ঢাবির ৫ রোভারের ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ৫ জন রোভার দুটি দলে ৫ দিনে ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করবেন। এ উদ্দেশ্যে গতকাল শনিবার নরসিংদী থেকে যাত্রা শুরু করেছেন তাঁরা। ভৈরব, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল পেরিয়ে ১০ মার্চ মৌলভীবাজার পৌঁছবে দল দুটি। প্রথম দলে রয়েছেন মো. মাহবুবুর রহমান (দলনেতা), শামিম শরীফ ও সাইফুল ইসলাম। দ্বিতীয় দলে রয়েছেন ইশতিয়াক আহমেদ (দলনেতা) ও ওসমান গনি।
রোভার স্কাউটিংয়ের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট’ অর্জনের জন্য একজন রোভারকে ছয়টি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়। এই পারদর্শিতা ব্যাজগুলোর অন্যতম ‘পরিভ্রমণকারী ব্যাজ’। যেটি অর্জন করতে একজন রোভারকে পায়ে হেঁটে ৫ দিনে ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করতে হয়। এ ছাড়া সাইকেলযোগে ৫০০ কিলোমিটার কিংবা নৌকায় দাঁড় বেয়ে ২৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করেও ব্যাজটি অর্জন করা যায়। প্রত্যেক রোভার একেকটি প্রচারণামূলক স্যাশ বহন করছেন। যেগুলোতে তুলে ধরেছেন সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের মূল্যবান চিন্তাগুলো। স্লোগানগুলো হলো ‘বই পড়ুন দেশ গড়ুন’, ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’, ‘দুর্নীতিকে না বলুন’, ‘মাদককে না বলুন’ ও ‘গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই’।
পরিভ্রমণকারী প্রথম দলের দলনেতা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রোভাররা যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে জানেন। নিত্যনতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এই শিক্ষা হাতে–কলমে শেখা যায় পরিভ্রমণে।
পরিভ্রমণকারী অন্য দলের দলনেতা ইশতিয়াক আহমেদ জানান, ‘স্কাউটিংয়ের সবচেয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস ও আনন্দদায়ক অংশ এই পরিভ্রমণ। আমরা সাধারণত, পাহাড়ি এলাকা, ঐতিহাসিক স্থান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর এলাকাকেই বেছে নিই। আমরা তাঁদের জীবনাচার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি। এবার আমরা যেই রুট বেছে নিয়েছি, সেটি ঐতিহাসিক স্থান, পাহাড়ি এলাকা, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সমন্বয়।’
পরিভ্রমণকারী দলের অন্যতম সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রোভার প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব পারদর্শিতা ব্যাজের মতো হলেও এটা অর্জন করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। তবু একজন রোভার হিসেবে খুবই আনন্দিত যে সব অনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমরা রোভার প্রোগ্রামের সর্বশেষ ব্যাজের (পরিভ্রমণ ব্যাজ) উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছি। আমাদের পরিভ্রমণ দলের জন্য দোয়া করবেন যেন সুস্থ থেকে সঠিকভাবে পরিভ্রমণ শেষ করতে পারি।’
পরিভ্রমণ দলের আরেক সদস্য শামিম শরীফ বলেন, ‘পরিভ্রমণকারী ব্যাজটি অর্জন কষ্টদায়ক হলেও শিক্ষণীয় ও আনন্দদায়ক। বরাবরের মতো চ্যালেঞ্জিং কাজকর্ম আমার প্রিয়। আশা করি, সুন্দরভাবে শেষ করতে সক্ষম হব।’
রোভার ওসমান গনি এই টিমের অন্যতম সদস্য। তিনি বলেন, রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট অর্জন এবং এই রুটের মানুষের জীবনাচার, ইতিহাস, ঐতিহ্য জানা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের লক্ষ্যেই এই যাত্রা।