স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত আম উৎপাদনে প্রি-হারভেস্টিং গাইডলাইন নিয়ে আমকাহনের সভা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগানজুড়ে এখন আমের সমারোহ। আর কিছুদিন পরই শুরু হবে আম সংগ্রহ। দ্রুত সময়ে আম পাকানোর জন্য এবং আমের পচন রোধে ক্ষতিকর ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ফরমালিন দ্রবণ ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি কৃষকদের অজ্ঞতার কারণে অনেক কৃষক আম সংগ্রহের দু–এক দিন আগেও আমে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন এবং সেই কীটনাশক নিষ্ক্রিয় হওয়ার আগেই সেই আম ভোক্তার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে, যেটা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এ ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য PHI (Pre–harvest Interval) নিশ্চিত করা জরুরি। আম সংগ্রহের কমপক্ষে সাত থেকে আট দিন আগে সব অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগও সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়াকে পিএইচআই বলে।

গত মঙ্গলবার (১৮ মে) কৃষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত আম উৎপাদনে প্রি-হারভেস্টিং গাইডলাইন এবং পিএইচআই সম্পর্কে ধারণা দিতে রাজশাহীর পবা উপজেলার বারইপাড়ায় একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে আমকাহন। কৃষকদের প্রয়োজনীয় কারিগরি দিকনির্দেশনা দেন কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক (উদ্যান) এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। সরকারের বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) বিশেষজ্ঞ ড. হুমায়ুন কবীর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা মানসম্মত ও নিরাপদ আম উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করে বক্তব্য দেন।

মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা করেন আমকাহনের পক্ষে বি এম জুনায়েদ আমিন। মতবিনিময় সভায় ৩০ জনের বেশি আমচাষি অংশ নেন।