ফুলেল বনৌষধি বৃক্ষ ফুটিকদম
আষাঢ়ে কেবল কদমই নয়, ফরিদপুরের আঙিনায় ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন ফুটিকদম। চারটি বড় আকারের গাছ ছিল এখানে। দুটি কেটে ফেলা হয়েছে কাঠের রথ বানানোর জন্য। আকারে ছোট দুটি গাছ অবশিষ্ট রয়েছে।
এ গাছ ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু হয়ে থাকে। পাতা সরল ও বিপরীত, পাতার আকার লম্বা ও ডিম্বাকৃতি। অসংখ্য পুষ্পবিন্যাস সাধারণত মাথার আগায়, ফুল দেখতে অনেকটা ছোট ছোট কদম ফুলের মতো গোলাকার। ফুলের রং প্রথমে হলদেটে, পরে ঈষৎ হলদে-খয়েরি রং ধারণ করে, ফল গোলাকার। প্রজাতির নাম ‘Mitragina Speciosa’ আর পরিবারের নাম ‘Rubiaceae’।
আমাদের দেশে পাহাড়ি এলাকা ও রাজশাহী অঞ্চলের বরেন্দ্র ভূমিতে দেখা যায়। তবে সংখ্যাগত দিক থেকে খুব কমই বলতে হবে। কদম, কফি, রঙ্গন এই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
পাতার রস আমাশয় ও পাকস্থলীর ব্যথা উপশম করে। অ্যালকালরেড মিট্রাসাইনিন শারীরিক ব্যথা উপশম করে থাকে। তবে এর বেশি ব্যবহার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ক্ষুধা নিবারণ করে থাকে, যে জন্য শরীরের ওজনও কমে যায়। শ্রুতি আছে, এই প্রজাতির কদমগাছের তলায় বসে শ্রীকৃষ্ণ রাধার চিত্ত আলোড়িত করতেন।