ঢাকায় রাবিয়ানদের নাগরিক বর্ষবরণ ও মিলনমেলা
প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদ্যাপিত হয়। বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি সব বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন।
বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সঙ্গে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপিত হয়।
নাগরিক জীবনে নববর্ষ কতটা নতুন বারতা নিয়ে আসে, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো আনুষ্ঠানিকতার ধারাবাহিকতা। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক জিইয়ে রাখা আর নতুন বন্ধুত্বের আবাহন। দুই বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা মিলিত হয়েছেন বর্ষবরণ উৎসবে। কোভিড আর নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ কিছু সময় পরে আয়োজন, তাই সবার উদ্দীপনাও ছিল চোখে পড়ার মতোই। রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত হোটেল ৭১-এর হলে সাজ সাজ রব। সবার পোশাকও ছিল বৈশাখী রঙে রঙিন। তবে পবিত্র রমজান মাসের কারণে বৈশাখবরণের অনুষ্ঠানসূচিতে বেশ পরিবর্তন করতে হয়েছে।
প্রথমেই বৈশাখবরণ ও আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে আইয়ুব আলী খানের সভাপতিত্বে ও কে এম আরিফুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার, রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম, রাকসুর সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর কবির রানা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, সাবেক সচিব এন আই খান, সাবেক সচিব সালমা আক্তার জাহান, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুছ ছালাম আজাদ, রাজনীতিবিদ জহিরুল ইসলাম, ছড়াকার আনজীর লিটন, ব্যবসায়ী আফসার আলী বিশ্বাস, মনোয়ারুল হক, খায়রুল আলম নোমান, কবি তারিক উল ইসলাম প্রমুখ। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখবরণের সুখস্মৃতি রোমন্থন করেন।
নাগরিক জীবনে নববর্ষ নিয়েও অনেকেই কথা বলেন। রাবিয়ানদের বৈশাখবরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা আব্দুল আজিজ, শামীম রেজা খান, রাকসুর নেতা এ বি এম জাকিরুল হক, অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, অধ্যাপক এস এম হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক রোকসানা, অধ্যাপক আনোয়ারুল কবির, অধ্যাপক তানজিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। এরপর র্যাফেল ড্র করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়।
সব শেষে দোয়া মাহফিল ও ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে রাবিয়ান মিলনমেলার।