ফার্মিংটন অ্যাভিনিউ ধরে বেশ খানিকটা চলার পর হঠাৎ গাড়ির গতি কমিয়ে দেন স্বপন ভাই। ‘এই যে দেখছেন, এটাই মার্ক টোয়েনের বাড়ি’। ঠিক মেইন রোডের পাশেই বাড়িটার দিকে তাকাতেই যেন চোখ আটকে যায়।
বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে টিলার (উঁচু জায়গা) মতো কিছু জায়গা থাকে, তেমন একটা টিলার ওপর ভিক্টোরিয়ান ডিজাইনের বাড়িটা। বিস্তৃত জায়গাজুড়ে নির্জন একটা পরিবেশ, চারপাশে অসংখ্য মেপলগাছ, গাছের পাতাগুলো যেন নানা রঙে সেজে আছে। তিনতলা বাড়িটাও লাল রঙের। ‘মার্ক টোয়েন’স হাউস অ্যান্ড মিউজিয়াম’ সাইনবোর্ডটা দূর থেকেই চোখে পড়ে—কাছে যাওয়া যাবে না? ভেতরে যাওয়া যাবে না?’—আমি ও সেরীন একসঙ্গেই বলে উঠি। স্বপন ভাই ততক্ষণে গাড়িটা টান দিয়ে পার্কিং লটে পৌঁছে যান।
হার্টফোর্টের ৩৫১ ফার্মিংটন অ্যাভিনিউয়ের এই বাড়িতে আমেরিকান সাহিত্যের জনক হিসেবে পরিচিত বিশ্ববিখ্যাত সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন তাঁর জীবনের ১৭ বছর কাটিয়েছেন। অনেক জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম তিনি লিখেছেন এই বাড়িতে বসেই। মার্ক টোয়েনের সেই বাড়িটা এখন মিউজিয়াম। বিশ্বের নানা দেশের পর্যটকেরা এখানে এসে টিকিট কেটে বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখেন। মার্ক টোয়েনের ব্যক্তিগত ব্যবহারের নানা সামগ্রী তো বটেই, তাঁর সংগ্রহ করা নানা মূল্যবান সখের সামগ্রীও সংরক্ষিত আছে বাড়িটায়।
ভেতরে যাওয়ার আগে চারপাশে ঘুরে ঘুরে বাড়িটা দেখতে থাকি আমরা। আমরা মানে সেরীন (সেরীন ফেরদৌস), কানেটিকাটে আমাদের হোস্ট সেরীনের বান্ধবী সাজু (সাজেদা চৌধুরী) এবং তার স্বামী স্বপন ভাই (সোয়েলুর রহমান স্বপন।)। ১১ হাজার ৫০০ স্কয়ার ফুট জায়গার ওপর কারুকাজ করা তিনতলা বাড়িটার দিকে তাকালেই একধরনের আভিজাত্য টের পাওয়া যায়। বাড়িটি বানানো হয়েছে রানি ভিক্টোরিয়ার আমলের (১৮৩৭ থেকে ১৯০১) জনপ্রিয় স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করে। খাড়া ছাদ, মোড়ানো বারান্দা, ভেতরে উচ্চ সিলিং, দাগযুক্ত কাচ ও খোদাই করা কাঠের মতো জটিল বিবরণ—বাড়িটি নিজেই যেন একটা পুরোকীর্তি, একটা ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর হবেই–না কেন! ১৮৭১ সালে এই বাড়ি যখন বানানো হয়, মার্ক টোয়েনের বিশেষ নজর ছিল স্থাপত্যকলার দিকে। সেই সময়কার বিখ্যাত আর্কিটেক্ট নিউইয়র্কের এডওয়ার্ড টাকারম্যান পোটারকে দায়িত্ব দেন বাড়ির স্থাপত্য নকশা করার জন্য। বাড়ির দেয়াল, ছাদ এবং উন্মুক্ত স্থানগুলোর নকশা ও কারুকাজের দায়িত্ব দেন লুইস কমফোর্ট টিফানিকে। বাড়িটির সাজসজ্জার পেছনেই তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। এখনো বাড়িটি মার্ক টোয়েনের সেই সময়কার স্থাপত্য বিলাস এবং নান্দনিক সৌন্দর্য প্রেমকে ধরে রেখেছে যেন।
মার্ক টোয়েনের যে পুরোটা জীবন এই বাড়িতেই কেটেছে, তা-ও কিন্তু নয়। ব্যবসায় মার খেয়ে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ১৮৯১ সালে তিনি বাড়িটি ভাড়া দিয়ে ইউরোপে চলে যান। সে সময় তিনি ইউরোপের নানা শহরে ঘুরে ঘুরে বক্তৃতা করে বেড়াতে থাকেন। মাঝখানে এসে কিছুদিন এই বাড়িতে থাকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে আর থাকা হয়নি। ১৯০৩ সালে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন।
পার্কিং লট থেকে বাড়িটার প্রবেশপথ ধরে খানিকটা এগিয়ে পাশের দিকে চলে যাই। বাইর থেকে বাড়িটাকে যতটা দেখা সম্ভব, সেই সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে ইচ্ছা হলো না। ভেতরে তো দেখা যাবেই—ভেতর-বাইর দুদিক থেকেই যেন দেখা হয়ে যায় মার্ক টোয়েনের বাড়ি।
গেট পেরিয়ে বাড়িটায় ঢুকতেই বিস্তৃত হলওয়ে। সেখানে বেঞ্চে মার্ক টোয়েন বসে আছেন, হাতে খোলা বই। আরেক জায়গায় তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। এগুলো আসলে ভাস্কর্য। কী জীবন্ত এই ভাস্কর্যগুলো, যেন সত্যি সত্যি মার্ক টোয়েন এখানে বসে আছেন। দেয়ালে নানা তথ্যের পাশাপাশি বাড়িটায় মার্ক টোয়েনের বেশ কিছু ছবি টানিয়ে রাখা হয়েছে। খানিকটা সামনে গেলেই ইনফরমেশন সেন্টার। মিউজিয়াম ও মার্ক টোয়েন–সম্পর্কিত তথ্য দিতে তারা সব সময়ই প্রস্তুত থাকে।
দূর পরবাসে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
মিউজিয়াম হলেও বাড়িটায় প্রবেশ বেশ নিয়ন্ত্রিত। অধিকাংশ মিউজিয়ামেই যেমন টিকিট কেটে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো যায়, এখানে ব্যাপারটা সে রকম নয়। টিকিট কেটে ঢুকতে হবে, তবে মিউজিয়ামের ভেতর ট্যুরটা হবে গাইডেড, অর্থাৎ মিউজিয়ামের গাইড সঙ্গে থাকবে। এই ট্যুর আবার দুই রকমের—সাধারণ ট্যুর ও লিভিং হিস্ট্রি ট্যুর। সাধারণ ট্যুর ৫৫ মিনিটের, যেখানে পুরো বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখানো হবে, বর্ণনাও দেওয়া হবে। সত্তর মিনিটের লিভিং হিস্ট্রি ট্যুরে বাড়ি, বাড়ির বিবরণের পাশাপাশি মার্ক টোয়েনের জীবনের নানা ইতিহাসও তুলে ধরা হয়। দুটি ট্যুরে অবশ্য টিকিটের মূল্য আলাদা, যথাক্রমে ২৮ ও ৩১ ডলার। সিনিয়র এবং বাচ্চাদের জন্য টিকিটের হার অবশ্য ভিন্ন। ইতিহাস তো জানাই যাবে, আমাদের বিবেচনায় কেবল বাড়িটা ঘুরে দেখা। শুরুতেই গাইড স্মরণ করিয়ে দেন—বাড়ির ভেতর কোনো ছবি তোলা যাবে না, ভিডিও করা যাবে না। শুধু ঘুরে ঘুরে চোখে দেখা যাবে, স্মৃতিতে যতটা ছাপ ফেলা যায়—সে পর্যন্তই।
কী আছে মার্ক টোয়েন মিউজিয়ামে? প্রশ্নটা অবান্তর। একটা দেশের সাহিত্যের জনক হিসেবে যিনি বিবেচিত হন, তিনি যে বাড়িটায় থেকেছেন, যেখানে বসে লিখেছেন, যেখানে বিশ্রাম নিয়েছেন—সবই তো দেখার বিষয়। মার্ক টোয়েনের সারা দুনিয়ায় আলোড়ন তোলা বইগুলোও তিনি লিখেছেন এই বাড়িতে বসেই। দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব টম সয়ার, দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন—লিখেছেন এই বাড়িতে বসেই। সেই সময়কার মার্কিন সভ্যতা আর অসভ্যতার দ্বন্দ্ব, বর্ণ বৈষম্য আর ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণের অসাধারণ চিত্র এই দুটি বই। কাহিনি পরম্পরায় বই দুটিকে সিকোয়েল হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এখনো এই দুটি বই পশ্চিমা সাহিত্যের আলোচনায় এমনকি সভ্যতার বিকাশের আলোচনায়ও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। সাহিত্যের যাঁরা মনোযোগী পাঠক, তাঁরা এখনো বিস্ময় নিয়ে জানতে চান—মার্ক টোয়েন সেই সময়ে এমন অসাধারণ কাহিনিচিত্র কীভাবে নির্মাণ করতে পেরেছিলেন।
মার্ক টোয়েন তাঁর লেখায় সাহিত্যে ইউরোপীয় বিশেষ করে ব্রিটিশ ফর্মাল স্টাইলের বাইরে আমেরিকান ইনফরমাল ভাষা, ব্যঙ্গরসকে সাহিত্যের উপজীব্য করে তোলেন। তাঁর লেখায় সাহিত্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব স্টাইল প্রতিষ্ঠা পায়। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, আধুনিক আমেরিকান সাহিত্যে ব্যঙ্গরস, সাহিত্যের নিজস্ব রীতি এগুলো আসলে মার্ক টোয়েনের দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হ্যাকলবেরি ফিন থেকে উৎসারিত। লেখক উইলিয়াম ফকনার তাঁকে আমেরিকান সাহিত্যের জনক হিসেবে অভিহিত করেন। তবে এই বিশেষণের কেউ বিরোধিতা করেছেন বলে শোনা যায়নি।
কালজয়ী এই বইগুলো যেখানে বসে তিনি লিখেছিলেন—সেগুলো সংরক্ষণ করা আছে এই মিউজিয়ামে। তাঁর নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার ও সংগ্রহ করা ২৫ হাজার স্যুভেনির এই মিউজিয়ামে আছে বলে ইনফরমেশন বুথ থেকে জানানো হয়েছে। তা ছাড়া মার্ক টোয়েন সৌখিন ছিলেন, ছিলেন পরিব্রাজক। নানা দেশ ঘুরে বেড়াতেন, যেখানে যেতেন সেখান থেকেই নিয়ে আসতেন নানা ধরনের সৌখিন জিনিস। তাঁর নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সংগ্রহ করা এসব জিনিস রুমে রুমে সাজানো আছে এখনো। তাঁর বেডরুম, যেখানে তিনি ঘুমাতেন—কিঞ্চিৎ বাঁকানো বিছানা, পাশেই তাঁর লেখার রুম। সেই রুমে দেশ–বিদেশের নানা রকম বইয়ে ঠাসা। মার্ক টোয়েনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন ছিল না। কিন্তু মিউজিয়ামে তাঁর রিডিংরুমে রাখা বইয়ের সংগ্রহ দেখে আঁচ করা যায় তিনি কী পরিমাণ পড়াশোনা করতেন।
আচ্ছা, মার্ক টোয়েন কি এই বাড়িতেই জন্মেছিলেন
না, স্যামায়েল ল্যাংহোর্ন ক্লেমেন্স যিনি মার্ক টোয়েন নামেই পৃথিবীব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন, তাঁর জন্ম ও শৈশব কেটেছে আসলে ফ্লোরিডার মিসিসিপি নদীর তীরের শহর মিসৌরিতে। চার বছর বয়সে অবশ্য তিনি চলে যান হানিবাল নামে অন্য একটি শহরে। ১২ বছর বয়সে বাবার মৃত্যু হলে তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ভাইয়ের পত্রিকার শিক্ষাবনিশ প্রিন্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ভাইয়ের সেই পত্রিকা ‘হানিবাল জার্নালে’ কাজ করেন। কানেটিকাটে তিনি এসেছেন আসলে আরও অনেক পরে। সেটা ১৮৬৮ সালের কথা। প্রথমে তিনি একা, পরে ১৮৭১ সালে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি কানেটিকাটে আসেন। নুক ফার্ম নেইবারহুডে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ৩৫১ ফার্মিংটন অ্যাভিনিউর নতুন বানানো এই বাড়িতে আসেন। স্ত্রী ও তিন কন্যাকে নিয়ে তিনি এই বাড়িতে কাটিয়ে দেন ১৭টি বছর।
মার্ক টোয়েনের যে পুরোটা জীবন এই বাড়িতেই কেটেছে, তা–ও কিন্তু নয়। ব্যবসায় মার খেয়ে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ১৮৯১ সালে তিনি বাড়িটি ভাড়া দিয়ে ইউরোপে চলে যান। সে সময় তিনি ইউরোপের নানা শহরে ঘুরে ঘুরে বক্তৃতা করে বেড়াতে থাকেন। মাঝখানে এসে কিছুদিন এই বাড়িতে থাকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে আর থাকা হয়নি। ১৯০৩ সালে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন।
মার্ক টোয়েনের শেষ জীবন কেটেছে বিশাল এক ম্যানসনে। কানেটিকাটেরই রেডিং নামক স্থানে সেই ম্যানসনটি তৈরি করা হয়েছিল মার্ক টোয়েনের জন্যই। তিনি সেই বাড়িটির নাম দিয়েছিলেন ‘স্টর্মফিল্ড’, তাঁর একটি গল্পের নামানুসারে। পাহাড়ের ওপর ২৮ একর জায়গাজুড়ে ভিলার মতো সেই বাড়িটির লিভিং স্পেসই ছিল ৬ হাজার ৩০০ স্কয়ার ফুট। কিন্তু সেই বাড়ি ইতিহাস হয়নি, মিউজিয়ামও হয়নি। কেবল সাহিত্যই নয়, প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসেও ফার্মিংটনের বাড়িটিই (যেটি আমরা দেখতে এসেছি) জায়গা করে নিয়েছে। মার্কিন সরকার বাড়িটিকে ন্যাশনাল হিস্ট্রিক ল্যান্ডমার্ক হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার মার্ক টোয়েনের বাড়িটিকে ‘ন্যাশনাল হিস্ট্রিক ল্যান্ডমার্ক’ হিসেবে ঘোষণা করলেও এটি কিন্তু সরকারের মালিকানাধীন নয়। বেসরকারি ট্রাস্টের মালিকানাধীন। সেই ট্রাস্টই এই মিউজিয়াম পরিচালনা করে, বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ও পালন করে।
মার্ক টোয়েন তো বাড়িটি বিক্রি করে চলেই গিয়েছিলেন। তাহলে এটি আবার উদ্ধার হলো কীভাবে? মিউজিয়ামই–বা হলো কীভাবে? সে–ও এক চমকপ্রদ কাহিনি।
ভিন্ন মালিকের হাতে বাড়িটি কখনো ভাড়া বাড়ি, কখনো লাইব্রেরি কখনো বা স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। একটা সময় বাড়িটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগও নেওয়া হয়। সেই সময়েই ‘ফ্রেন্ডস অব হার্টফোর্ট’ নামে একটা গ্রুপ বাড়িটি কিনে নেয়। মার্ক টোয়েন মেমোরিয়াল অ্যান্ড লাইব্রেরি কমিশন নামে বেসরকারি একটি সংস্থা গঠন করে বাড়িটিকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়। সেই থেকেই এই বাড়ি মার্ক টোয়েন’স হোম অ্যান্ড মিউজিয়াম হিসেবে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করে। বেশ কিছু সংস্কারে পর ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘দ্য মার্ক টোয়েন হাউস অ্যান্ড মিউজিয়াম’, যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বিশ্বসাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বসাহিত্যের সেই অমূল্য সম্পদ মার্ক টোয়েন’স হাউস অ্যান্ড মিউজিয়ামে ঘুরে ঘুরে, মিউজিয়ামের লবিতে থাকা মার্ক টোয়েনের সঙ্গে (আসলে ভাস্কর্যের সঙ্গে) হালকা জড়াজড়ি করে, ছবি তুলে বেরিয়ে পড়ি।
ইয়েল ইউনির্ভাসিটি আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে যে!