প্রেমের শহর প্যারিসে-২

মোনালিসা

 ৩.

ল্যুভর মিউজিয়ামে যখন পৌঁছলাম, তখন আমাদের কিছুটা ক্লান্ত শরীর আনন্দে চাঙা হয়ে উঠল। দারুণ সুন্দর মিউজিয়াম। বিশাল বড়। বিশাল বিশাল শিল্পকর্ম। এই মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৯৩ সালে। প্রতিবছর প্রায় ৯০ লাখ লোক এখানে বেড়াতে আসেন। এটা দেখে অবাকই হতে হয়। এসব দেখে মনে মনে ভাবি, পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে, যাদের অনেক টাকা আছে কিন্তু এসব শিল্পকর্ম! চাইলেই কি ভ্যানগঘের মোনালিসা আঁকতে পারবে তারা? সভ্যতা এমন এক বিষয়, রাতারাতি আসে না। চায়ের ছাকনির মতো, ছুঁয়ে ছুঁয়ে আসে। বিশাল মিউজিয়াম ঘুরতে ঘুরতে পায়ে ব্যথা হয়ে যাচ্ছে, অবশ্য কোথাও কোথাও বসার জায়গা আছে। মাঝেমধ্যে বসি। এক রুমে ঢুকে দেখি মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। ব্যাপার কী! সেই বিখ্যাত ‘মোনালিসা’ ছবিটি শোভা পাচ্ছে। এটি আসল ছবি। এই ছবির পোস্টার বাংলাদেশের অনেকের বাসাবাড়িতে বাঁধিয়ে রাখতে দেখেছি। মোনালিসার হাসি নিয়ে শিল্প–সাহিত্যে কত উদ্ধৃতি। এর আসল ছবিটা এখন আমার চোখের সামনে। লোকজন ভিড় ঠেলে ছবি তুলছে। ছবি তুললাম আমরাও। কিন্তু মন খারাপ হলো। আসল ছবির সাইজ যে এত ছোট হবে, কল্পনাও করিনি। কয়েক ইঞ্চি দৈর্ঘ্য–প্রস্থে। ছেলে-বউয়ের এসব ছবি নিয়ে তেমন কোন কৌতূহল নেই। ছেলের বয়স কম, শিল্প–সাহিত্য বোঝার বয়স না। আর আমার স্ত্রী! কখনোই এসব বিষয়ে তার কোন আগ্রহ ছিল না। যাক, তারপরও তারা আমার সঙ্গে হাঁটছে। তাল মিলাচ্ছে। আমার মন খারাপ করতে চাইছে না, তা-ই বা কম কিসে!

মিউজিয়াম থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। বউকে বললাম, আজকে ভাত খেতেই হবে। এ কয়েক বেলা বার্গারফারগার খেয়ে বিরক্ত হয়ে গেছি। বাঙাল, ভাত ছাড়া কি চলে? লন্ডন থেকে আসার সময় এক ছোট ভাই, তার পরিচিত একজনের নম্বর দিয়ে বলেছিল, কোনো সমস্যা হলে এই ছেলেকে ফোন দিতে। সে প্যারিসেই থাকে। ফোন দিলাম তাকে। ফোন দিয়ে বললাম, ভাই, প্যারিসে বাঙালি রেস্তোরাঁ আছে?

 —আছে।

 —কোথায়?

 Gare du Nord মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে সোজা হাঁটতে থাকবেন, নাক বরাবর, পেয়ে যাবেন। ভাত খাওয়ার জন্য রওয়ানা দেব, অমনি বেঁকে বসল ছেলে। সে ভাত খেতে চায় না। সে ব্যাঙ খাবে, শামুক। এগুলো নাকি প্যারিসে খুব বিখ্যাত। ফ্রান্সের এক রেস্তরাঁয় ঢুকলাম। ওরা বলল, ব্যাঙ নেই, তবে শামুক আছে।

 ছেলেকে বললাম, শামুক খাবি! আমাদের দেশে তো এগুলো হাঁসেরা খায়।

 আমার কথা শুনে সম্ভবত ছেলের প্রেস্টিজে ধরল, হাঁসের খাবার আমি খাব! সে সিদ্ধান্ত পালটে ফেলল। বলল, চল, তাহলে ভাত-ই খাই। চড়লাম মেট্রোরেলে। ভাতের সন্ধানে। প্যারিসপ্রবাসী ছেলের ডিরেকশন ফলো করে পৌঁছে গেলাম বাঙালি রেস্তোরাঁয়। বাঙালি মানুষ পেয়ে মন খুশি কিন্তু রেস্তরাঁ এরকম কেন! ছোট চায়ের স্টলের মতো। এই জাঁকজমকপূর্ণ প্যারিস শহরে! যাক, বাঙালি রেস্তরাঁ যে পেয়েছি, এটাই বেশি। ভাত তো খেতে পারব। পুরো রেস্তরাঁয় একজনমাত্র বাঙালি কাস্টমার মাছ দিয়ে ভাত খাচ্ছে। খাবারের অর্ডার দিলাম। তারা বলল, খাওয়া দিতে একটু দেরি হবে।

 সমস্যা নেই।

আরও পড়ুন

লেগে গেলাম তাদের সঙ্গে গল্পে। তারা বলল, তাদের সব কাস্টমার বাঙালি। বিদেশি ঢুকে না বলেই চলে। যেসব বাঙালিরা এখানে কাজ করে, পড়াশোনা করে, চাল-চুলা নেই—মূলত তারাই তাদের কাস্টমার।

 ভাত তরকারি এল। মুখে দিয়ে মনে হলো, এ তো ভাত তরকারি না, অমৃত। পাগলের মতো খেতে থাকলাম, আমি আর আমার বউ। আর ছেলে খেলো সামান্য। খেয়ে হোটেলে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় ১০টা। রুমে ফিরে বউ বলল, একটা ভুল হয়ে গেছে।

 কী!

 কিছু ভাত-তরকারি নিয়ে আসা উচিত ছিল, আগামীকালের জন্য।

 আসলেই তো। এই বাঙালি রেস্তরাঁটা আমাদের হোটেল থেকে বেশ দূর। প্রতিদিন যাওয়া সম্ভব না। এখন!

 রুমে ফিরে হাতমুখ ধুলাম। ঘুমুতে ঘুমুতে প্রায় রাত ১২টা। আগামীকাল যাব ডিজনিল্যান্ড। বাচ্চাদের স্বপ্নরাজ্য। ছেলের খুব উৎসাহ–উদ্দীপনা এই নিয়ে। আমাদেরও। দেখি কী দেখা যায়।

৪.  

সকালে উঠে আজ আর ব্রেকফাস্ট খেতে হোটেলের রেস্তোরাঁয় গেলাম না। রুমে থাকা টুকটাক নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে গেলাম। আমাদের হোটেল থেকে মেট্রোরেল স্টেশনে হেঁটে যেতে ১০ মিনিট লাগে। ডিজনিল্যান্ডে পৌঁছতেই চোখ আটকে গেল তার সৌন্দর্যে। ছবির মতো চারদিক। মানুষ জন ক্লিকক্লিক ছবি তুলছে। আমরাও। বিশাল জায়গাজুড়ে ডিজনিল্যান্ড। হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা। তারপরও হাঁটতে হয়। ছেলের বায়না বলে কথা। এটায় যাবে, ওটায় উঠবে। বাবা মানেই তো ত্যাগ। মা মানেই তো উজাড় করে দেওয়া। রাইড, কার্টুন, নৌকাভ্রমণ, বাচ্চাদের ট্রেন—কতকিছু। টাকাও লাগে। এক জায়গায় এসে দেখি অনেক ভিড়। ডোনাল্ড ডাক। কার্টুন চরিত্র। তার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য বাচ্চাদের লম্বা লাইন। ছেলেকে বললাম, এটা বাদ দাও, কিন্তু সে বাদ দেবে না। পরে আর কী করা, আমরাও শিশু হয়ে কার্টুনের সঙ্গে ছবি তুললাম, অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে। আরেকটা ছবি তুলেছিল আমার ছেলে, ভূতের সঙ্গে। তোলার সময় ভয় পায়নি কিন্তু ছবি দেখে পরে ভয় পায়। ভয় পেয়েছি আমরাও। একটা বিশাল রাইড, যেটি শূন্যের ওপর তুলে, মাথা ঝুলিয়ে দেয় নিচের দিকে, তারপর একটা আছার দেয়, ওই আছার খেতেই কিশোর-কিশোরীদের প্রবল আগ্রহ। আগ্রহ আমার ছেলেরও কিন্তু উচ্চতায় তাকে এলাউ করছে না তারা। তারা বলল, সে উঠতে পারবে, যদি প্রাপ্তবয়স্ক কেউ সঙ্গে থাকে। কিন্তু আমি ওসবে উঠলে আমার মাথা ঘোরায়, বমির ভাব হয়, ছেলের মাও ভয় পায়। এখন! ছেলের মন খারাপ। ছেলেকে বললাম, এটা ছাড়া তুমি যে কোনোটায় ওঠো, আপত্তি নেই। ছেলে রাজি হলো এবং দূরে পাহাড়ের গায়ে ঝুলে থাকা ট্রেন দেখিয়ে বলল, ওটাতে আমি উঠব। হায় আল্লাহ, এতো আরেক বিপদ! ট্রেন পাহাড়ের মধ্যে ঝুলে আছে। তাকে বললাম, ঠিক আছে, নৌকাভ্রমণ সেরে নিই, তারপর উঠব। ছেলে রাজি হলো।

 নৌকায় উঠলাম। মানে আমাদের দেশের লঞ্চের মতো। ডিজনিল্যান্ডের ভেতরই লেক। তার ভেতর দিয়ে নৌকা ছুটে চলে। তখন বিকেল। চারদিক মায়ামায়া। একটা মুগ্ধ পরিবেশ। নৌকায় বিভিন্ন দেশের মানুষ। নৌকা ছুটে চলছে মন্থর গতিতে। চারদিকে গাছপালা, পাখি, জলের মৌনতা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা মানুষের কৌতূহলী চোখ, চোখের গভীরতা, সংগীতের মূর্ছনা, মাছের নড়ে ওঠা, চারদিক করে রাখে অদ্ভুত সুন্দর। মানুষ ছবি তুলে, হাসে, বাতাস খায়, খাই আমরাও।

 একসময় হঠাৎ খেয়াল করি, যে ট্রেনটায় আমরা চড়ব বলে ঠিক করেছি, সেটি বিকল হয়ে ঝুলে আছে, পাহাড়ের গায়ে। ভীত যাত্রীদের উদ্ধার করতে ছুটে এসেছে উদ্ধারকারী দল। তাদের পরনে ইউনিফর্ম। ছেলেকে বললাম, দেখ, ট্রেন বিকল। ছেলের মন খারাপ। আর আমি আমার স্ত্রী মনেমনে খুব খুশি, আল্লাহ বাঁচাইছে, উঠতে হয়নি।

 ডিজনিল্যান্ড থেকে বেরুতে বেরুতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ডিজনিল্যান্ড থেকে বেরিয়ে একটা ফ্রেঞ্চ রেস্তরাঁয় ঢুকলাম কিন্তু ছেলে-বউয়ের মেনু পছন্দ হলো না, পরে সিদ্ধান্ত হলো, ম্যাকডোনাল্ডে খাব। তারপর ট্রেন থেকে নেমে কিছুক্ষণ হাঁটলাম। যদিও ক্লান্ত কিন্তু হাঁটতে খারাপ লাগছে না। আবহাওয়া চমৎকার। না ঠান্ডা, না গরম। রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিছু স্নাকস ও পানি কিনলাম। হোটেলে পৌঁছার পর দেখা করতে এল বাঙালি দুই ছেলে। আমার ছোট ভাইয়ের পরিচিত। প্যারিসেই থাকে। অনেকক্ষণ গল্প করলাম। খেতে দিলাম রুমে থাকা কিছু হালকা খাবার। বিদেশের মাটিতে দেশের অপরিচিত লোকও আত্মীয় হয়ে ওঠে। রাত ১১টার দিকে চলে গেল তারা। আগামীকাল প্যারিসে আমাদের শেষ দিন। ডাক্তার জেসমিন আপার বাসায় দাওয়াত। প্রিয়জনদের জন্য টুকটাক গিফট কিনব। এইটুকুই কর্মসূচি।

৫.  

সকালে নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে গেলাম শপিংয়ে। কিন্তু শপিং সেন্টার কোন দিকে? কতদূর? মানুষজনকে জিজ্ঞেস করি, কিন্তু বেশির ভাগ লোকই ইংরেজি জানে না অথবা বলতে চায় না। গুগল ম্যাপে ভর করেই এগোলাম। টুকটাক বাজার করলাম। হঠাৎ বউ বলল, আপার বাসায় দাওয়াত কখন?

 রাতে।

 আরে না, দুপুরে। বউ বলল।

 পড়লাম সমস্যায়। রাতে? না দুপুরে?

 বউ বলল, চলো, চলে যাই, আগে গেলে সমস্যা কী, বসেবসে গল্প করলাম।

 বউয়ের কথায় রওয়ানা দিলাম জেসমিন আপাদের বাসায়। বাসা পেতে সমস্যা হলো না। বেশ বড় ফ্ল্যাট। দুলাভাই ব্যবসায়ী, রাজবাড়ির লোক, আপা ময়মনসিংহের। কিন্তু বাসায় পৌঁছার পর খাওয়া-দাওয়ার তেমন কোন আয়োজন চোখে পড়ল না। গল্প করছি ঠিক, হাসছি ঠিক কিন্তু পেটে ক্ষুধা। বুঝতে বাকি থাকল না, দাওয়াত রাতের। এ অবেলায় এসে তো ধরা খেয়ে গেলাম। এখন ক্ষুধা নিবারণ করি কীভাবে? লজ্জায় বলতেও পারছি না। তারা হয়তো ভেবে নিয়েছেন, আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে আসছি। তখন বেলা প্রায় আড়াইটা। আবার যে বাইরে বেরুব, বেরিয়ে খাব, কী বলে বেরুব!

 দুশ্চিন্তায় পড়লাম। হঠাৎ দুলাভাই বললেন, আমি কিছু নাশতা কিনে নিয়ে আসি, তোমরা বসো। তারপর তিনি বেরিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর তিনি ফিরে এলেন বার্গার টাইপ কিছু খাবার নিয়ে। যাক বাঁচা গেল। খাওয়াদাওয়া করে, দুলাভাই বললেন, চল, তোমাকে এক জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাই। সেখানে সুনামগঞ্জের মানুষ পাবে।

 সুনামগঞ্জের মানুষ! কে সে?

 সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর। ফারুক। আওয়ামী লীগ নেতা। চিন?

 চিনি। তবে সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি।

 দুলাভাই, আমি ও ছেলেকে নিয়ে রওয়ানা দিলেন, তার গাড়িতে। কিছুক্ষণ চালানোর পর গাড়ি এক জায়গায় থামল। ছোট একটা ক্যাফে। সামনে কয়েকটা চেয়ার-টেবিল পাতা। আমাকে দেখেই ফারুক ভাই উঠে দাঁড়ালেন, জড়িয়ে ধরলেন, মনেই হয়নি, এটা তার সঙ্গে প্রথম দেখা। তিনি আমার চাচাতো ভাইয়ের বন্ধু। শুরু হলো আড্ডা, একে একে সুনামগঞ্জের আরও চার–পাঁচজন এসে জড়ো হলেন, তারা কেউই আমার পূর্ব পরিচিত নন। তারপরও মনে হলো, এরা আমার প্রাণের লোক। অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম। আজ বেশ ঠান্ডা কিন্তু আড্ডায় আর কফির ঘ্রাণে সবকিছুই উষ্ণ। ফারুক ভাই আমাকে বিল দিতে দিলেন না। এখান থেকে উঠে, দুলাভাই নিয়ে গেলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতির দোকানে। সেখানেও কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। উনার বাড়ি ঢাকার পুরানা পল্টনে। কথা বলতে বলতে পরিচয়ও বেরিয়ে গেল, উনার এক বন্ধু আমার বন্ধুর দুলাভাই।

রাতে বাসায় ফিরে হরেকরকম খাবার খেলাম। জেসমিন আপা বেশ রসিক মানুষ। খুব হাসাতে পারেন। হুমায়ূন–ভক্ত তিনি। আমার লেখা বই দিলাম তাকে। তাদের মেয়ে, প্রথম বাঙালি যে ফ্রান্সের সিভিল সার্ভিসে চান্স পেয়েছে। গৌরবের বিষয়। অনেকক্ষণ আড্ডা দেয়ার পর, দুলাভাই তার গাড়িতে আমাদের হোটেলে নামিয়ে দিলেন। পরের দিন ভোরে আমাদের ফ্লাইট। বাঙালি এক উবারচালক ভাইকে বলে রেখেছি, তিনি রাত চারটায় এসে আমাদের হোটেল থেকে নিয়ে যাবেন। যথাসময়ে এসে তিনি নামিয়ে দিলেন এয়ারপোর্টে। বিমানের ভেতর ঢুকে ছেলে বলল, বাবা, আমার খারাপ লাগছে।

কেন! কেন!

প্যারিসকে খুব মিস করব।

ছ্যাঁত করে উঠল আমার হৃদয়। এই কয় দিনে প্যারিসকে অবচেতন মনে ভালোবাসতে শুরু করেছি। রাতের প্যারিস অন্যরকম হয়ে যায়। চোখে ভেসে থাকল আইফেল টাওয়ার, মিউজিয়াম, ডিজনিল্যান্ড, জেসমিন আপার বাড়ি, হোটেলের ব্যাঙবেড, শিমুলতুলার বালিশ আরও কত কী। যথাসময়েই লন্ডন পৌঁছলাম। কে জানে, প্রেমের শহর প্যারিসে আর যাওয়া হয় কি না, গেলেও আর পাওয়া যাবে না, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতিকে। প্রিয় ফারুক ভাইকে। করোনার কাছে পরাজিত হয়ে, দুজনেই এখন পরপারের যাত্রী। আল্লাহ তাদের বেহেস্ত নসিব করুন, আমিন।