বঙ্গবন্ধু: বাংলার জোছনা ও রোদ্দুর-২২

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রমনা গণভবন, ১৯৭২ সাল।আলোকচিত্রী: পাভেল রহমান

১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সাল। এদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা হয়। তারপর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে জিন্নাহ বলেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রে একটা মৌলিক নীতি থাকবে। এখানে রাষ্ট্রের সব নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী হবে। হিন্দু বা মুসলিম কারও প্রধান পরিচয় হবে না। ধর্ম ও ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ভিত্তিতেও কেউ পরিচিত হবে না। মানবিকতার জন্য সবাই একত্র হবে। এককাতারে দাঁড়াবে। জাতীয় জীবনে সব সময় এটা মনে রাখতে হবে। বেঁচে থাকতে জিন্নাহ নিজেই এ নীতি মানেননি। তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরাও কোনো দিন এটা মনে রাখেনি। এই দলের পতন অনিবার্য। এদের শাসনব্যবস্থায় কোনো নীতি-আদর্শ নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

এখন পূর্ব বাংলার মানুষ মনে করে, একমাত্র আওয়ামী লীগই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে। এত দিনে তারা বুঝে গেছে, মুসলিম লীগ বাংলার জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলবে। দলটি কখনো এ অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা ভাববে না। তা ছাড়া দিন দিন তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

এদিকে ফজলুল হকের সঙ্গ দেখা করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ফজলুল হককে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বলেন। আওয়ামী লীগের চাঁদপুরে এক জনসভায় ফজলুল হক আসেন। সে সভায় তিনি বলেন, ‘যাঁরা চুরি করবেন, তাঁরা মুসলিম লীগে থাকুন। যাঁরা ভালো কাজ করবেন, তাঁরা আওয়ামী লীগে আসুন।’ বঙ্গবন্ধুকে দেখিয়ে বলেন, ‘মুজিব যা বলে, তা শুনুন।’

কিন্তু এ সময় কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি ও নামসর্বস্ব দল যুক্তফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট বলে আওয়াজ তুলল। তাদের মধ্যে ছিল মুসলিম লীগ থেকে বিতাড়িত মোহন মিয়া-হামিদুল হক চৌধুরী গ্রুপ। গণতান্ত্রিক দল নামে কাগজে-কলমের একটি দল। এদের কোথাও কোনো কার্যক্রম নেই। লোকবল নেই। আরেক দল নেজামে ইসলামি পার্টি। প্রায় কেউ জানে না তাদের অফিস কোথায়। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকই-বা কে। আর ছিল আবদুস সালাম খান, হাশিম উদ্দিন আহমেদ, খয়রাত হোসেন, আলমাস আলী, আবদুল আওয়াল, খন্দকার মোশতাকসহ আওয়ামী লীগের একটি ষড়যন্ত্র গ্রুপ।

আওয়ামী লীগের ঘাড়ে পা দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ

সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে বললেন, ফজলুল হক বয়স্ক নেতা। জীবনে বহু কাজ করেছেন। শেষ বয়সে একবার দেশসেবার সুযোগ দেওয়া উচিত। ফজলুল হকও আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছিলেন। কিন্তু মুসলিম লীগ থেকে বিতাড়িত মোহন মিয়া-হামিদুল হক চৌধুরী গ্রুপ ফজলুল হকের ওপর ভর করেছে। এরা এত জঘন্য যে মুসলিম লীগের মতো একটা খারাপ দলেও থাকতে পারেনি। তাঁরা ফজলুল হককে ভীষণভাবে ভুল বোঝালেন। বললেন যে আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে একমাত্র প্রধান বিরোধী দল। মুসলিম লীগের অবস্থা ভালো না। আওয়ামী লীগই প্রায় সব আসন পাবে।

আওয়ামী লীগ ফজলুল হককে প্রধানমন্ত্রী করবে না। তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট করে নির্বাচন করতে হবে। তখন আওয়ামী লীগ না নিলেও মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। মুসলিম লীগও কিছু আসন পাবে। তাহলে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর-কষাকষি করা যাবে। শেষ পর্যন্ত ফজলুল হক মুসলিম লীগের বিতাড়িত গ্রুপ, তাঁর পুরোনো কিছু ভক্ত, আরও কিছু সুবিধাবাদীকে নিয়ে কৃষক শ্রমিক দল গঠন করলেন।

বঙ্গবন্ধু, মাওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দী একমত যে এসব ষড়যন্ত্রকারীকে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট করা যাবে না। আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির অধিকাংশই এর বিরুদ্ধে। এদের সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট করে ভবিষ্যতে কোনো লক্ষ্য অর্জন করা যাবে না। কারণ, এদের উদ্দেশ্য যেনতেনভাবে মুসলিম লীগকে পরাজিত করে ক্ষমতায় যাওয়া। এদের দূরদর্শী লক্ষ্য নেই। এরা ফজলুল হকের গ্রহণযোগ্যতাকে ব্যবহার করবে। তারপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘাড়ে পা দিয়ে ক্ষমতায় যাবে।

বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী যুক্তফ্রন্টের বিপক্ষে

সামনে নির্বাচন। ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটছে বঙ্গবন্ধুর। ছুটে যাচ্ছেন এক শহর থেকে অন্য শহরে। সে সময়ই তিনি প্রায় সারা বাংলায় জনপ্রিয় নেতা। সবাই তাঁর কথা শুনতে চায়। হঠাৎ একদিন মাওলানা ভাসানীর চিঠি পেলেন। চিঠিতে তিনি ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভা ডাকতে বলেছেন। বঙ্গবন্ধু তো অবাক। কেন তাঁর সঙ্গে পরামর্শ না করে সভা ডাকাতে বললেন। তিনি বিষয়টি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে বললেন। হঠাৎ কাউন্সিলের জন্য তিনিও হয়তো প্রস্তুত ছিলেন না। তারপরও সভার দু-তিন দিন আগে ঢাকায় আসবেন বলে জানিয়ে দিলেন।

আবুল মনসুর তখন ময়মনসিংহের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। হাশিম উদ্দিন আহমেদ সেক্রেটারি। খালেক নেওয়াজ খান, শামসুল হক, আবদুর রশিদ বিশিষ্ট কর্মী। তাঁরা হাশিম উদ্দিনকে পছন্দ করেন না। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। হাশিম উদ্দিনের কাউন্সিলের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকেই সব করতে হলো।
কিন্তু মুশকিল হলো মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে। মাত্র কয়েক দিন পরই কাউন্সিল সভা। তিনি থাকতে পরবেন না বলে জানিয়ে দিলেন। যুক্তি হলো, নীতিহীন নেতাদের সঙ্গে এক হতে চান না। কাউন্সিলে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে সদস্য বেশি। ভোটেও পারা যাবে না। আর তিনি তো নির্বাচন করবেন না। কারও ক্যানভাসও করবেন না।

বঙ্গবন্ধু তো ভীষণ রেগে গেলেন। কাউন্সিল অনেক পরে হওয়ার কথা ছিল। তিনি কেন এত আগে সভা ডাকলেন? বঙ্গবন্ধু মাওলানা ভাসানীকে বললেন, তিনি যদি উপস্থিত না থাকেন, তাহলে সভা বন্ধ করে দেবেন। পরে মাওলানা ভাসানী রাজি হলেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ছবি: পাভেল রহমান

এদিকে ফরিদপুরের আবদুস সালাম খান। ময়মনসিংহের হাশিম উদ্দিন আহমেদ। রংপুরের খয়রাত হোসেন। নারায়ণগঞ্জের আলমাস আলী ও আবদুল আওয়াল এবং ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারী কুমিল্লার খন্দকার মোশতাক। তাঁরা যুক্তফ্রন্ট করতে চান। কারণ, দলে তাঁদের অবস্থা ভালো না। যুক্তফ্রন্ট করলে কোনো সুযোগে যদি কিছু করতে পারেন।

মোশতাকের রক্তেই ছিল বিশ্বাসঘাতকতা। সেই ১৯৫৩ সাল থেকেই ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তবু কেন যে সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থাকতে পেরেছিলেন, এই লেখকের কাছে এটা একটা বিস্ময়!

কিন্তু বঙ্গবন্ধু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, আতাউর রহমান—কেউ যুক্তফ্রন্ট চান না। কাউন্সিল সভায় বঙ্গবন্ধু প্রতিবেদন পেশ করলেন। সোহরাওয়ার্দী ও ভাসানী বক্তৃতা করলেন।

যুক্তফ্রন্টের প্রস্তাবে বঙ্গবন্ধু বললেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো বিরোধী দল নেই। যাদের নীতি-আদর্শ নেই, তাদের সঙ্গে ঐক্য করা অর্থহীন। এরা দেশের ক্ষতি করেছে। ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। দিনের পর দিন তাদের বিনা বিচারে বন্দী রেখেছে। শুধু নিজের স্বার্থের জন্য এরা রাজনীতি করে। এদের সঙ্গে রাজনীতি করলে কোনো লক্ষ্য অর্জিত হবে না। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার পর ঐক্যবাদীরা ভাবনায় পড়ে গেলেন।

বঙ্গবন্ধু মাওলানা ভাসানীকে বললেন, ‘আওয়ামী লীগ অবশ্যই নির্বাচনে জয়লাভ করবে। তা যদি নাও হয়, তাহলে প্রধান বিরোধী দল থাকবে। রাজনীতি স্বচ্ছ থাকবে। আদর্শহীন নেতাদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় গেলে দেশের কাজ হবে না। আমরা যে স্বপ্ন দেখি, এদের নিয়ে সে লক্ষ্য পূরণ হবে না।’ মাওলানা ভাসানীও বঙ্গবন্ধুকে বললেন, মুসলিম লীগ থেকে বিতাড়িত হামিদুল হক চৌধুরী, মোহন মিয়াদের সঙ্গে রাজনীতি করা যায় না। নুরুল আমিন যে দোষে দোষী, এরাও সেই দোষে দোষী।

এদিকে ফজলুল হকের আওয়ামী লীগে যোগদানের সম্ভাবনা আছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাই একমত হলেন যে তিনি যদি আওয়ামী লীগে আসেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি হবেন পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি দলের নেতাও হবেন তিনি।

দুই পক্ষের চুক্তি সই

বঙ্গবন্ধু ও মাওলানা ভাসানী বেরিয়ে পড়লেন বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায়। তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি জনগণ এত সাড়া দেবে। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় দলে দলে সবাই জনসভায় আসছে। কারণ, এ অঞ্চলের মানুষ যেকোনো মূল্যে মুসলিম লীগের হাত থেকে রেহাই চায়। এ দলের বিকল্প হিসেবে তারা আওয়ামী লীগকেই ভাবে। অন্য দলের নাম প্রায় কেউ জানেই না।

বিশাল গতিতে প্রচার চলছে। প্রচার একেবারে তুঙ্গে। এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন বঙ্গবন্ধু ফোন পেলেন। ঢাকা থেকে ফোন এসেছে। ফোন করেছেন আতাউর রহমান খান ও তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। তাঁরা জরুরি ঢাকায় যাওয়ার জন্য বলেছেন। প্রচারের এ অবস্থায় কোনোভাবে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁরা এমনভাবে অনুরোধ করলেন, বঙ্গবন্ধু আর ‘না’ করতে পারলেন না। অবশেষে মাওলানা ভাসানীকে পাঠালেন।
বঙ্গবন্ধু একাই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও কিছু সভা করে ঢাকায় ফিরবেন। প্রচার চলছে বিভিন্ন এলাকায়। এমন সময় হঠাৎ একদিন খবর পেলেন, মাওলানা ভাসানী ও ফজলুল একমত হয়েছেন। তাঁরা যুক্তফ্রন্টে সই করেছেন। বঙ্গবন্ধু আবারাও ভাবনায় পড়লেন। তিনি ভেবে পাচ্ছেন না যে সোহরাওয়ার্দীর অনুপস্থিতিতে কীভাবে মাওলানা ভাসানী যুক্তফ্রন্টে সই করলেন।

ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে বললেন, তিনি তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আতাউর রহমান ও মানিক মিয়া বঙ্গবন্ধুর দায়িত্ব নিয়েছেন। আর নির্বাচনসংক্রান্ত যাবতীয় কর্মপরিকল্পনা সোহরাওয়ার্দী ঠিক করবেন।

বঙ্গবন্ধুর সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। এ মুহূর্তে কোনো কিছু পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। ভাসানীকে শুধু বললেন, ‘যেহেতু যুক্তফ্রন্ট সই করেই ফেলেছেন, আর তো কিছু করার নেই। এখন এটা ভালো হলে ভালো। আর ভালো না হলে দায় আপনাকেই নিতে হবে।’ এ সময় আবুল মনসুর আহমদ ফজলুল হককে দিয়ে একুশ দফা দাবি সই করিয়ে নিলেন। এতে স্বায়ত্তশাসন, রাষ্ট্রভাষা বাংলা, রাজবন্দীদের মুক্তিসহ অনেক প্রধান বিষয় মেনে নেওয়া হলো।

১৯৫৪ সালের ৮ মার্চ প্রাদেশিক নির্বাচন। পূর্ব বাংলায় এটি যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন নামে বেশি পরিচিত। কৃষক শ্রমিক পার্টিতে প্রার্থীর অভাব। জীবনে রাজনীতি করেননি—এমন লোকও এ দলে নাম লিখিয়েছেন। নমিনেশন নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত হলো যেখানে জেলা কমিটি সর্বসম্মতভাবে প্রার্থী ঠিক করবে, সেখানে তিনি প্রার্থী হবেন। তা না হলে কেন্দ্র থেকে প্রার্থী দেওয়া হবে। আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানী যাঁকে ইচ্ছে তাঁকে নমিনেশন দিতে পারবেন।

এরপরই নেজামে ইসলাম পার্টি নামে একটি দল এল। ফজলুল হক তাদের যুক্তফ্রন্টে নিয়েছেন। তারা এমন কয়েকজন প্রার্থী এনেছে, যাঁরা দরখাস্তও করেনি। তাঁদের নমিনেশন দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও মাওলানা ভাসানী তো অবাক। এদের সভাপতি কে? অফিস কোথায়? বঙ্গবন্ধু ভাসানীকে বললেন, এদের নিলে তো গণতান্ত্রিক দল নামে যে একটা দল কাগজে দু-একবার দেখেছি, তাদেরও নিতে হয়। যুক্তফ্রন্ট ভেঙেই যেত। শুধু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ধৈর্য, সহনশীলতা ও বিচক্ষণতার জন্য টিকে ছিল।

এদিকে নমিনেশন বোর্ড গঠন করা হলো। সোহরাওয়ার্দী হলেন এর চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান, কৃষক শ্রমিক পার্টির কফিল উদ্দিন ছিলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি। অফিস সেক্রেটারি হলেন কামরুদ্দিন আহমদ। প্রায় প্রতিটি এলাকায় আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী ছিল। কারণ, ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলার সব জেলা-মহকুমায় আওয়ামী লীগ কাজ করেছে। চলবে...