বাঙালির কাঁঠাল, কাঁঠালের বাঙালি!
কাঁঠাল বাঙালি সমাজ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাঁঠাল নিয়ে রয়েছে নানা প্রবাদ, যেমন ‘গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেল’, ‘পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া’, ‘চালাকে খায় কাঁঠাল, বোকার মুখে আঠা’, ‘কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো’, ‘কাঁঠালের আমসত্ত্ব’ ইত্যাদি। আবার কাঁঠাল নিয়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় গানও রয়েছে, যেমন ‘পিরিতি কাঁঠালের আঠা লাগলে পরে ছাড়ে না’ একটি গানের লাইন। বাউলশিল্পী মমতাজের কণ্ঠে ‘কাঁঠাল খাইতে মিষ্টি লাগে’, ডি জে মুন্নির কণ্ঠে ‘মুচি তো কাঁঠাল নয়’, বাউলশিল্পী কেশব দেবনাথের ‘গৌর আমার পাকা কাঁঠাল নিতাই আমার ফজলি আম’ ইত্যাদি গান গ্রামীণ ও শহুরে জীবনে বেশ পরিচিত।
প্রাচীন রামায়ণে অন্য গাছের সঙ্গে কাঁঠালগাছের উল্লেখ রয়েছে, তবে তা কাঁঠাল নামে নয়, পনস হিসেবে। জানা যায়, চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বাংলা ভ্রমণকালে প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যে কাঁঠালের প্রাচুর্য দেখেছেন। এদিকে স্যার বুকানন হ্যামিল্টন বরেন্দ্র অঞ্চলে এসে প্রচুর কাঁঠালগাছ দেখেছেন। আবার পাহাড়পুরে (সোমপুর বিহার) প্রাপ্ত টেরাকোটায় ‘বানর কাঁঠাল ভেঙে খাচ্ছে’ এমন দৃশ্য দেখা যায়। পাশাপাশি খনার বচনেও কাঁঠালের উল্লেখ পাওয়া যায়, ‘আমের বছর বান/কাঁঠালের বছর ধান’ এবং ‘সকল গাছ কাটিকুটি/ কাঁঠালগাছে দেই মাটি।’ কবি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা ‘আবার আসিবো ফিরে’–তে কাঁঠালগাছকে এনেছেন মায়াময় ছাপবৃত্ত হিসেবে। শরৎচন্দ্রের উপন্যাস ‘শ্রীকান্ত’র একটি চরিত্র আফিমখোর ভট্টাচার্য মার খেয়ে বলে ‘খোট্টা ব্যাটায় কিলায়কে কাঁঠাল পাকায় দিয়া।’
কাঁঠালের ইতিহাসও বেশ দীর্ঘ। প্রাচীনকালে কাঁঠালের নাম ছিল কণ্টকি ফল। শব্দটি কালক্রমে বিবর্তিত হয়ে কাঁঠাল হয়েছে। ইংরেজি জ্যাকফ্রুট নামটি অবশ্য এসেছে পর্তুগিজ শব্দ জাকা (Jaca) থেকে। সেই ১৫৬৩ সালে পর্তুগিজ চিকিৎসক গার্সিয়া দ্য অর্তা (Garsia de orta) চাক্কা (Chakka) ফলকে জ্যাকা নামে চিহ্নিত করেন। ১৭৮২ সালে কাঁঠাল পৌঁছায় জ্যামাইকায়, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে ক্যারিবীয় ও দক্ষিণ আমেরিকায়। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া থেকে শুরু করে জ্যামাইকা, ব্রাজিল ও হাওয়াই বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতিতে কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। কাঁঠাল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেশি জনপ্রিয়। কাঁঠাল বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কেরালা ও তামিলনাড়ু রাজ্যের রাষ্ট্রীয় ফল।
প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে কাজ করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ। এ বিভাগ বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন, যাঁরা গত এক বছরে ৬০ লাখ টাকার কাঁঠালের চিপস বিক্রি করেছেন।
কাঁঠালকে বাংলাদেশের জাতীয় ফল করার প্রধান কারণ দুটি। প্রথমত, কাঁঠাল চেনে না এমন মানুষ দেশে নেই, কাঁঠাল পাওয়া যায় না এমন জায়গায়ও নেই। মূলত সহজলভ্য ও জনপ্রিয়তার কারণেই এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল।
দ্বিতীয়ত, কাঁঠালের আদিনিবাস এ অঞ্চল তথা ভারতবর্ষে। এই মাংসল ও রসালো ফল বা কোষগুলোও দারুণ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এটি ভিটামিন, খনিজ ও খাদ্য আঁশসমৃদ্ধ। এ জন্য কাঁঠালকে সুপারফুড বলা হয়। এ দেশে কাঁঠালের তিনটি জাত রয়েছে। যেমন রসালো নরম কোয়ার কাঁঠালকে বলে গলা বা রসা কাঁঠাল। কিছুটা শক্ত ও রসযুক্ত কোয়ার কাঁঠালকে বলে রস খাজা কাঁঠাল এবং শক্ত কোয়ার কাঁঠালকে বলে খাজা কাঁঠাল। পাকা কাঁঠালে আছে দারুণ সব পুষ্টিগুণ। আবার কাঁচা কাঁঠাল, যা এঁচোড় নামে পরিচিত, একে বলা হয় গরিবের মাংস। কেউ কেউ এক বলে বাঘের মাংস। পশ্চিমবঙ্গে তো একে বলে গাছপাঁঠা। আবার তরকারিতেও কাঁঠালের বিচির ব্যবহার রয়েছে। কাঁঠালের বিচি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
নাগরিক সংবাদ-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’র অপুর স্মৃতিতে ধরা ছিল যে তার ‘মা বসিয়া বসিয়া বেশ নিশ্চিন্ত মনে কাঁঠাল বিচি ধুইতেছে।’ কাঁঠালের পরিত্যক্ত খোসা বা ভুতি গরু-ছাগলের বিশেষ প্রিয়। কাঁঠালের ভুতি রবি ঠাকুরের ‘বাঁশি’ কবিতায় স্থান পেয়েছে, ‘বর্ষা ঘনঘোর।/....গলিটার কোণে কোণে জমে ওঠে, পচে ওঠে/ আমের খোসা ও আঁঠি, কাঁঠালের ভূতি।’ কাঁঠালের পাতা গরু-ছাগলের প্রিয় খাবার। বিশেষ করে ছাগলের আবশ্যক খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। কাঁঠালগাছ বেশ বড় এবং প্রায় ১০০ বছর বাঁচে। কাঁঠালের কাঠ উজ্জ্বল হলুদ রঙের, যা আসবাব তৈরির জন্য সমাদৃত। বাঙালির জীবনে কাঁঠালের প্রভাব এত বেশি যে অনেক ফুল-ফল ও রঙের নাম কাঁঠালের নামে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন ফুলের নাম কাঁঠালিচাঁপা বা চম্পা; কলার নাম কাঁঠালিকলা, কাঁঠালি রং ইত্যাদি।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এক সূত্রমতে, বিশ্বে বছরে প্রায় ৩০ লাখ টনের বেশি কাঁঠাল উৎপাদিত হয়, যার অধিকাংশই উৎপাদিত হয় ভারত ও বাংলাদেশে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে কাঁঠাল উৎপাদনের শীর্ষে রয়েছে ভারত। দেশটিতে প্রতিবছর ২০ লাখ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় প্রায় ১৯ লাখ টন কাঁঠাল।বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে গাজীপুর, বান্দরবান, রাঙামাটি, টাঙ্গাইল ও খাগড়াছড়ি জেলা। কৃষিবিদেরা বলেন, যেসব জায়গার মাটি লালচে রঙের ও একটু উঁচু, সেখানে কাঁঠালের ফলন ভালো হয়। উৎপাদনে গাজীপুর শীর্ষে থাকলেও ময়মনসিংহের কাঁঠাল বেশি সুস্বাদু বলে জানা যায়। নিচের দেশে বছরওয়ারি কাঁঠাল উৎপাদনের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো:
দেশে বর্তমানে ৫৮ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বছরে প্রায় ১৯ লাখ টন কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়েছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার ১৩১ মেট্রিক টন কাঁঠাল, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ হাজার ১৩১ টন বেশি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৮ লাখ ৬৯ হাজার টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার টন কাঁঠাল উৎপাদিত হয়। এর বিপরীতে রপ্তানির পরিমাণ খুবই নগণ্য। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাত্র ২ হাজার ২১০ টন ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৯৩২ টন কাঁঠাল রপ্তানি হয়। কাঁঠাল উৎপাদনে ভারত শীর্ষে থাকলেও রপ্তানিতে এক নম্বর অবস্থানে আছে থাইল্যান্ড। ভারতের আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক ওয়েবসাইট এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ডট ইনের তথ্য বলছে, থাইল্যান্ড প্রতিবছর ৭৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাঁঠাল ও কাঁঠালজাত পণ্য রপ্তানি করে থাকে। কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তা তৈরির কারণে থাইল্যান্ড মূল্য সংযোজন করতে পেরেছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ‘এক দেশ এক পণ্য’ নামের একটি উদ্যোগ রয়েছে। এর আওতায় ২১টি দেশের অনন্য বৈশিষ্ট্যের ফলকে বৈশ্বিক বাজারে রপ্তানিযোগ্য করে তুলতে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। থাইল্যান্ড এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাঁঠাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত কাঁঠাল রপ্তানি করেছে ২৬ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন। অন্যদিকে একই অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে মাত্র ২ হাজার ৮১ মেট্রিক টন কাঁঠাল। অর্থাৎ দেশে উৎপাদিত কাঁঠালের খুব অল্প পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি হয় এবং এর ক্রেতা অধিকাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি। দেশের কাঁঠালের মধ্যে বড় ও ভালো মানের কাঁঠাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে কাতার, ওমান, বাহরাইন, সৌদি আরব, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
এফএওর ওসিওপি উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশের কাঁঠাল উৎপাদনের সম্ভাবনা ও সংকট নিয়ে ‘দ্য জ্যাকফ্রুট ভ্যালু চেইন ইন বাংলাদেশ’শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে কাঁঠালের উল্লেখযোগ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প বা উদ্যোক্তা নেই। প্রক্রিয়াজাতকারী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন মাত্র ১০ শতাংশ। এ ছাড়া কাঁঠাল থেকে অন্যান্য পণ্যের উদ্ভাবন ও বিপণনের অভাব রয়েছে। কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ এখনো ক্ষুদ্র পরিসরে আছে। এ উদ্যোগের সুফল ভোক্তাপর্যায়ে কীভাবে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা নিয়ে কাজ চলছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাঁঠাল থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের মান নিশ্চিত করা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রত্যয়ন ও ব্র্যান্ডিংয়ের অভাবে রপ্তানির সম্ভাবনা সীমিত হয়ে আছে। কাঁঠাল থেকে কমপক্ষে ৩০ ধরনের পণ্য তৈরি করা যায় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন উন্নত জাত, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ও সার প্রয়োগের মাধ্যমে কাঁঠাল চাষের গুণগত মান বাড়ানো, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁঠাল ও ভেজিটেবল মিটের বিকল্প হিসেবে এর প্রক্রিয়াজাত পণ্যের উপস্থিতি বাড়ানো, সরকারি ভর্তুকি যাতে কাঁঠালচাষিরা পান, তা নিশ্চিত করা।
কাঁঠাল সম্ভাবনাময় একটি ফল হলেও রপ্তানি খুবই কম হয়। এতে যদি মূল্য সংযোজন করা যায়, তা হলে এর সম্ভাবনা আরও বাড়বে। বিশ্ববাজারে আমাদের প্রবেশ আরও সহজ হবে। সারা বছর যাতে কাঁঠাল পাওয়া যায়, সে ধরনের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে কাঁঠাল থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে কাজ করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ। এ বিভাগ বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন, যাঁরা গত এক বছরে ৬০ লাখ টাকার কাঁঠালের চিপস বিক্রি করেছেন। সম্প্রতি একটি এনজিও এক উদ্যোক্তার কাছ থেকে দুই টন ভেজিটেবল মিট কিনে নিয়েছে, এটা উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনা। ভেজিটেবল মিট দিয়ে তারা শিঙাড়া, সমুচা, বার্গার তৈরি করে রপ্তানি করছে।
বিএআরসির তথ্যানুযায়ী, উদ্যোক্তাদের যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি, মোড়কজাতকরণের সামগ্রী ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গুণগত মান নিশ্চিত করে কাঁঠালের চিপস, বার্গার, ভেজিটেবল মিট তৈরিতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশের ১০ জেলায় একটি পাইলট প্রকল্প চালু আছে। জানা গেছে, এফএওর সহযোগিতায় স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও এসিআই অ্যাগ্রো কাঁঠালের ভিনেগার ও হিমায়িত পণ্য তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে। কাঁঠালের আচার মোটামুটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আশা, এভাবে ধীরে ধীরে কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার ছড়িয়ে পড়বে। তবে উৎপাদনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানের পরও কাঁঠাল ও কাঁঠালজাত পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিশ্ববাজারে কাঁঠালের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এর বহুমুখী ব্যবহার ও ভালো জাতের অভাবে এবং নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, সমাজবিজ্ঞান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ, যশোর