দূর পরবাস ও পাঠকের আহাজারি
গত ২০ মে আমি অনলাইনে প্রথম আলো পত্রিকাতে একটা লেখা পাঠাই। লেখার শিরোনামটা ছিল ‘এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস’। পত্রিকাটির দূর পরবাসে আমি মাঝেমধ্যে দু–একটি লেখা দেওয়ার চেষ্টা করি। জানি লেখাটেকা আমার দ্বারা হয় না। ভালো হয় না মোটেও। তারপরেও দেখি প্রিয় প্রথম আলো লেখাগুলো প্রকাশ করে। লেখা পাঠানোর পর থেকে প্রকাশ হওয়ার আশায় কতবার যে দূর পরবাসে চোখ বুলাতে যাই, তার কোন ইয়ত্তা নেই। লেখাটি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত মনের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। বারবার দূর পরবাসে যেয়ে আমার মনটা নীরব কষ্ট নিয়ে ফিরে আসে, যতক্ষণ না লেখাটি প্রকাশ পায়। তখন মনে হয়, লেখাটি বোধহয় প্রকাশের যোগ্য হয়নি। লেখার মধ্যে ঘাপলা আছে, দোষত্রুটি আছে, লেখার কুঁড়ি ফুটে ওঠেনি। বোকারাম লেখক ভাবতে আরম্ভ করি। আর যদি লেখাটি প্রকাশ হয়, তখন নিজের কল্পনা জগতে চলে যাই। নিজেকে ভাবতে থাকি, আমি যেন হয়ে গেছি সোহরাব হাসান, ফরিদ খান, সারফুদ্দিন আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ, হেলাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।
আমার লেখা ‘এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস’ পাঠানোর পর কতজনের লেখা কত প্রান্ত থেকে গেল আর এলো, কিন্তু আমার লেখা আর উঁকি দিল না। ২০ মে আমার লেখা পাঠানোর পরের দিন থেকেই আশার প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে দূর পরবাসে তল্লাশি শুরু করতে থাকি সেই এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস। কিন্তু প্রথমেই পেয়ে গেলাম ২১ মে কানাডা থেকে অতনু দাশ গুপ্তর লেখা, ‘কানাডার চাকরি বৃত্তান্ত অষ্টম পর্ব’। যা হওয়ার তাই হলো, সাউথ আফ্রিকার চাকরি ফাঁকি দিয়ে কানাডার চাকরি বৃত্তান্ত উপভোগ করতে হলো।
একই দিনে কয়েকবার দূর পরবাসে ঘুরঘুর করতে করতে পেয়ে গেলাম অনিন্দিতা কাজী কর্তৃক পাঠানো মায়ের আহ্লাদী হতভাগিনী একমাত্র মেয়ে। ধন্যবাদ অনিন্দিতা কাজীকে। এ দিনে এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস না পেয়ে পরের দিন অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন ২২ মে দফায় দফায় দূর পরবাসে যেতে লাগলাম। সেদিন তুরস্ক থেকে হাফিজুর রহমান বিশ্লেষণ করলেন দ্বিতীয় দফায় এরদোয়ান জয় পাবেন কি পাবেন না। তখন থেকে জানতে ইচ্ছে হলো এরদোয়ান সম্পর্কে। তাঁকে নিয়ে নানান প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে মনের মধ্যে। বসে গেলাম বইপত্র ঘাঁটতে। কয়েক ঘণ্টা পর মনে পড়ে দূর পরবাসে চোখ বুলানোর কথা। দ্রুত চলে গেলাম প্রথম আলোর দূর পরবাসে। যেয়ে দেখি সিডনি থেকে কাউসার খান জানিয়েছেন, সিডনিতে বাংলা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর।
সুতরাং এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস না পাওয়ার জ্বালায় যখন জ্বলছি, যে জ্বালা অন্তরের স্বপন দুয়ারে অনুভূতিতে টক্ টক্ শব্দে টক্করাটক্করিতে ব্যস্ত, ২২ মে ঠিক তখন দূর পরবাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে অস্ট্রেলিয়া থেকে মামুন আ. কাইয়ুম ভিন দেশে বাংলা নববর্ষ পালনের অনন্য অনুভূতি।
পরের দিন অর্থাৎ ২৩ মে এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস অনুসন্ধানে যখন এদিক দূর পরবাসে পায়চারি করছি, ঠিক তখন সুইডেনে কারও সাথে দেখা হয়েছিল আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে রহমান মৃধার। পরে দূর পরবাস ডেস্ক জানিয়ে দিল আজ আর এখানে না এসে কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজীর প্রতি শ্রদ্ধা–স্বরণ সভা হচ্ছে, ওখানে যাও, অথবা রাশেদ শাওনের টরন্টোতে আনন্দমুখর ষষ্ঠ বাংলাদেশ উৎসবে ঘুরে আসো। অথবা কাওসার খান সিডনিতে আছেন, তিনি জানিয়েছেন যে সিডনিতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে যেয়ে চা খেতে পার। তবে আজ আর এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস পাবে না। সত্যি তাই হলো। কারণ, শেষমেশ দিনশেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফারিয়া হোসেন তাঁর নিজস্ব একখণ্ড অপরাহ উইনফ্রেকে হাজির করলেন। ধন্যবাদ ফারিয়া হোসেনকে।
২৪ মে খুব ভোর হতেই কাওসার খান জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার রাজধানীতে বৈশাখী মেলার খবর। সে দিন সারাদিনে দূর পরবাসে আসা–যাওয়াটাই বৃথা। এই মেলাতেই দিন কেটে গেল দূর পরবাসের।
২৫ মে, আজ হয়তো আমি এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইসের দেখা পাব। এ আশা নিয়ে ছুটছি দূর পরবাসে। যেয়ে দেখি অদ্ভুত কাণ্ড। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা নিতে চীনের গুয়াংশিতে। সেখানে আছেন মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম।
ওই দিন বসেছিলাম একটা চেরি ফুলগাছের নিচে। বেতের তৈরি দোল খাওয়া চেয়ারে এক কাপ লাল চা নিয়ে চেরি গাছের ঝড়ন্ত ফুলের দিকে চেয়ে আছি। এমন সময় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন চেরি ফুল সমাচার ও বঙ্গীয় আমবিষয়ক প্রস্তাব পেলাম।
২৬ মে দূর পরবাসে নেদারল্যান্ডসের তানজিলা রহমান মৌনিতা সারাদিন ব্যস্ত ছিলেন সে দেশের ফ্যাশন বিপ্লব: উন্নত বস্ত্র, ন্যায্য মজুরি নিয়ে। এদিন তিনি আর কাউকে পাত্তাই দেননি। দূর পরবাসের দরজা বন্ধ রেখেছিলেন তিনি।
২৭ মে লন্ডন থেকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আমেজ জানালেন নিলুফা ইয়াসমীন হাসান। আমি যখন এক গ্লাস বিয়ার আর দুই টুকরো আইস সন্ধানে ব্যস্তরত ঠিক তখন কানাডায় ফুলের জলসা আসর সাজিয়ে বসে ছিলেন জাহান সৈয়দ। সেখানে যেতে লাগলে পাসপোর্ট লাগবে, তাই পরের দিন কাওসার খান সিডনি থেকে বললেন, সেখানে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। সেই উল্লাসে উল্লসিত মনির হোসেন পর্তুগাল থেকে জানালেন, সে দেশে বেনফিকার জয়ে সমর্থকদের উল্লাস।
দূর পরবাসে ২৮ মে কানাডা থেকে অতনু দাশ গুপ্ত সে দেশের চাকরি বৃত্তান্ত : নবম পর্ব ফাঁস করলেন। তার পরক্ষণেই পাওয়া গেল প্যারিসে বসবাসরত অনুপম বড়ুয়া টিপুর ফ্রান্সে উদীচী ফ্রান্স সংসদের বৈশাখী আয়োজন। ফ্রান্সের এই খবর শুনে জার্মানি থেকে ২৯ মে বাবু সর্দার ঝাঁপিয়ে পড়লেন ফ্রাঙ্কফুর্টে বন্ধন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন নিয়ে। এত আয়োজন এতো উদ্যাপন চলছে দূর পরবাসের আঙ্গিনায়, তাই সিডনির কাউসার খান সেই দিনই মেকাপ মেরে দূর পরবাসের মঞ্চে উঠে এলেন পালাগান ও মঞ্চ নাটক নিয়ে। তবে এত ভিড়ের মধ্যেও কানাডায় বসে নেই ফারহানা আজিম শিউলি। তিনি ১৬২ তম রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অনালোচিত-ব্রাত্য রবীন্দ্র গানের স্বরলিপিকারদের স্মরণে পাঠশালার আসর সাজিয়েছেন।
এক গ্লাস বিয়ার আর দুই টুকরো আইসের আসর খুঁজে পাওয়া না গেলেও চারি চৌপটে বিভিন্ন আসর, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, স্মরণসভা, আনন্দ–উল্লাস, জলসা, মেলা ইত্যাদি ইত্যাদি উদ্যাপনের আলোতে দূর পরবাসের আঙিনা ঝলমল ঝলমল করছে। এরই মধ্যে ৩০ মে অস্ট্রিয়ার স্লোভেনিয়া হতে বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুনর্মিলনী উন্যাপনের সুইচ টিপে দিলেন রাকিব হাসান রাফি। সেদিনই আবার জমে উঠেছিল বিলেতে আনন্দধারা আর্টসের রবীন্দ্র উৎসব। এ খবরটা জানালেন লন্ডন থেকে কৃষ্ণ সাহা। ও দিকে কাউসার খানের সিডনিতে প্রাক্তন ঢাবিয়ানদের স্বাধীনতা দিবস ও বৈশাখ উদ্যাপন হলো।
৩১ মে দূর পরবাসে মাহমুদ চৌধুরীর ‘ইছামতি থেকে ইস্ট রিডার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের খবর উন্মোচন করলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা থেকে। সর্বত্র যখন চলছে স্পন্দনমুখর আনন্দমিশ্রিত পরিবেশ, তখন তো নিত্যনতুন পোশাক–আশাক চাই-ই চাই। তাই আমেরিকায় অবস্থানরত ইয়াসমিন সারাহ চৌধুরী ব্যস্ত হয়ে গেলেন কেনাকাটাতে।
আমি এতো খোঁজাখুঁজি করেও যখন এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইসের সন্ধান পাচ্ছি না, ঠিক তখনই মেক্সিকো সিটিতে এক টুকরো বাংলাদেশ পেয়ে তো মহাখুশি ফারুক হিমেল।
অস্ট্রেলিয়া-ইউরোপ ঘুরতে যেয়ে অস্ট্রেলিয়া থাকা অবস্থায় দিলরুবা শাহানা ১ জুন দূর পরবাসে খুব চমৎকারভাবে ভাসিয়ে তুললেন সেভিল, ল্যুভর ও দা ভিঞ্চির ‘সালভেতর মান্দি’। সেই সময় কালে সুইডেনের রহমান মৃধা বিলেতে সাড়ে তিন দিন ছিলেন।
২ জুন কাউসার খান সিডনি থেকে লিখেছেন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনের সুবিধা নিয়ে। পরের দিন দূর পরবাস ডেস্ক ঘোষণা দিল, কানাডার টরন্টোতে গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরির রি-ইউনিয়ন প্রসঙ্গে।
এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইসের সঙ্গে আমার দিনক্ষণ ভুল বোঝাবুঝি চলছে, তখন আমেরিকার মির্জা নিলুফার জামান ৩ জুন ভুলকে জুম দিয়ে ফুল করে তার মর্মার্থ বানিয়ে মানুষ ও দূরদর্শিতার রণকৌশলী ও কলাকৌশল বর্ণনা দিলেন। এ দিন উপমার বিয়ে। নিশ্চয় উপমার বিয়ে একার না। তাহলে কার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে? আজ উপমার বিয়ে, তাই সবাইকে দাওয়াত দিলেন অস্ট্রেলিয়া হতে মহিবুল আলম।
৪ জুন দূর পরবাসে দেখা গেল শর্মিষ্ঠা সাহার অস্ট্রেলিয়ার পার্থে মঞ্চায়িত হলো ‘মাস্টার বাড়ি’। এ দিনই ছিল অতনু দাশ গুপ্তর কানাডার চাকরি বৃত্তান্ত–দশম পর্ব। তবে সে দেশে চাকরি খুঁজলে কি আর সোনার হরিণ মেলে? সে চিন্তা করেই পরের দিন ৫ জুন মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান জানালেন, কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেভাবে যাওয়া যায়।
৬ জুন আমেরিকা থেকে হারানো যোগসূত্র-একটি সত্য ঘটনা জানালেন মঞ্জুর চৌধুরী। কত কিছুর সাক্ষীই তো কতজন। জার্মানির শ্রাবণ রহমান ঘুরে এলেন বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী নগরী ‘কুক্স হাফেন’। ৭ জুন দূর পরবাসে দেখা গেল কাউসার খানের সিডনিতে বাংলাদেশী চিকিৎসকদের বার্ষিক সাধারণ সভা।
দেখা মেলেনি এখনো আমার এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস। দুঃখে মরি মরি, বুকে বড় জ্বালা। মাতাল হতে হতে ৮ জুন গেলাম আমি দূর পরবাসের দরজায়। দরজায় যেয়ে বুঝতে পারলাম কত বেদনা, হায়রে বেদনা!! যে বেদনা সুইডেনে রহমান মৃধার প্রেমে ছিল বড় জ্বালা। মৃধা সাহেবের জ্বালিয়ে দেওয়া জ্বালার মাঝে ওই দিন দূর পরবাস ডেস্ক জানিয়ে দিল বার্নে প্রবাসীদের ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৯ জুন প্রেমের জ্বালা নিয়েও এক দফা এক দাবি দিলেন রহমান মৃধা। তাঁর দাবি, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঋণ এবং অনুদান দেওয়া হোক। ১০ জুন জানতে পারলাম মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খানের কাছ থেকে, কানাডায় পড়তে যাওয়ার খরচ কেমন। সেদিনই দূর পরবাস ডেস্কে দেখলাম লন্ডনে নাজমুলের একক চিত্র প্রদর্শনী। ১০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের শারমীন বানু আনামের একটি সম্পর্কের অকারণ মৃত্যু ও তাহারা।
১১ জুন পাওয়া গেল সুইডেন থেকে রহমান মৃধার শিশু শিক্ষা– বাংলাদেশ বনাম সুইডেন। পরে আবার যখন দূর পরবাসে গেলাম, তখন পেলাম সেই সম্পর্ক, শারমীন বানু আনামের যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি সম্পর্কের অকারণ মৃত্যু ও তাহারা–২, দূর পরবাস ১১ জুন যেখানে শেষ হলো, ১২ জুন সেখান হতে শুরু হলো। অর্থাৎ, শারমীন বানু আনামের একটি সম্পর্কের অকারণ মৃত্যু ও তাহারা–৩ প্রকাশিত হলো।
এক গ্লাস বিয়ার আর দুই টুকরো আইস আঁতিপাঁতি করে খুঁজলাম আমি, আর মাতাল হলেন জালালাবাদ। নিউইয়র্কের তোফাজ্জল হোসেন ১৩ জুন জানালেন যুক্তরাষ্ট্রে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভায় চেয়ার তুলে মারামারি। ১৪ জুন ইশতিয়াক সিদ্দিকী লিখেছেন জার্মানিতে শাবিপ্রবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী।
১৫ জুন সবাই অনুপস্থিত, অর্থাৎ কেউ আসেন নি দূর পরবাসের আঙ্গিনায়। ১৬ জুন প্রথমে এসেছেন পর্তুগালে বরিশাল কমিউনিটির আনন্দ ভ্রমণ নিয়ে দূর পরবাস ডেস্ক। তারপর ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটায় ‘বাংলাদেশ নাইট’ নিয়ে পিএইচডি শিক্ষার্থী মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন। একই দিনে দূর পরবাস ডেস্ক জানাল,পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের কমিটিতে নতুন মুখ।
১৭ জুন অস্ট্রেলিয়া থেকে দিলরুবা শাহানা লিখেছেন তোকারচুকের নিকট গল্প শুনতে জন্মের শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাশা। তাশা ও তোকারচুক। দূর পরবাস ডেস্ক ১৭ জুন লিখেছে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন প্রসঙ্গে। এই দিনই সিডনির ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা নিয়ে এলেন কাউসার খান। আর ঐ দিকে জার্মানির শ্রাবণ রহমান ছিলেন সেখানে, যেখানে সে দেশের হামবুর্গ প্রিমিয়ার লিগের আয়োজনে মেতেছিলেন প্রবাসী ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস খুঁজতে গিয়ে ১৮ জুন অতনু দাশ গুপ্ত কর্তৃক খুঁজে পেলাম কানাডার চাকরি বৃত্তান্ত–কাদশ পর্ব। সেইদিন এ বি এম সেলিম হাসান লন্ডন থেকে বাবা ও বাবা দিবসকে স্মরণ করলেন ‘আপনি চলে গেলেন, বলে গেলেন না’-এর মাধ্যমে। তার পরপর স্মরণ দিবসে যোগ দিলেন যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোহিত প্রধান, অস্ট্রিয়া থেকে সোহেল আহমদ এবং টেক্সাস হতে সুরাইয়া সিদ্দিকী। তাঁদের শিরোনাম ছিল পর্যায়ক্রমে প্রিয় বাবা, বাবার চলে যাওয়া এবং বাবাদের কার্পণ্য।
১৯ জুন ছিল সিডনি থেকে মো. ইয়াকুব আলীর লেখা মহিউদ্দিন আহমদের ‘প্রতিনায়ক’ যেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সুরতহাল রিপোর্ট। ২০ জুন কেনিয়া থেকে মাকসুদুর রহমানের কবিতা ‘এ পাশে আমি, ওপাশে তুমি’ ছিল। নামবিহীন লেখা পেলাম ২০ জুন। ফ্রান্স থেকে এসেছিল সম্ভবত: ফ্রান্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের উদ্বোধন।
২১ জুন দূর পরবাসে চোখ রাখতেই ম ম ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে জিহ্বাকে সামাল দেওয়া রীতিমতো কষ্ট হলো। কারণ, সিডনি থেকে কাউসার খান পাঠালেন সেখানে বাংলাদেশী চিকিৎসকদের বনভোজন অনুষ্ঠিত হওয়ার বর্ণনা। আর নিউইয়র্ক হতে শরীফুল আলম ঘোষণা দিলেন যে, সে দেশে চেঁচাচ্ছে ‘ ফেরিওয়ালা’।
২২ জুন ভয়ংকর ও আনন্দের খবর দিলেন সুইডেন থেকে রহমান মৃধা। চ্যাটজিপিটিকে কীভাবে দেখছি আমরা, বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়। এমন একটা খবর এসে দূর পরবাসকে পরের দিন আর একটুও নড়াচড়া করতে দেয়নি।
২৪ জুন দূর পরবাস ডেস্ক ইস্তাম্বুলের রামি লাইব্রেরিতে ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু’- এর ওপর ২০টি বই উপহারের কথা জানাল। ফারিয়া হোসেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেল দিতে দিতে দূর পরবাসে এলেন ‘রিং বেল’ নিয়ে। ২৫ জুন আব্দুল্লাহ আল মামুন দূর পরবাসে সারা দিন বসে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং দুর্গে এক দিনের জীবন নিয়ে।
২৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার মামুন আ. কাইউম দিনের সময় কাটিয়ে দিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বালি দ্বীপে আনন্দ ভ্রমণে। একই দিনে কানাডার জাহান সৈয়দের জন্য ছিল একটা মৌখিক প্রস্তাব।
২৭ জুন অতনু দাশ গুপ্ত আবারও নিয়ে এলেন কানাডার চাকরি বৃত্তান্ত-দ্বাদশ পর্ব। একই দিনে একই দেশ থেকে মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান জানালেন, টরন্টো পেল প্রথম নারী মেয়র, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী হলেন ১৫তম। ২৮ জুন পর্তুগাল থেকে লম্বা সময় ধরে মনির হোসেন সেদেশে প্রবাসীদের ঈদ আনন্দ উদ্যাপনের আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন।
আমি যখন এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস না পেয়ে পেয়ে অসহ্য জ্বালায় জ্বলছি, মে মাসের আংশিকের পর পুরো জুন মাস জ্বলতে জ্বলতে যখন জুলাইয়ে পদার্পণ করলাম, ঠিক তখন গোঁদের ওপর বিষ ফোঁড়া। ১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইমদাদ বাবু ছুঁড়ে দিলেন অসহ্য’র ১ম পর্ব।
আরেহ ওই ছেমরি, তুই এত দেমাগ দেখাছ কিল্লাই? অহংকারী ছেমরির প্রতি ঝাপটা ঝাড়ি মেরে ১ জুলাই লাল দোপাট্টার প্রথম পর্ব নিয়ে হাজির হলেন অস্ট্রেলিয়ার শায়লা জাবীন। তার পরের দিন অর্থাৎ ২ জুলাই শায়লা জাবীন হাম সাথ সাথ মারেঙ্গে বলতে বলতে লাল দোপাট্টার শেষ পর্ব শেষ করলেন। লাল দোপাট্টার পর এলেন চীন থেকে অজয় কান্তি মণ্ডল। তিনি আনলেন, তাঁর অভিজ্ঞতায় পিএইচডির টুকিটাকি। দিনটি শেষ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইমদাদ বাবুর অসহ্য-২য় পর্ব দিয়ে।
পরের দিন ৩ জুলাই ইমদাদ বাবু দিন শুরু করলেন অসহ্য- ৩য় পর্ব দিয়ে। এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইসের অভিযানে নেমে, সন্ধান পাওয়া গেল পিঙ্ক শার্ট ডের। এই পিঙ্ক শার্ট ডের কারিগর ছিলেন ফারহানা সিনথিয়া, কানাডা।
৪ জুলাই অস্ট্রেলিয়া থেকে মো. ইয়াকুব আলী সুন্দর একটা ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে এলেন। ‘ফুড কনফারেন্স’ আবুল মনসুর আহমেদ ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একজন মেয়র পাওয়ার আশাকে কেন্দ্র করে এ দিন কানাডা হতে মাহমুদা নাসরিন দিলেন স্বপ্ন নয়, কোনো এক বোধ। একই দিনে ছিল ইমদাদ বাবুর অসহ্য–৪র্থ পর্ব।
৫ জুলাই সুইডেন থেকে রহমান মৃধা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলেন যে জাতীয় ফল কাঁঠালই বলে দিবে আমরা কেমন জাতি! এ দিন আরও ছিল জার্মানি থেকে বাবু সরদারের ফ্রাঙ্কফুটে ঈদুল আজহার আনন্দ মেলা।
৬ জুলাই (৫ জুলাইও হতে পারে) যুক্তরাষ্ট্রের ইমদাদ বাবুর অসহ্য শেষ হলো শেষ পর্ব দিয়ে। ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের মঞ্জুর চৌধুরী দূর পরবাসে দারুণ একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় সাজিয়ে দিলেন। তাঁর শিরোনাম ছিল ‘আমার প্রথম সন্তান’। কোনো কিছুর জোড়া দেখলেই আতঙ্কে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার পারভেজ রাকসান্দ কামাল। তাই তিনি ৬ জুলাই প্রকাশ করলেন জোড়া নিয়ে জোরাজুরি।
৭ জুলাই ছিল প্রবাসীদের নিয়ে স্পেনে রাষ্ট্রদূতের ঈদ আনন্দ উৎসব। সে খবর দিলেন স্পেন থেকে কবির আল মাহমুদ। সেই দিন কানাডার চাকরি বৃত্তান্ত-অন্তিম পর্বের ইতি টানলেন অতনু দাশ গুপ্ত কানাডা থেকে। ৮ জুলাই বাংলাদেশ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিতের খবর এলো দূর পরবাস ডেস্ক থেকে। পরের খবর ছিল বদরুজ্জামান জামানের ‘নাহেলের দেহ কফিন বিলাসী’। রহমান মৃধার সুইডেন থেকে বিরহের চিঠি সে লিখে পাঠায়, এই বিরহের মধ্য দিয়ে ৮ জুলাইয়ে দূর পরবাস শেষ হয়।
৯ জুলাই দিন শুরু হয় ইরান থেকে কামরুজ্জামান নাবিলের লেখা দিয়ে। তাঁর লেখার বিষয়বস্তু ছিল, রোগীদের জন্য সংগ্রহ, ইরানের ভাবনায় সমাধান। তারপর দূর পরবাস ডেস্ক জানালো, স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু। ভারতে নজরুল–বিষয়ক সেমিনার ও কবিতা পাঠের আসরের খবর পেলাম দূর পরবাস ডেস্ক থেকে।
সিঙ্গাপুর সংসদে কেন শ্রমিকেরা? সেখান থেকে এর ওপর পর্যালোচনা করেছেন তাসরিফ আহমেদ, ১০ জুলাই। এসএসসি পাশের ২৫ বছর, মিলনমেলা ও এর পেছনের গল্প লিখেছেন কানাডার পুলক।
১১ জুলাই অস্ট্রেলিয়া থেকে সিডনির আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের খবর দিলেন কাউসার খান। তারপর ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইয়াকুব আলীর লেখা নিউ সাউথ ওয়েলস রেলওয়ে জাদুঘরে একদিন। ১২ জুলাই আমেরিকা থেকে এল নিউইয়র্কের উপত্যকায় বাংলাদেশি শিল্পীদের রং–তুলির উৎসব। পাঠালেন তোফাজ্জল হোসেন। একই দিনে চীনের মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলামের লিখেছেন চীনে ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
১৩ জুলাই কানাডায় ফল সেশনে পড়তে আসার প্রস্তুতি, বিমান যাত্রা: পর্ব ১ দিয়ে শুরু করলেন কানাডার সাকিবুর রহমান খান। জাপান থেকে তৌফিক আহমেদের ছিল: জাপানে লেখাপড়া, চাকরি ও বসবাসের জন্য জাপানি ভাষা শেখার গুরুত্ব। পরেই ছিল পর্তুগালের মনির হোসেনের সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই–পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর কথা। লন্ডন থেকে নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের বার্ষিক পিকনিক অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর দিলেন।
১৫ জুলাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শরীফুল আলমের কবিতা অর্গানিক প্রেমিকা। তিনি আর কাউকে পাত্তা না দিয়ে দিন কাটিয়ে দিলেন। ১৬ জুলাই সাকিবুর রহমান খানের কানাডায় ফল সেশনে পড়তে আসার প্রস্তুতি, বাড়ি ভাড়া : পর্ব ২
১৬ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার শায়লা জাবীনের নীল দরিয়া। ওই দিন আমেরিকার ফারহানা আহমেদ লিসার ঘুরে এলাম নিউইয়র্ক শহর। ১৭ জুলাই মো. ইয়াকুব আলী অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই থেকে কুজি সৈকতের উপকূলে হাঁটা দিলেন। হিরো আলমকে কেন্দ্র করে লিখেছেন রহমান মৃধা সুইডেন থেকে। শিরোনাম ছিল— আমিও রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়েছি।
আমার এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস না পাওয়ার আশা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে। পাওয়ার প্রত্যাশায় উৎসাহিত হই প্রত্যহ। ১৮ জুলাই দূর পরবাসের দরজা খুলেই দেখতে পেলাম ফিনল্যান্ডে বসছে বাংলাদেশিদের মিলনমেলা, ফিনবাংলা ক্রিকেটে এবার ২২ দল। ফিনল্যান্ড থেকে তথ্য সংগ্রহে ছিলেন মনোজিত রায়ম কুপিও। আর ওদিকে কাউসার খান সিডনি থেকে তথ্য দিলেন যে সেখানে ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।
১৯ জুলাইয়ে এসেও জার্মানির শ্রাবণ রহমানের ঈদের আনন্দ শেষ হয়নি। তিনি প্রকাশ করলেন হামবুর্গে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ আনন্দ মেলা। তারপর পর্দায় এলো মো. ইয়াকুব আলীর চিরন্তন হুমায়ুন আহমেদ। এসে গেল ২০ জুলাই। টানা দুই মাস পার আজ আশার মৃত্যু ঘটাতে চাই। অন্তত ঔ এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইসের আশায় আর মেহমান হয়ে যাচ্ছি না দূর পরবাসের উঠানে। এদিন প্রথমে পেলাম কানাডার সাকিবুর রহমান খানের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম কানাডায় ফল সেশনে পড়তে আসার প্রস্তুতি, যে সকল কাগজপত্র সঙ্গে আনবেন : পর্ব ৪
২০ জুলাই আরো ছিল সিডনির কাউসার খানের বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় পাঠানোর আহ্বান। এর পর দেখতে পেলাম, ইংল্যান্ডের চৌধুরী শামসুদ্দীনের কথার কারিগরের ভবিষ্যদ্বাণী। দূর পরবাস ডেস্ক থেকে জানা গেল টরন্টোয় বিশ্ব বাংলা সাহিত্য সমাবেশ ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর। অন্তিম বেলায় এসে দেখলাম, সরকারের বাংলা ও প্রকৃতি।
দুই মাস শেষ হলো। এই দুই মাস ধরে আমি তন্নতন্ন করে খুঁজেছি আমার এক গ্লাস বিয়ার আর তার মধ্যে দুই টুকরো আইস। কিন্তু দেখা হয়নি। প্রতিদিন বারবার আশা নিয়ে দূর পরবাসে গেছি, নিরাশা হয়ে ফিরেছি। তবে এই দুই মাস অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে দূর পরবাসের আঙ্গিনায়।
এবার দেখা যাক, এই সময়ের মধ্যে কার সঙ্গে কতবার দেখা হয়েছিল। অতনু দাশ গুপ্ত ৬ বার, অনিন্দিতা কাজী ১ বার, হাফিজুর রহমান ১ বার, কাওসার খান ১২ বার, মামুন আল কাইয়ুম ২ বার, রহমান মৃধা ৯ বার, দূর পরবাস ডেস্ক ১২ বার, রাশেদ শাওন ১ বার, ফারিয়া হোসেন ২ বার, মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম ২ বার, আবদুল্লাহ আল মামুন ২ বার, তানজিলা রহমান মৌনিতা ১ বার, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ২ বার, জাহান সৈয়দ ২ বার, মনির হোসেন ৩ বার, অনুপম বড়ুয়া টিপু ১ বার, বাবু সরদার ২ বার, ফারহানা আজিম শিউলী ১ বার, রাকিব হাসান রাফি ১ বার, কৃষ্ণ সাহা ১ বার, মাহমুদ চৌধুরী ১ বার, নিজস্ব প্রতিবেদক ১ বার, ইয়াসমিন সারাহ চৌধুরী ১ বার, ফারুক হিমেল ১ বার, দিলরুবা শাহানা ২ বার, মির্জা নিলুফার জামান ১ বার, মহিবুল আলম ১ বার, শর্মিষ্ঠা সাহা ১ বার, মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান ৬ বার, মঞ্জুর চৌধুরী ২ বার, শ্রাবণ রহমান ৩ বার, শারমীন বানু আনাম ৩ বার, তোফাজ্জল হোসেন ২ বার, ইশতিয়াক সিদ্দিকী ১ বার, মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন ১ বার, এ বি এম সেলিম হাসান ১ বার, মোহিত প্রধান ১ বার, সোহেল আহমদ ১ বার, সুরাইয়া সিদ্দিকী ১ বার, মো. ইয়াকুব আলী ৫ বার, মাকসুদুর রহমান ১ বার, শরীফুল আলম ২ বার, ইমদাদ বাবু ৪ বার, শায়লা জাবীন ২ বার, অজয় কান্তি মণ্ডল ১ বার, ফারহানা সিনথিয়া ১ বার, মাহমুদা নাসরিন ১ বার। ১ বার করে আরো যাঁদের দেখতে পেলাম তাঁরা হলেন পারভেজ রাকসান্দ কামাল, কবির আল মাহমুদ, বদরুজ্জামান জামান, কামরুজ্জামান নাবিল, তাসরিফ আহমেদ, পুলক, তৌফিক আহমেদ, ফারহানা আহমেদ লিসা, মনোজিত রায়ম কুপিও এবং চৌধুরী শামসুদ্দীন। ৭২ জন ১১৬ বার এসেছিলেন দূর পরবাসে। এছাড়া একজন ১ বার ছিলেন নামবিহীন অবস্থায়।
সবার জন্য দোয়া রইল, দূর পরবাসে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
** লেখকের ‘এক গ্লাস বিয়ার, তার মধ্যে দুই টুকরা আইস’ লেখাটি ১৫ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে।
*লেখক: মাহফুজার রহমান, কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা