সিলেটে চা–শ্রমিকদের জন্য মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করছেন ইমরান হোসাইন
গত ১৭ মে ছিল ইমরান হোসাইনের জন্মদিন। দিনটাকে অন্যভাবে পালন করতে তিনি সিলেটে যান। প্রতি জন্মদিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঙ্গে বিশেষ দিনটি উপভোগ করেন তিনি। এবার তিনি অসহায় চা–শ্রমিকদের নিয়ে জন্মদিন পালন করেন। চা–বাগানে সারা দিন রান্নাবান্না করে খাবার বিতরণ করেন এবং অসহায় ৫০ চা–শ্রমিকের হাতে ১৫ দিনের খাবার তুলে দেন। সে সময় তেলিহাটি এলাকার চা–শ্রমিকেরা তাঁদের একটি মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতার কথা জানান।
ইমরান হোসাইন তাঁদের কথা শুনে মসজিদ নির্মাণে এগিয়ে আসেন। তিনি মসজিদ নির্মাণে প্রয়োজনীয় রড, সিমেন্ট ও পাথর দিয়ে সহযোগিতা করেন। সেই সঙ্গে যাতে আল্লাহর ঘর মসজিদের কাজ থেমে না থাকে, সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহযোগিতার আহ্বান জানান। তাঁর স্ট্যাটাসে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই।
চা–শ্রমিকেরা থাকেন বাগানের ভেতরে। তাঁদের সবাই নিম্নবিত্ত পারিবারের। ফলে নিজেদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত টাকা সংকুলান হচ্ছিল না, পাশাপাশি রাস্তা থেকে বাগানের মসজিদের দূরত্ব অনেক ভেতরে হওয়ায় কোনো বিত্তশালীদের নজরেও আসছে না। ইমরান হোসাইন দীর্ঘ দিন তাঁর মেইড ইন বাংলাদেশের মাধ্যমে ছিন্নমূল শিশু, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সিলেটের চা–শ্রমিকদের জন্য মসজিদ নির্মাণের কাজে এগিয়ে এসেছেন। তাঁকে ভালোবাসেন, ফলো করেন, এমন ব্যক্তিরা যেন এই মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা করেন, সেটা তিনি চান। সবাইকে নিয়ে একটি ভালো কাজে থাকতে চান, পাশে রাখতে চান। পুরোদমে শুরু হওয়া নিমার্ণকাজ দেখতে ঢাকা থেকে শত ব্যস্ততা রেখেও সিলেটে ছুটে আসেন। নিজে উপস্থিত থেকে মসজিদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি চা–শ্রমিকদের এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে নিজে পরিশ্রম করছেন।
ইমরান হোসাইন বলেন, ‘আমি পাহাড় ভালোবাসি, তাই সিলেটে ছুটে আসি। সিলেটে চা–বাগানে এই ৯০টি মুসলিম পরিবারের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের নির্মাণে সহায়তার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছি। মসজিদ নির্মাণে সিলেটে আমার মামারা আছেন এবং স্কিল আইটি ফাউন্ডারের ছোট ভাই তারেক সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে।’
তেলিহাটি এলাকার শ্রমিক পরিবারের স্বপ্ন এ হিলুয়াছড়া জামে মসজিদ। দোতলা ফাউন্ডেশনের মসজিদটি চা–শ্রমিক পরিবারগুলোর স্বপ্ন।