জাতীয় বিতর্ক উৎসব ‘রক্তাক্ত বিপ্লব’
যুক্তিতর্কের নাম বিতর্ক। দুই দলের নান্দনিক যুক্তি উপস্থাপনায় ঘটে বাগ্যুদ্ধ। তথ্য ও তত্ত্ব এ যুদ্ধের মূল হাতিয়ার। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সবার কাছেই তর্কযুদ্ধ অতিজনপ্রিয়। দেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই বিতর্কচর্চা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়।
গত ২০ থেকে ২২ মে অনুষ্ঠিত হলো ‘রক্তাক্ত বিপ্লব’ শীর্ষক জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২১। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (নোবিপ্রবিডিএস) আয়োজন করে প্রতিযোগিতাটি। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ‘শিকল ভাঙার কণ্ঠস্বরের অনুনাদ’ স্লোগান সামনে রেখে চলে তিন দিনের বিতর্ক উৎসব।
সরকারি ও বেসরকারি ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক উৎসবটি। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৫০টি দল। সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতায় ২৪ জনের মূল বিচারক পর্ষদ এবং ৬০ জন বিচারক প্যানেল ছিল। আন্তক্লাব এশিয়ান সংসদীয় পদ্ধতিতে হয় প্রতিযোগিতাটি।
২০ মে প্রথম পর্বের মাধ্যমে সূচনা হয় প্রতিযোগিতাটির। এরপর ২১ মে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ২২ মে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সম্পূর্ণ প্রতিযোগিতাটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন—ডিস্কোর্ড, জুম ও ফেসবুক লাইভে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বিতার্কিক দল এবং প্রথম রানার্সআপ হয়েছে চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির বিতার্কিক দল। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন মেহেদী রহমান নিকাশ, আততিহারুল কবির তিহার ও সৌমেন সরকার। প্রথম রানার্সআপ টিমের সদস্যরা হলেন নাকিব বিন ইসলাম, আবদুল্লাহ আল আসাদ ও হাসিব খান।
ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের সৌমেন দাস এবং ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির বিতার্কিক তালহা জুবায়ের।
ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ফারুক উদ্দিন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর আফসানা মৌসুমি, সহকারী মডারেটর এ কে এম সালাউদ্দীন পাঠানসহ অন্যান্য শিক্ষক।
জাতীয় বিতর্ক উৎসবের আয়োজন নিয়ে নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ মুমতাহিন মান্নান সিয়াম বলেন, ‘এক মাস ধরে আমাদের সাংগঠনিক টিম অক্লান্ত পরিশ্রমে করেছে বিতর্ক উৎসবটি আয়োজন করতে। এ ছাড়া মডারেটর ও সাবেক সদস্যদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অংশগ্রহণকারী বিতার্কিক, বিচারক ও শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আশা করছি, শিগগিরই আমরা নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে দেশসেরা বিতার্কিক ও বিচারকদের অংশগ্রহণে অসাধারণ আরও কিছু আয়োজন উপহার দিতে পারব।’
লেখক: খাদিজা খানম ঊর্মি, শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়