কুষ্টিয়ায় নবান্ন ও প্রকাশনা উৎসব
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ায় ঐতিহাসিক ‘টেগর লজ’ ভবনে কবি ও কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান চিরূর এ বছরে প্রকাশিত ‘গাঁও গেরামের গালগল্প’ গ্রন্থের প্রকাশনা ও নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ১৯৮৩ সালে আখতারুজ্জামান চিরূ প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক সংগঠন ‘সেকাল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংস্থা’।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার কয়েকবারের নির্বাচিত মেয়র আনোয়ার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী ও কবি আলম আরা জুঁই। প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ বার্তার সম্পাদক আবদুর রশিদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর শহিদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলামিস্ট রঞ্জু চৌধুরী, আইনজীবী আখতারুজ্জামান, নজরুল একাডেমির সভাপতি, কবি ও ছড়াকার আশরাফউদ্দিন, কুষ্টিয়া রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান; সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক শাহীন সরকার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাংবাদিক মুকুল খসরু; নজরুল গবেষক, কবি ও আইনজীবী সুব্রত।
এ ছাড়া কবি ও গল্পকার তাজউদ্দিন আহম্মেদ এবং নব্য ঔপন্যাসিক কনক চৌধুরীসহ কুষ্টিয়ার গণ্যমান্যরা চিরূর গ্রন্থের ওপরে বিস্তারিত আলোচনা করেন। গ্রন্থের মুখ্য আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া লেখক ফোরামের সভাপতি কবি মুন্সি সাঈদ।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনুষ্ঠানে না আসতে পেরে চিরূকে চমৎকার একটি লিখিত শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন লোক গবেষক ও প্রবন্ধিক আবুল আহসান চৌধুরী। আলোচনা শেষে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন স্থানীয় কবিরা। অনুষ্ঠানে আগত সব অতিথি, দর্শক–শ্রোতাকে নবান্নের পিঠাপুলি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় এবং অতিথি ও বক্তাদের উত্তরীয় দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
আখতারুজ্জামান চিরূর প্রকাশিত চমৎকার গল্প ও কবিতাসহ বিভিন্ন ধরনের ২৫–৩০টি গ্রন্থের ভেতরে ‘গাঁও গেরামের গালগল্প’ গ্রন্থটি ভিন্ন কৌশলে লেখা ও আকর্ষণীয় একটি প্রকাশনা বলে পাঠক–আলোচকেরা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া দীর্ঘ ২৫ বছর ঢাকায় সাহিত্য–সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থেকে আখতারুজ্জামান চিরূ স্থায়ীভাবে আবার নিজস্ব আবাস কুষ্টিয়ায় ফিরে এসে কুষ্টিয়ার সাহিত্য–সাংস্কৃতি অঙ্গন মুখর করবেন জেনে সবাই তাঁকে সাদর অভিনন্দন জানান। বিজ্ঞপ্তি