হাঁটি হাঁটি পা পা করে একুশে দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের

ছবি: লেখক

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)। একসময় পুরো বরিশাল বিভাগে ছিল না কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সাগর-নদীঘেরা এই বিপুল জনপদের উচ্চশিক্ষা অর্জন অনেকটাই অসাধ্য ছিল।

কিন্তু বিপুল জনপদের সেই অপেক্ষা আর উপেক্ষা বেশি দিন দীর্ঘায়িত হয়নি। ২০০০ সালের ৮ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী কৃষি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদ্বোধন করেন। ২০০১ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে পটুয়াখালী কৃষি কলেজ বিলুপ্ত করে ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ আইন পাস হয় এবং ২০০২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ বাস্তব রূপ লাভ করে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রযুক্তিনির্ভর এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশব্যাপী আলো ছড়াচ্ছে। অন্যান্য দেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসেন। এখানকার অসংখ্য কৃতী শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় নিযুক্ত রয়েছেন।

নয়নাভিরাম সবুজে ঘেরা ৯০ একরের ক্যাম্পাসটির সৌন্দর্যও বেশ প্রশংসিত। এর প্রতি পরতে রয়েছে সৌন্দর্যের ছোঁয়া। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি ক্যাম্পাসটির সৌন্দর্য দেশজুড়ে প্রশংসিত। সারি সারি নারিকেল, মেহগনি, দেবদারু এবং সুপারিগাছ ক্যাম্পাসকে দিয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য।

সম্পূর্ণ আবাসিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিষয় প্রযুক্তিনির্ভর। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট আছে মাত্র একটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি আরও কয়েকটি ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট চালু করার। সেই সঙ্গে গবেষণার কার্যক্রম আরও বাড়ানোর দাবি সব মহলের। লেখক: আনিসুর রহমান, শিক্ষার্থী, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান অনুষদ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।