মরক্কো ও মিসর: জ্ঞান, সংস্কৃতি ও স্বাদের ভ্রমণ: দ্বিতীয় পর্ব

সালাহ আল-দীন দুর্গে প্রাচীন কারাগারছবি: লেখকের পাঠানো

কাসাব্লাঙ্কা হয়ে কায়রো: পিরামিডের দেশে যাত্রা

সম্মেলন শেষে রাবাত থেকে ট্রেনে করে আবার ফিরলাম কাসাব্লাঙ্কায়। ফেরার পথে আবার সেই প্রান্তর, মরুভূমির সোনালি রং, খেজুরগাছের ছায়া; ছয় দিনের সম্মেলন শেষে মনটা ছিল কিছুটা ক্লান্ত কিন্তু তৃপ্ত। এবার আমার পাশের আসনে বসেছিলেন ৭০ বছর বয়সী জার্মান নাগরিক জর্জ। যৌবনে আবেগের তাড়নায় ভেসে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন নিজের থেকে ২ বছরের বড় এক আফ্রিকান নারীকে। কিন্তু সাংস্কৃতিক দূরত্বের কারণে একসঙ্গে থাকা হয়নি, শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তী সময়ে আরেক জার্মানকে বিয়ে করে এখন একসঙ্গে বসবাস করছেন। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘মানুষের তাঁর নিজের পরিচিত জায়গায় ও গণ্ডিতে থাকা উচিত। সাময়িক মোহে আমরা নিজের পরিচিত জগতের বাইরে সম্পর্কে জড়াই, বিয়ে করি। কিন্তু এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তী সময়ে সমস্যা তৈরি করে, টেকে না। তাই কোনো সম্পর্কে জড়ানোর সময়, বিয়ে করার সময় নিজের আর্থসামাজিক অবস্থান, কোন পরিবেশে আপনি বড় হয়েছেন, তা মাথায় রাখা খুব জরুরি।’ তাঁর মতে, ‘বিয়ে শুধু একজন নারী ও একজন পুরুষের বিষয় নয়। এর সঙ্গে দুটি পরিবার ও অনেক আত্মীয়স্বজন জড়িত। সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু দুজন নারী-পুরুষ সাময়িকভাবে কিছুদিন ভালো থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে কখনোই পুরোপুরি ভালো থাকতে পারেন না।’

এক সন্ধ্যায় নীল নদে নৌকাভ্রমণে বেরোলাম। দুই তীর আলোকিত, বাতাসে খাবারের গন্ধ, দূরে বেজে চলেছে আরবি সুর। সূর্য অস্ত যাচ্ছে, নদীর জলে লালচে প্রতিফলন। নৌকায় বাজছিল নরম আরবীয় সংগীত, বাতাসে কফির গন্ধ। আলোকিত কায়রো—মনে হচ্ছিল, আমি সময়ের স্রোতে ভাসছি—ফেরাউন থেকে আধুনিক মিসর, অতীত থেকে বর্তমান।

কাসাব্লাঙ্কার মোহাম্মদ-৫ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইজিপ্ট এয়ারের ফ্লাইটে রওনা দিলাম কায়রো-ইতিহাসের আরেক প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রে। বিমানে উঠে মনে হলো, কাসাব্লাঙ্কার আধুনিকতা থেকে কায়রোর প্রাচীনতার দিকে যাচ্ছি (যে বৈপরীত্য আফ্রিকার সৌন্দর্য); এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে নয়, বরং সময়ের এক গহ্বর পেরিয়ে যাচ্ছি। বিমানের জানালা দিয়ে যখন আফ্রিকার মরুভূমি আর নীল নদ একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল, তখন মনে হচ্ছিল আমি ইতিহাসের দুই প্রান্তকে যুক্ত করছি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার ফ্লাইট। ভূমধ্যসাগর পার হয়ে বিমান মিসরে প্রবেশ করার পর মনে হলো মরুভূমির রং বদলাচ্ছে—সোনালি থেকে লালচে, তারপর ধূসর। মনে হচ্ছিল এই দৃশ্য যেন সময়ের পরিবর্তনের প্রতীক। পিরামিডের দেশে নামতেই এক অন্য রকম গন্ধ পেলাম—পুরোনো পাথর, ধূলি আর ইতিহাসের গন্ধ। ইমিগ্রেশন শেষে যখন বেরিয়ে এলাম, তখন সন্ধ্যার হালকা বাতাসে ভেসে আসছিল আজানের সুর।

সন্ধ্যায় নীল নদ
ছবি: লেখকের পাঠানো

কায়রো: ফারাওদের ছায়ায় ইতিহাসের শহর

কায়রো শহর প্রথম দেখায় এক বিস্ময়। যানজট, গাড়ির হর্ন, বাজারের কোলাহল, রাস্তার চায়ের দোকান, আর মসজিদের মিনারে আজানের ধ্বনি—সবই যেন এক সংগীতের মতো, সব মিলিয়ে শহরটি এক কথায় জীবন্ত। প্রথম দিন সকালেই গেলাম সালাহ আল-দীন দুর্গে। এটি কায়রোর মোকাক্তাম পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক দুর্গ, যা সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি ১২শ শতাব্দীতে নির্মাণ শুরু করেন। দুর্গে উল্লেখযোগ্য স্মৃতিস্তম্ভ এবং আকর্ষণের মধ্যে আছে মুহাম্মদ আলী পাশার মসজিদ, আল-নাসির মুহাম্মদ মসজিদ, আল জাওহারা প্রাসাদ জাদুঘর, পুলিশ জাদুঘর ও রাজকীয় গাড়ির জাদুঘর। পুলিশ জাদুঘর দুর্গের প্রাক্তন কারাগারে অবস্থিত, যেখানে প্রাচীন সময়ে বন্দীদের কীভাবে রাখা হতো তার নিদর্শন আছে। এই দুর্গের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এর ছাদ থেকে কায়রো শহর দেখা যায়। বিকেলে গেলাম খান-ই খালিলি বাজার—কায়রোর ঐতিহাসিক কেন্দ্রে অবস্থিত একটি বিখ্যাত বাজার, যা মামলুক যুগে বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

দ্বিতীয় দিন গেলাম মিসরীয় জাদুঘরে, যা কায়রোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। প্রবেশদ্বারেই দেখা গেল বিশাল মূর্তি ও ফারাওদের প্রতিকৃতি। ভেতরে ঢুকতেই ইতিহাস যেন জীবন্ত হয়ে উঠল। টুটানখামেনের সোনার মুখোশ, নীলকান্তমণি–খচিত কফিন, আর অসংখ্য প্রত্নবস্তু—প্রতিটি নিদর্শন যেন সহস্রাব্দ পেরিয়ে গল্প বলে যায়। তবে মিসরীয় জাদুঘরের প্রধান আকর্ষণ প্রাচীন ফারাওদের মমি। ল্যুভর মিউজিয়ামে গেলে সবাই যে রকম মোনালিসার দিকেও দৌড়ায়, এখানেও বিষয়টি প্রায় সে রকম, বিশেষ করে মুসলিমদের জন্য। মমি রাখার স্থানে কেমন যেন একটি ভুতুড়ে আলো-আঁধারির পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। দেখে গা ছমছম করে, নাকে মনে হয় কেমন যেন গন্ধ ঝাপটা মেরে যায়! দ্বিতীয় রামসেসের (যাকে আমরা ফেরাউন নামে চিনি) মমির দিকে অনেকক্ষণ অপলক তাকিয়ে ছিলাম। জাদুঘরে একটি কাচের কেসে রাখা ছিল প্রাচীন প্যাপিরাসে লেখা চিত্রলিপি। কত বছর আগে মানুষ এই কালি-লেখায় নিজের অস্তিত্ব লিপিবদ্ধ করেছিল, আর আজ আমরা সেই কালি দেখে নিজের পরিচয় খুঁজছি। এক কোণে ছিল একটি বিশেষ প্রদর্শনী—প্রাচীনকালে নারী রাজনীতি, ধর্ম ও সংস্কৃতিতে কীভাবে ভূমিকা রেখেছে, তার নিদর্শন। এক রাজকন্যার মূর্তি দেখে মনে হলো, সময় বদলায়, পোশাক বদলায়, কিন্তু নারীর দৃঢ়তা চিরকাল একই থাকে। বিকেলের সময়টা পুরোটাই কাটালাম কায়রোর ইসলামি শিক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আল-আজহার মসজিদে।

আটলান্টিকের পাড়ে রাবাতের কেন্দ্রীয় কবরস্থান
ছবি: লেখকের পাঠানো

তৃতীয় দিন সকালেই রওনা দিলাম গিজার পিরামিডে। গাড়ি শহর ছাড়িয়ে যখন গিজার প্রান্তে পৌঁছাল, তখন হঠাৎ দেখা মিলল সেই অনন্ত প্রতীকগুলোর—গিজার গ্রেট পিরামিড! সূর্যের তাপে মরুভূমি ঝলমল করছে, বিশাল পিরামিড তিনটি যেন সময়ের চূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, তিনটি পাথরের পাহাড়। কিন্তু কাছে গিয়ে বোঝা যায়, এগুলো মানুষ–নির্মিত বিস্ময়। হাজারো বছর আগে, কোনো প্রযুক্তি ছাড়াই এই বিশাল পাথরের ব্লকগুলো স্তরে স্তরে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। মরুভূমির মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এই বিশাল কাঠামো যেন মানব সভ্যতার স্থায়িত্বের প্রতীক। স্ফিংসের সামনে দাঁড়িয়ে মনে হলো, সভ্যতা কীভাবে সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকে! বাতাসে বালুর গন্ধ, আর মাথার ওপর জ্বলজ্বলে সূর্য। মনে হচ্ছিল, আমি যেন মানব সভ্যতার সূচনাক্ষণে এসে পড়েছি।

মিশরীয় জাদুঘর
ছবি: লেখকের পাঠানো

নীল নদের সন্ধ্যা ও কায়রোর রাত্রি

এক সন্ধ্যায় নীল নদে নৌকাভ্রমণে বেরোলাম। নদীর দুই তীর আলোকিত, বাতাসে খাবারের গন্ধ, দূরে বেজে চলেছে আরবি সুর। নীল নদের ধারে সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে, নদীর জলে লালচে প্রতিফলন। নৌকায় বাজছিল নরম আরবীয় সংগীত, বাতাসে ভেসে আসছিল কফির গন্ধ। নদীর দুই তীরে আলোকিত কায়রো—এক পাশে মসজিদের গম্বুজ ও কায়রো টাওয়ার, অন্য পাশে আধুনিক ভবনের আলো, যার বেশির ভাগ হোটেল। মনে হচ্ছিল, আমি সময়ের স্রোতে ভাসছি—ফেরাউন থেকে আধুনিক মিসর, অতীত থেকে বর্তমান। সেই রাতে কায়রোর আকাশের নিচে মনে হচ্ছিল এ পৃথিবী কত সমৃদ্ধ, কত বৈচিত্র্যময়। ‘কায়রো কখনো রাতে ঘুমায় না’—সৈয়দ মুজতবা আলীর এই বিখ্যাত উক্তি আমার মাথায় ছিল। তাই রাতের কায়রোর রূপ অবলোকন করার জন্য একদিন শেষ বিকেল থেকেই রাস্তায় বের হয়ে পড়লাম। কায়রো শহরের প্রাণবন্ত রাতজীবনের প্রস্তুতি সন্ধ্যার আগে থেকেই শুরু হয় শহরতলির রাস্তা, রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলো সাজানোর মাধ্যমে। গভীর রাতেও রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলোতে নারী-পুরুষের ভিড় থাকে (যাঁরা অনেকেই একটানা সিসা পান করেন), যা শহরের নিরন্তর কর্মচঞ্চলতার প্রমাণ দেয় এবং যা দেখে বুঝেছি সৈয়দ মুজতবা আলীর কায়রোও যেমন রাতে ঘুমাত না, এখনকার কায়রোও তেমন রাতে ঘুমায় না।

আল-আজহার মসজিদে ধর্মীয় আলোচনা
ছবি: লেখকের পাঠানো

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও মানবিক সংগঠন পরিদর্শন

কায়রোতে অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন, যা সম্ভব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক দিয়া ইলহাকের আন্তরিক সময় ও উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য। হাজার বছরের পুরোনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইসলামি জ্ঞান, দর্শন ও বিজ্ঞানের মিলনস্থল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন এবং বেশ কয়েকজন সম্মানিত শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে কথা হয়েছে। অনুষদের ডিন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের একজন বড় ভক্ত! কোনো একটা অনুষ্ঠানে তাঁর প্রাণবন্ত বক্তব্য তিনি উপভোগ করেছেন, সেই কথা আমাকে বললেন খুব আগ্রহসহকারে। কৃষি সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ধারণা বিনিময়ও খুবই ভালো লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে দিয়া ইলহাক নিয়ে গেলেন তাঁদের পরিচালিত একটি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংগঠনের কার্যালয়ে। তাঁদের কাজ মূলত বিধবা ও এতিম বাচ্চাদের সহায়তা প্রদান ও দরিদ্র শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা করা। তাঁরা নারীদের হস্তশিল্প ও সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করেন। আমি তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, কীভাবে এনজিও ও কমিউনিটি একসঙ্গে সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে পারে, সেই আলোচনা করি। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এল মানুষ ও মানবতার মৌলিক বন্ধন সম্পর্কে। আলোচনার শেষে তাঁরা বললেন, ‘আমরা ভিন্ন ভিন্ন দেশে বাস করতে পারি, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একই—একটি মানবিক মর্যাদার সমাজ গঠন করা।’

আরও পড়ুন

বিদায়ের প্রতিধ্বনি: ওমান হয়ে দেশে ফেরা

শেষ দিন মধ্যরাতে ফ্লাইট, কায়রো থেকে মাসকাট হয়ে ঢাকা। কিছু প্রসাধনী কেনা করা প্রয়োজন। দিয়া ইলহাকে ফোন দিলাম। তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানালেন, সিটি স্টার মলে আশরি ন্যাচারালে যেতে। সকালে নাশতা করে হোটেল থেকে চেক আউট করে সেখানে চলে গেলাম। কেনাকাটা করে বিকেলে এক বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট কাম দেশি ভাইদের বিশ্রামস্থলে গেলাম। তাদের আন্তরিক আতিথেয়তায় ডিনার শেষ করে রওনা দিলাম কায়রো বিমানবন্দরে। ওমান এয়ারের বিমানে উঠেই মনে হচ্ছিল, এই ভ্রমণ শুধু স্থানান্তর নয়—একটি জ্ঞানের, অনুভূতির ও সংস্কৃতির যাত্রা। মাসকাটে অবতরণ করার সময় আকাশে সূর্য উঠছিল, নতুন সকাল হচ্ছিল। মাত্র সোয়া এক ঘণ্টার বিরতি ছিল, তাই তাড়াতাড়ি করে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বোর্ডিং ব্রিজে এসে বসার পরই শুনি ফ্লাইট কিছুটা দেরি হবে। চেয়ারে হেলান দিয়ে নির্ঘুম রাতের ক্লান্তিতে চোখ বুজে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লাম। একসময় অনুভব করলাম কেউ যেন আমাকে ডাকছে, মনে হচ্ছে দূর থেকে কেউ আমাকে কোথাও যেতে বলছে। কিন্তু আমার ঘুম ভাঙছিল না, বুঝতে পারছিলাম না এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা। তারপর তার স্পর্শে চোখ মেলতেই বলল আপনার ফ্লাইট ছেড়ে দিচ্ছে! ঢাকায় ফেরার পথে আরব উপসাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে যেতে মনে পড়ছিল কাসাব্লাঙ্কার ঐতিহাসিক সৌন্দর্য, রাবাতের সম্মেলন, আটলান্টিকের ঢেউ, গিজার পিরামিড, ফারাওদের মমি—সব মিলেমিশে যেন এক মহাযাত্রার স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে।

*লেখক: কাজী ফরিদ, অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।