দ্বিতীয় পল্লিকবি জাতীয় বিতর্ক উৎসব শুরু
মুজিব বর্ষের বিশেষ আয়োজন, কেজেএইচডিসির ২৫ বছর ও পল্লিকবি আন্তঃক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতার এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে বিতার্কিকের স্বপ্নের আসর ‘দ্বিতীয় পল্লিকবি জাতীয় বিতর্ক উৎসব-১৪২৬’। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের এ বিতর্ক উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের।
‘তবুও সেখানে প্রদীপ জ্বালাই ঘন আঁধারের কোলে, আঁকড়িয়া আছি পল্লির মাটি কোনো ক্ষমতার বলে’—স্লোগান নিয়ে দ্বিতীয় আসরে পদচারণা শুরু করেছে ক্লাবটি। যুক্তির মঙ্গল প্রদীপের আলোয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক অঙ্গনকে অবিরত আলো প্রদানকারী এক সত্ত্বা কবি জসীমউদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাব (কেজেএইচডিসি)।
মুক্তচিন্তার ধারক ও বাহক এই প্রতিষ্ঠান ‘বিতর্কে বিম্বিত স্বাধীনতা’ স্লোগানকে ধারণ করে পাড়ি দিয়েছে বহু বন্ধুর পথ। এ পথচলায় পল্লিমাটিকে উপহার দিয়েছে একঝাঁক আলোকিত তরুণ। এমনই একঝাঁক আলোকিত তরুণের হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চার পথকে সুগম করার লক্ষ্যে যে পল্লিকবি জাতীয় বিতর্ক উৎসবের আবির্ভাব ঘটে, সেই পরম্পরাকে গভীর মমতায় এক যুগ ধরে আঁকড়ে ধরে আছে কেজেএইচডিসি পরিবার। মুজিব বর্ষ আমাদের হৃদয়ে লালিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে করেছে আরও বেশি উজ্জীবিত; প্রগতিশীল তরুণ চেতনায় মুজিববাদকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশজ সংস্কৃতির আবরণে এ আয়োজন।
নিবন্ধনের অগ্রাধিকারক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মোট ৩২টি দল এবং স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ২০টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বিতর্ক হচ্ছে ট্যাব পদ্ধতিতে।
দ্বিতীয় পল্লিকবি জাতীয় বিতর্ক উৎসব ১৪২৬–এর আংশিক কার্যক্রম অনলাইনে আয়োজিত হচ্ছে। অনলাইন পর্বে বিশেষ চমক হিসেবে থাকছে ছাত্র-শিক্ষক প্রদর্শনী বিতর্কসহ খ্যাতিমান বিতার্কিকদের বিতর্ক। তবে ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণীসহ অন্য আনুষ্ঠানিক পর্বগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। আয়োজন শেষে অতিথিদের উপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, রানার আপ ট্রফি ও সুভ্যেনির তুলে দেওয়া হবে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের হাতে।
কেজেএইচডিসির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম আজাদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা আয়োজন করতে কিছুটা বিলম্ব করেছি। কিন্তু এই বিতর্ক উৎসব আয়োজনে সর্বমহল থেকে আমাদের অনুরোধ জানানো হয়, যার দরুন এবারের টুর্নামেন্ট আয়োজনে আমরা অনলাইন কার্যক্রমের দ্বারস্থ হয়েছি।
ক্লাবের সভাপতি মো. হাসিবুল ইসলাম জানান, আয়োজক হিসেবে এবারের আসর নিয়ে আমাদের বৃহৎ পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিকূল পরিবেশ আমাদের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা থেমে নেই। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমরা এই মহাযজ্ঞ আয়োজন করছি। আর এ আয়োজনের প্রাথমিক পর্বগুলো আমরা অনলাইনে এবং ফাইনাল রাউন্ড ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানসহ মূল পর্বগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট ভেন্যুতে বরাবরের মতো এবারও আড়ম্বরপূর্ণভাবে আয়োজন করব।