২১ ফেব্রুয়ারির দুপুর রোদে গির্জার বারান্দায় ক্লান্ত বসে ছিল সে। এই গাঁয়ের মেঠো পথ, মাটি, ধূলিকণায় মিশে আছে তার শৈশব-কৈশোর। আপন ভিটায় লেগে আছে তার শরীরের ঘ্রাণ। পরিবারের যে আপনজনেরা একদিন তাকে বুকে জড়িয়ে রেখেছিল যক্ষের ধনের মতো, আজ তারা সবাই পর। এই সেই সমাজ, যে তাকে নেবে না কোনো দিন, বলবে না তুই আমাদের সন্তান। মজনু মিয়া, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় হিজড়াদের দলে থাকে, সেখানেই বসবাস। ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের দোলমা গ্রামে তার বাড়ি। মা-বাবা বেঁচে নেই। হিজড়া হওয়ায় আপন ভাইবোনদের কাছেও সে এখন পর। তবু নিজের গ্রাম, ভিটেমাটি, পরিবারের মানুষ দূর থেকে দেখতে ছুটে আসে। ২১ ফেব্রুয়ারি দোলমা গ্রামের গির্জার বারান্দায় তপ্ত দুপুরে এভাবেই বসে ছিল মজনু, আর সুযোগ বুঝে ক্যামেরায় ক্লিকছবি: ইমতিয়াজ আহমেদ