যুগের চাহিদায় দুই লেনের ঢাকা-হোমনা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা প্রয়োজন
যুগের চাহিদায় একসময়ের পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশের আনাচকানাচে উন্নয়নের অনেক ছোঁয়াই লেগেছ। আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগে মাইলফলক উন্মোচন করতে পারে, এমন একটি সড়ক হলো ঢাকা-হোমনা মহাসড়ক। এই ঢাকা-হোমনা মহাসড়ককে যদি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হয়, তাহলে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে মাইলফলক উন্মোচিত হতে পারে।
ঢাকা-হোমনা সড়কের দুই পাশে অবস্থিত কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর এখন কুমিল্লার ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র। সেই সঙ্গে তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি, বাতাকান্দি, হোমনা উপজেলা সদরের বাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারকে ঘিরে ব্যবসা–বাণিজ্য এবং সেই সূত্রসহ বিভিন্ন সূত্রে মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিন দিন গাড়ী ও মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ব্যবসা–বাণিজ্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাস, পিকআপ, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে ঢাকা-হোমনা মহাসড়কে।
ঢাকা-হোমনা সড়ক দুই লেন হওয়ার কারণে এবং বড় বড় গাড়ীর চাপে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজার, তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি বাজার এবং বাতাকান্দি বাজার এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। দুই লেনের ঢাকা-হোমনা সড়কে দেখা গেছে, দুটি বাস অথবা দুটি ট্রাক দুই পাশে পারাপার হওয়া মুশকিল হয়ে যায়। ঢাকা-হোমনা মহাসড়কের বর্তমান যে অবস্থা তাতে, বড় বড় বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের ওজন এবং চাপ বহন করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। গাড়ীর এত চাপ যে হেঁটে এই সড়কে চলাচল একেবারেই মুশকিল হয়ে পড়েছে, সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
দুই লেনের ঢাকা-হোমনা সড়ককে চার লেনে উন্নীত করে মূল সমস্যার সমাধান না করে দুই লেনের ঢাকা-হোমনা সড়ককেই জোড়াতালি দিয়ে কয়েক বছর পরপরই মেরামত করা হচ্ছে। কিন্তু বেপরোয়া গতির বড় বড় যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানের ওজন এই সড়ক সহ্য করতে পারছে না। যে কারণে মেরামতের কয়েক মাস পরই এই সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে এবং জায়গায় জায়গায় বড় বড় গর্তেরও সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো বছর এমনও দেখা গেছে, ঢাকা-হোমনা মহাসড়কের এক পাশের কাজ শেষ করতে না করতে, অন্য পাশে ভাঙন শুরু হয়ে যায়।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে ঢাকা-হোমনা মহাসড়ককে চার লেনে পরিণত করা যুগের চাহিদায় পরিণত হয়েছে। ঢাকা-হোমনা সড়ক কে যদি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হয় এবং এই মহাসড়কে থাকা সেতুগুলোও চার লেন করা হয়, তাহলে সব সমস্যারই সমাধান হবে। বেশি মাত্রায় যান চলাচলের উপযোগী হবে মহাসড়কটি এবং দুর্ঘটনাও অনেক হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ সরকারের সড়ক বিভাগের অনেক জায়গা ঢাকা-হোমনা মহাসড়কের দুই পাশে রয়েছে, যেখানে এই সড়ককে চাইলেই চার লেনে পরিণত করা যেতে পারে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে থাকার কারণেই কি সরকারি এ জায়গাগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না? তা বোধগম্য নয়!
*লেখক: এস এম হৃদয় রহমান