বেনাপোলের ৮ টয়লেট পরিচালনা: পৌরসভা ও ভূমিজের চুক্তি স্বাক্ষর
যশোরের বেনাপোল পৌরসভায় তৈরি আটটি টয়লেট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভা ও বেসরকারি সংগঠন ভূমিজের মধ্যে তিন বছরের ইজারা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বেনাপোল শহরবাসীর স্বাস্থ্যসম্মত ও আধুনিক টয়লেট সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এসব টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। ভূমিজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বেনাপোল পৌরসভার পক্ষে মেয়র মো. আশরাফুল আলম ও ভূমিজ লিমিটেডের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা মো. মাসুদুল ইসলাম চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে ভূমিজ, বেনাপোল পৌরসভার আমড়াতলী গেট ১, আমড়াতলী গেট ২, কাগজপুকুর বাজার, ট্রাক টার্মিনাল, রেলস্টেশন, বড় আচড়া ১ (ট্রাক টার্মিনাল) ও বড় আচড়া ২ (চেক পোস্ট), মাইক্রোস্ট্যান্ড এই আটটি স্থানের পাবলিক টয়লেটের সার্বিক দায়িত্বে থাকবে। এসএনভির সহায়তায় ভূমিজ খুলনা সিটি করপোরেশন, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও বেনাপোল পৌরসভার জন্য টেকসই পাবলিক টয়লেট রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বিজনেস মডেল তৈরি করে। সেই মডেলের আলোকে দেশে প্রথমবারের মতো বেনাপোল পৌরসভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পাবলিক টয়লেট পরিচালনা ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে দেশে ভূমিজ পরিচালিত পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩।
অনুষ্ঠানে বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, বেনাপোল শহর বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ এই পথ দিয়ে ভারতে যাতায়াত করে। কিন্তু সেই তুলনায় মানসম্মত পাবলিক টয়লেট খুবই অপ্রতুল। আর যেগুলো আছে তা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার অভাবে ব্যবহার অনুপযোগী ছিল। মেয়র পাবলিক টয়লেটের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নগরবাসীর সহায়তা কামনা করেন।
এসএনভির পক্ষে, বাংলাদেশ–এর ওয়াশ সেক্টর লিডার মার্ক পেরেজ কাসাস বলেন, বাংলাদেশ শুধু সঠিকভাবে পাবলিক টয়লেটের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার অভাবে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তাই টেকসই বিজনেস মডেল তৈরি ও এর বাস্তবায়ন জরুরি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রতিনিধি ও শহরের বিশিষ্টজনেরা।