পুনর্জন্মের পুণ্যস্থানে আটত্রিশে ডিইউডিএস
‘প্রকাশই প্রতিভা’ এই প্রতিপাদ্যের ধারক হিসেবে ১৯৮২ সালের ১৭ অক্টোবর বিতার্কিক তৈরি, বিতর্ক আন্দোলন, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও আয়োজনের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির (ডিইউডিএস)। যৌক্তিক শব্দচয়ন, বিশ্লেষণ শক্তির প্রখরতা আর তথ্য উপাত্তের শাণিত প্রকাশ অত্যন্ত নান্দনিকভাবে ঘটানোর সৃষ্টিশীল একটি মাধ্যম বিতর্ক। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রজ্ঞাপূর্ণ বচন ও অপরের মতামতকে শ্রদ্ধা জানানোর এই শিল্প সৃজন ও বৃদ্ধিতে ডিইউডিএস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
স্বাধীনতাপূর্ব সময়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক চর্চা অব্যাহত ছিল, যার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বিতর্কপ্রেমী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হাত ধরে সংগঠনটি কাঠামো লাভ করে। বিতর্ক আন্দোলনের সূতিকাগার এই প্রতিষ্ঠানটি করোনা কালেও দায়িত্ব এড়িয়ে বসে থাকেনি। ‘পাশে আছি বন্ধু’ নাম নিয়ে অসহায়দের সাহায্য কিংবা নবীন বিতার্কিকদের উৎসাহ দিতে নবিশ বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে আলোচনাসভা বা জাতীয় দিবসে অনলাইনে প্ল্যানচেট বিতর্ক আয়োজন- করোনাকালীন সময়ে ডিইউডিএসের যোগ্য দায়িত্ব পালনেরই নির্দেশক।
প্রবহমান মুক্তচিন্তার ধারক এই সংগঠনটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে পৌঁছে গেছে তার ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে। সংগঠনটি প্রতিবছরই এ উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। বিগত বছরগুলোতে বিতর্ক আন্দোলন, সফলতা, কর্তব্যপালন, অর্জনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশেষভাবে উঠে এসেছে। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এ বছরও ডিইউডিএসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়ে যাচ্ছে, তবে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে। সামাজিক দূরত্ব এবং সুস্থতার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন এবার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কেন্দ্রিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিবেটিং ক্লাবের প্রতিনিধিরা ডিইউডিএসের প্রতি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন। থাকছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম 'জুমে' আড্ডা যেখানে অগ্রজরা ডিইউডিএস নিয়ে তাঁদের মূল্যবান অভিজ্ঞতা এবং ডিইউডিএসকে আরও সমৃদ্ধিশালী হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করবেন। এ ছাড়া ডিইউডিএসের অবদান সম্পর্কে বিভিন্ন প্রজন্মের বিতার্কিকদের নিয়ে অনলাইন ওয়েবিনার আয়োজন করা হবে। থাকছে অনলাইন ইনভাইটেশনাল বিতর্ক প্রতিযোগিতা। যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিবেটিং ক্লাবের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা হবে।