হাজার পরিবারকে ফুলছড়ি ফুড ব্যাংকের ঈদ উপহার

করোনায় সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ উপলক্ষে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘ফুলছড়ি ফুড ব্যাংক’। সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে সহায়তা সংগ্রহ করে তারা। এর মাধ্যমে অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় ঈদ উপহার। এক হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে পোলাওয়ের চাল, সেমাই, চিনি, গুঁড়া দুধ, মুড়ি, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য।

ফুলছড়ি ফুড ব্যাংকের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুদিন ধরে উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করে সংগঠনটি। এরপর খাদ্যপণ্য প্যাকেট করে সেগুলো ঈদ উপহার হিসেবে এক হাজার পরিবারের কাছে বিতরণ করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। এ কাজে নেতৃত্ব দেন ফুলছড়ি ভলেন্টিয়ার্সের প্রধান সমন্বয়কারী আশিকুর রহমান। ফুলছড়ি ফুড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রায়হান দোলন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চরাঞ্চলের দুস্থ মানুষের জন্য সহায়তা নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকেরা
ছবি: সংগৃহীত

উপজেলার ফুলছড়ি ইউনিয়নের চর টেংরাকান্দিতে দরিদ্র নারী-পুরুষেরা সামাজিক দূরত্ব মেনে ফুলছড়ি ফুড ব্যাংকের উপহার গ্রহণ করছেন। ঈদ উপহার পেয়ে ষাটোর্ধ্ব হালিমা খাতুন বলেন, ‘বাবা শ্যাষ কুনোদিন পোলোয়া খাইচি, মনে নাই। বাবারা পোলোয়ার চাউল, লাচ্ছা সামাই দিচে, পেট ভরে খামো আর বাবাগরের জন্য দোয়া করমো।’

ইউএনও মো. আবু রায়হান দোলন বলেন, ঈদ উপহার বিতরণ ফুলছড়ি ফুড ব্যাংকের ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ। গত বছর করোনা মহামারির শুরু থেকে উদ্যোগটি এ এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে খাদ্য এবং পুষ্টিসহায়তা দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য সংগ্রহ, উপকারভোগী বাছাই, প্যাকেট করা এবং বিতরণের পুরো কাজটিই করে থাকেন ফুলছড়ি ভলেন্টিয়ার্সের সদস্যরা। তাঁরা বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়েন। এই কাজে যুক্ত থেকে এই ছেলেমেয়েরা একদিকে যেমন দেশপ্রেমী হিসেবে গড়ে উঠছেন, তেমনি তাঁদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে, যা তাঁদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে দারুণভাবে সাহায্য করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’