ন্যায্যতার অর্থনীতি জরুরি
ফিলিপ মোরেন ফ্রেনু (১৭৫২-১৮৩২) একজন আমেরিকান কবি, জাতীয়তাবাদী, বিতার্কিক, জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং পত্রিকার সম্পাদক। তিনি জর্জ ওয়াশিংটনের তীব্র সমালোচক এবং জেফারসোনিয়ান নীতির সমর্থক ছিলেন। ওনার জীবদ্দশায় ১৭৯৪ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় মহামারি প্লেগ আঘাত হানে। মারা যায় প্রায় পাঁচ হাজারের মতো মানুষ আর ২০ হাজারের মতো মানুষ মহামারির ভয়ে ফিলাডেলফিয়া থেকে অন্যত্র চলে গিয়েছিল। মহামারি দেখে ওই সময় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এর আগে তিনি মহামারি দেখেননি। বিচলিত তিনি মহামারি নিয়ে তাই তার ‘পেস্টিলেন্স (মহামারি)’ কবিতায় লিখেছিলেন—
হট, ড্রাই উইন্ডস ফরএভার ব্লোয়িং/ ডেড ম্যান টু দ্য গ্রেইভইয়ার্ডস গোয়িং/ কনস্ট্যান্ট হাসেস/
ফিউনেরাল ভার্সেস/ ওহ! হোয়াট প্লেগস, দেয়ার নো নোয়িং...
উষ্ণ ও শুষ্ক বাতাস বহে নিরন্তর/ মৃত মানুষেরা সমাধিস্থলে যায়/ শবদেহের গাড়িগুলো গড়গড়িয়ে যায় অবিরত/ মৃতদের আত্মার জন্য পড়া হয় শ্লোক/ হায়! কেন এই মহামারি কেউ জানে না...
যুগে যুগে মহামারি এসেছে এ রকমই। কিছু বুঝতে পারার আগেই হঠাৎ করে কোথা থেকে যেন এর আবির্ভাব হয়। আর এটা যে কত বড় বিপদ, প্রথমে সেটাও বোঝা যায় না। আর যখন বুঝতে পারা যায়, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। বিপদ কেবল বাড়তেই থাকে তখন।
করোনা মহামারির প্রভাবে দেশের ১ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে বলে দাবি করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তাদের হিসাবে করোনাকালে কাজ হারিয়ে গরিব মানুষের সংখ্যা ২০ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশের ২০ শতাংশ পরিবারের আয় কমে গেছে। তারা বলছে, এ সময় কাজ হারিয়েছেন মোট শ্রমশক্তির কমপক্ষে ৩ শতাংশ মানুষ। বিভিন্ন স্তরের হিসাব করলে এ সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫ লাখ হতে পারে। কর্মহীন হওয়া লোকজনের মধ্যে প্রচুর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক রয়েছেন। আর চলতি বছরের শেষ নাগাদ এসএমই ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে সর্বোচ্চসংখ্যক শ্রমিকের কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেও পূর্বানুমান করছে তারা। শহর এলাকায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন এমন ১০০ জনের মধ্যে ৬৯ জন এখনো চাকরি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
তাদের প্রতিবেদনে আরও দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪ লাখ অভিবাসী শ্রমিক তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এর প্রভাব ২০২০ সালের প্রথমার্ধে বেশি লক্ষ করা গেছে। করোনায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন দিনমজুর, পরিবহনশ্রমিক, রাস্তার পাশের দোকানদার, হকার, চা-বিক্রেতা ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মানুষজন। তাঁদের ৬৩ শতাংশ ঘর ভাড়া, ৩৯ শতাংশ পানি-বিদ্যুতের বিল, ৩৬ শতাংশ স্কুল ফি দিতে পারেননি। ৫৭ শতাংশ গরিব মানুষ গ্রামে টাকা পাঠাতে পারেননি।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা (বিআইডিএস) পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, কোভিড-১৯-এর কারণে মানুষের আয় কমে গেছে, বেড়েছে বেকারত্ব। যাঁদের আয় কম, তাঁরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি। সংস্থাটির মতে, করোনার কারণে দেশের ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী লোকজনের মধ্যে ৫৯ শতাংশের কাজ আছে, ১৭ শতাংশ করোনার আগেই বেকার ছিলেন আর ১৩ শতাংশ করোনার প্রাদুর্ভাবের পর কাজ হারিয়েছেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের জরিপে একই চিত্র ফুটে উঠেছে। করোনার প্রভাবে দারিদ্র্যের কারণে মানুষ খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছেন, ঋণ নিয়েছেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছেন। আর এই দারিদ্র্যের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে অসমতায়। বিবিএসের খানা জরিপ অনুসারে, ২০১৬ সালে দেশের গ্রামাঞ্চলের সার্বিক দারিদ্র্য ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ২০১৮ সালের জিইডি-সানেম জরিপ অনুসারে যা ছিল ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু করোনার প্রভাবে ২০২০ সালে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশে। শহরাঞ্চলে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ আর করোনার সময়ে ২০২০ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশে।
২.
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কবি’ নামে উপন্যাস লিখেছিলেন। ওই উপন্যাসের একটি চরিত্র নিতাইচরণ বলেছিল, ‘কালো যদি মন্দ হবে কেশ পাকিলে কাঁদ কেনে?’ দেশে কালোটাকা সাদা করার প্রক্রিয়াকে যেভাবে এখন স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে আমরা এখন নিতাইচরণের এই কথাতে বিশ্বাসী। চলতি অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, অনেকেই সেই সুযোগটি নিয়েছেন। এনবিআরের তথ্যমতে, গত বছরের ১ জুলাই অর্থবছর শুরু হওয়ার পর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৫০ ব্যক্তি ঘোষণা দিয়ে প্রায় ১০ হাজার ২২০ কোটি কালোটাকা সাদা করেছেন।
এসব কালোটাকা সাদা করার সময় এনবিআরে জমা দেওয়া রিটার্ন থেকে জানা যায়, নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, ফ্ল্যাট ও জমি কিনে কালোটাকা সাদা করেছেন ৭ হাজার ৪৪৫ জন। সরকার এই খাত থেকে কর পেয়েছে ৯৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করা ২০৫ জনের কাছ থেকে সরকার কর পেয়েছে ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মজার ব্যাপার হলো, এনবিআর তার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এভাবে কালোটাকা সাদা করাকে ‘অভূতপূর্ব’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এনবিআর বলেছে, ‘অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে চলতি অর্থবছরে সরকার অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে বিশেষ সুযোগ দেয়। এ সুযোগে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন সম্মানিত করদাতারা।’ বিষয়টা এখানে বড়ই অদ্ভুত। যাঁরা কালোটাকার মালিক, অন্য সব সৎ করদাতার মতো যাঁরা নিয়মিত আয়কর দেননি, তাঁরাই এখন হলেন এনবিআরের ভাষায় সম্মানিত করদাতা।
এরপর আমরা শুনলাম, এ বিশাল পরিমাণ কালোটাকা সাদা হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এসেছে বলেই অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে উদ্যোক্তা, শ্রমিক, কৃষক এবং সাধারণ মানুষ সবাই টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এত দিন আমরা শুনে এসেছি, তাঁদের সবার ভূমিকা ও অবদান অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের কারণেই অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হয়। কিন্তু অর্থনীতির সেই তত্ত্বের বদলে আমরা এখন শুনলাম, আসলে কালোটাকা ফ্ল্যাট বা শেয়ারবাজার ঢুকছে বলেই অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য এসেছে।
রবীন্দ্রনাথের একটি গল্প আছে ‘তিন সঙ্গী’ নামে। ওই গল্পে তিনি লিখেছিলেন, ‘টাকা যে মানুষ জমিয়েছে, অনেক পাপ জমিয়েছে সে তার সঙ্গে।’ এই সাদা করার প্রক্রিয়ায় তাদের সেই পাপ মোচন হচ্ছে কি না, তা যদিও জানার উপায় নাই। সেই সঙ্গে এটাও সহজে বোধগম্য হচ্ছে না যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে? তবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, দুর্নীতিজাত কালোটাকা লালন থেকে সরে না এলে আয় ও সম্পদ বণ্টনের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য থেকে সহজে মুক্তি মিলবে না।
আরেকটা তথ্য এখানে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে ব্যাংক হিসাবধারী কোটিপতি হচ্ছেন ৮৭ হাজার ৫০০ জন। অর্থাৎ, দেশে অন্তত এ সংখ্যক ব্যাংক হিসাবধারী আছেন, যাঁদের হিসাবে কোটি অথবা তদূর্ধ্ব পরিমাণ টাকা রয়েছে। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, করোনাকালীন অবস্থায় দেশে কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারী বেড়েছেন ৪ হাজার ৮৬৫ জন। কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীদের এসব ব্যাংক হিসাবে অন্তত ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। এটা তো বৈধ হিসাব। এর বাইরে নিশ্চয়ই শত শত কোটিপতি আছেন, যাঁরা তাঁদের টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন অথবা অন্য কোনোভাবে লুকিয়ে রেখেছেন।
৩.
স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। এ ৫০ বছরে আমরা এখনো দেশে সমতাভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে পারিনি। সব সময়ই প্রভাবশালী চক্র বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে জোরজবরদস্তি, লুটপাট আর রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এটি যেন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আয়বৈষম্য ও সম্পদের কেন্দ্রীকরণ আগেও ছিল, এখনো আছে। বর্তমানে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অর্থ পাচার। ৫০ বছর কিন্তু কম সময় নয়। কিন্তু এখনো আমরা পারিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক ফলাফলের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে। পারিনি জনগণের সম্পদ ব্যবহারে রাষ্ট্রের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় ক্ষমতাহীন, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কেবলই বঞ্চিত হচ্ছে।
আমরা ইদানীং প্রায়ই শুনি, বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু করোনা সংকটে জনজীবনে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, তাতে অনুন্নয়নের চালচিত্র প্রকটভাবে ধরা পড়েছে। করোনার প্রথম ঢেউ-পরবর্তী অবস্থা এটি। এই বছরের শুরুর দিকে আমরা বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে যখন সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার কমে গিয়েছিল। আর সেই সঙ্গে টিকা দেওয়া শুরু হওয়ার পর আমরা ভেবে বসেছিলাম, করোনাযুদ্ধ শেষ। সবকিছু আবার ধীরে ধীরে আগের মতো হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের চিন্তায় এখন আবার এসে বাদ সাধল দ্বিতীয় ঢেউ। এই দ্বিতীয় ঢেউকে সামাল দিতে সরকার আবার বিধিনিষেধ দিয়েছে। এতে করে গরিব মানুষেরা পড়েছেন বিপদে। আর নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা পড়েছেন বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না ধরনের বিপদের মধ্যে। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধকল সামলাতে সামলাতে ওপরের উদ্ভূত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, কে জানে?
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যে হচ্ছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু এর সঙ্গে উন্নয়নের সুফল যে সাধারণ মানুষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভোগ করতে পারছে না, সেই দাবিও কোনোভাবে অগ্রাহ্য করা যাবে না। মুষ্টিমেয় মানুষের উন্নতির জন্য যে উন্নয়ন, তাতে হয়তো অর্থনীতির আকার বাড়ে, কিন্তু তা কাজ হারানো মানুষ, বিদেশফেরত শ্রমিক, প্রান্তিক কৃষক আর দরিদ্র মানুষের দুঃখ ঘোচাতে পারে না। চলমান এ মহামারির সময় দেশে বিত্তবান ও বিত্তহীনের ব্যবধান আরও বেড়েছে। এক শ্রেণির মানুষ আছেন, যাঁরা করোনার মধ্যে ও নিজেদের আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধি করে চলেছেন। আর আরেক শ্রেণির মানুষ পড়েছেন মহাবিপদে।
৪.
শুরু করেছিলাম কবিতা দিয়ে। শেষ করছি একটি গল্প বলে। নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একবার বাজার থেকে এক কেজি মাংস কিনে গিন্নিকে দিলেন রান্না করতে। গিন্নি রান্নার পর সব মাংস খেয়ে ফেললেন। হোজ্জা নদী থেকে গোসল সেরে এসে খেতে বসলে মাংস না দেখে জিজ্ঞাসা করলে গিন্নি জানাল, বিড়ালে সব মাংস খেয়ে ফেলেছে।
হোজ্জা তাড়াতাড়ি বিড়ালটাকে ধরে ওজন করে দেখলেন যে সেটার ওজন এক কেজি। গিন্নিকে তখন বললেন, ‘এটা যদি বিড়াল হয় তবে মাংস কোথায়, আর এটা যদি মাংস হয় তবে বিড়ালটা কোথায়?’ আমাদের এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেখে হোজ্জার মতো বলতে ইচ্ছে হয়, ‘এটা যদি উন্নয়ন হয় তবে এর সুফল কোথায়; আর এটা যদি সুফল হয়, তবে উন্নয়ন কোথায়?’
আমাদের মূলনীতি হতে হবে সমতাভিত্তিক ও সর্বজনীন উন্নয়নের। নিশ্চিত করতে হবে সম্পদ এবং অর্থনৈতিক সুফল ও সুযোগ-সুবিধাগুলো যেন গুটিকয় গোষ্ঠী নয়, সবাই ভোগ করতে পারে। উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভোগ করতে পারে, তার ব্যবস্থা না করতে পারলে উন্নয়নের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
*লেখক: কলামিস্ট।