড়ার ক্লাব সক্রিয় করতে হবে;
১১. শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের জন্য একটি সময়বদ্ধ ও স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে;
১২. শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন–ভাতার ব্যবস্থা করা;
১৩. আপাতত খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে হলেও শিখন–ঘাটতি পূরণ করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই ক্লাস মিস করা যাবে না;
১৪. পরীক্ষাপদ্ধতির কিছুটা পরিবর্তন দরকার, যেমন প্রথম বর্ষেও দ্বিতীয় বর্ষের মতো ফাইনাল বা বোর্ড পরীক্ষা নিতে হবে যেমন ডিগ্রি বা অনার্সে নেওয়া হয়। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেও চালু আছে। এতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্যের হার কমবে;
১৫. ইংরেজি ও আইসিটির মতো বিষয়ে পাসের হার কমে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী অতিরিক্ত ক্লাস, শিক্ষক প্রশিক্ষণ বা নতুন শিখনকৌশল গ্রহণ করতে হবে। ইংরেজিতে শুধু লিখিত নয়, মৌখিক পরীক্ষা যা প্র্যাকটিক্যাল হবে যেমন স্পিকিং টেস্ট ২৫ মার্ক, (যেমন ডায়ালগ, স্টোরি টেলিং, ফোনেটিকস, কনভারসেশন) এমসিকিউ ২৫, মোট ৫০ নম্বর থাকলে পাসের হার আরও ২০ শতাংশ বাড়তে পারে। আমার মতে আইসিটি বিষয়টি সবার কমন থাকবে, কিন্তু পাস অপশনাল থাকবে। আমার মতে আইসিটি বিষয়টি সবার কমন থাকবে, কিন্তু পাস অপশনাল থাকবে, অর্থাৎ পাস করলে নম্বর যোগ হবে, কিন্তু ফেল করলে নম্বর যোগ হবে না, তাহলে পাসের হার কমপক্ষে আরও ২০ শতাংশ বাড়তে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, এই পরিস্থিতি এক দিনে তৈরি হয়নি। এটি একটি দুষ্টচক্রের ফল। পরিবারের শৈথিল্য সন্তানের হাতে মোবাইল তুলে দিয়ে আসক্তির পথ খুলে দেয়। এই আসক্তি পড়াশোনার আগ্রহ ও মনোযোগ কেড়ে নিয়ে শর্টকাট মানসিকতার জন্ম দেয়। পরিশেষে, যখন নকলের সুযোগ বন্ধ করে কঠোর মূল্যায়ন করা হয়, তখন এই সম্মিলিত ব্যর্থতার বাস্তব চিত্রটিই আমাদের সামনে প্রকাশ পায়। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন, চরিত্র গঠন ও দক্ষতা বিকাশ; কোনোভাবেই শুধু একটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা নয়। তাই শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও নীতিনির্ধারক সবারই উচিত এই ধ্বংসাত্মক চর্চার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এই দায়বদ্ধতা শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। বরং শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, শিক্ষক সম্প্রদায় ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই অবস্থার জন্য কমবেশি দায়ী। তাই সার্বিক সমাধানের লক্ষ্যে সব স্তরের দায়িত্বশীলদের সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এই প্রজন্মকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব কার? কেবল পরিবার, নাকি সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থারও?
*লেখক: ফয়সাল হাবিব, প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাঞ্ছারামপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ
নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]