দুর্দান্ত দর্শনীয় স্থান নন্দী হিলস

নন্দী হিলসছবি: লেখকের পাঠানো

নন্দী পাহাড় বা নন্দী দুর্গ, দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি পাহাড়ি দুর্গ। টিপু সুলতান ফোর্ট, ১৮ শতকের শাসকের গ্রীষ্মকালীন পশ্চাদপসরণ, পাথরে খোদাই এবং দেয়ালচিত্রগুলো বৈশিষ্ট্যযুক্ত। বন্দীদের টিপুস ড্রপ থেকে তাদের মৃত্যুর জন্য নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যা এখন এর প্যানোরামিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। স্থানীয় হিন্দু মন্দিরগুলোর মধ্যে রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় যোগ নন্দীশ্বরা মন্দির, একটি ষাঁড়ের (নন্দী) বিশাল মূর্তি দ্বারা সুরক্ষিত। নন্দী পাহাড়, নন্দীদুর্গা বা নন্দীবেত্তা নামেও পরিচিত একটি প্রাচীন পার্বত্য দুর্গ কর্ণাটকের চিক্কাবল্লাপুর নামে একটি জেলায় অবস্থিত।

বেঙ্গালুরু থেকে এক দিনের মধ্যে গিয়েই ফিরে আসা যায়, এমন জায়গাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো নন্দী হিলস। যত দূর চোখ যাবে ধু ধু করবে পাহাড়ের চূড়া। বাইকে বেঙ্গালুরু থেকে দেড় ঘণ্টার পথ, পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে আরও প্রায় আধা ঘণ্টা। মাত্র ৭০-৮০ কিলোমিটারের রাস্তা। কিন্তু হলফ করে বলা যায় সারা জীবন মনে থেকে যাওয়ার মতো দৃশ্য রয়েছে নন্দী হিলসে। এ পাহাড়কে আনন্দগিরিও বলা হয়। আমরা চারজন বেঙ্গালুরু থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম প্রায় ভোর সাড়ে পাঁচটায়।

আরও পড়ুন

সকালেও বেঙ্গালুরুতে রাস্তা তেমন ফাঁকা থাকে না। আমরা যখন রাস্তায়, আবছা কুয়াশা আর আকাশ মেঘলা। শহর থেকে বেরিয়ে হাইওয়েতে উঠেই আমাদের প্রথম ছোট ব্রেক। রাস্তার ধারে চায়ের দোকান, জলখাবার হিসেবে চা আর গুড ডে বিস্কুট। দিনটি রোববার, আরও লক্ষ করলাম, যারা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছে সবাই বাইকার্স এবং তারা নন্দী পাহাড় নিয়ে কথা বলছে। যদিও আমরা কানারা ভাষা বুঝি না, তবু কথার মধ্যে বারবার উঠে আসছিল নন্দী হিলসের নাম। চমৎকার সুন্দর জায়গা, যে কেউ মনের আনন্দে অন্য এক জগতের সুখ খুঁজে পাবে। তবে সবচেয়ে চমৎকার ভালে লাগা হচ্ছে, যখন আপনি বাইকে করে আঁকাবাঁকা পাহাড়ের রাস্তায় এগিয়ে যাবেন ৪ হাজার ৮৫০ ফুট ওপরে। যত দূর চোখ যাবে ধু ধু করবে পাহাড়ের চূড়া।

নন্দী হিলস থেকে সূর্যাস্ত
ছবি: লেখকের পাঠানো
আরও পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে কীভাবে যাবেন? বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইটে কলকাতায়, তারপর কলকাতা থেকে যেকোনো ট্রেনে বেঙ্গালুরু গেলে কম খরচ হবে। সেখান থেকে গাড়িতে। হাওড়া থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার সবচেয়ে ভালো ট্রেন দুরন্ত এক্সপ্রেস। সোম আর বৃহস্পতিবার বাদে বেলা ১১টায় হাওড়া থেকে ছেড়ে যশোবন্তপুর পৌঁছাতে হবে পরদিন বিকেল চারটায়।