গবির বিএমবি বিভাগের ১২তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইনে নবীনদের স্বাগত জানাল সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি)। বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের ১২তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ আগস্ট বিএমবি বিভাগ নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে প্রথম সেমিস্টারের ভার্চ্যুয়াল ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করা হয়।

বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই আমরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রেখেছি। গবি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনটি সেমিস্টার সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আজ নতুন আরেকটি সেমিস্টারের ক্লাস আরম্ভ হলো।’

অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান ফুয়াদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইব্রাহিম খলিল। তিনি বলেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি গবেষক তৈরিতে সহায়তা করছে। আমি বিশ্বাস করি, এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশ ছাপিয়ে বিদেশের গবেষণা খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

অনুষ্ঠানে নবাগত ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিভাগের শিক্ষাদাতারা। একই সঙ্গে নবীনদের নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ভালো মানুষ হওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষকেরা।

প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র ইমরান হোসেন বলেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি ইউনিভার্সিটি। তবে এই শিক্ষালয়ের পরিবেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই। এখানে করোনাকালেও কোনো সেশনজট নেই। আমরা এই বিদ্যাপীঠে অধ্যয়ন করে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে চায়।’

ক্যাম্পাসে না গিয়ে ক্যাম্পাসের প্রথম দিন অনলাইনে সম্পন্ন করায় আক্ষেপ ছিল অনেকের মনেই। বিভাগের প্রধান ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। কোভিড–১৯ সংক্রমণের একেবারে প্রথম এক মাসের মধ্যেই গণ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করেছে। আজ এটিই প্রমাণিত হয়েছে যে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত সঠিক ও সময়োপযোগী।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেরিতে হলেও আমরা সামনে এগিয়েছি। একজন প্রকৃত যোদ্ধা কখনোই কোনো অজুহাত দিয়ে থেমে যায় না, সামনে চলাই তাঁর ধ্যান ও জ্ঞান।’

২০১৫ সালে ১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শতাধিক।