কক্সবাজার সৈকতে মাস্ক বিতরণ করল ইয়ুথনেট

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পরিবেশবান্ধব কাপড়ের মাস্ক বিতরণ করেছেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস কক্সবাজার জেলা শাখার জলবায়ুকর্মীরা
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের মধ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পরিবেশবান্ধব কাপড়ের মাস্ক বিতরণ করলেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস কক্সবাজার জেলা শাখার জলবায়ুকর্মীরা। গত রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন জাবেদ নূর শান্ত, জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, মিনহাজ আরফান মিশুক, ইসরাত ফারিহা, তাসকিয়া শাম্মী, হিশামুল হক ও সিদ আজাদ।

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রোববার বেলা ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এ টি এম শামসুজ্জামান মিলনায়তন হলরুমে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের মধ্যে ‘১০ লাখ পরিবেশবান্ধব কাপড়ের মাস্ক বিতরণ কর্মসূচির’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে কক্সবাজারের ১২টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মধ্যে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসকে এক হাজার মাস্ক উপহার দেওয়া হয়।

ইয়ুথনেট এই মাস্কগুলো বিতরণের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সামাজিক সংগঠন টেকপাড়া তরুণ ঐক্য পরিষদকে ১০০ মাস্ক উপহার হিসেবে দেওয়া হয় এবং সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটক, শহরের বিভিন্ন এলাকায় রিকশাচালক থেকে শুরু করে সব স্তরের লোকজনদের মাঝে পরিবেশবান্ধব এই কাপড়ের মাস্কগুলো বিতরণ করা হয়। প্রায় ৫০০ মাস্ক বিতরণ করেন ইয়ুথনেট সদস্যরা।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস কক্সবাজার জেলার সমন্বয়ক জলবায়ুকর্মী জাবেদ নূর শান্ত বলেন, ‘বর্তমানে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ ধেয়ে আসছে। আমাদের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন এ বিষয়ে সবার মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব কাপড়ের মাস্কের বিষয়টি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি। নিজেদের সুরক্ষিত করতে গিয়ে যেন পরিবেশদূষণ না হয়, তাই মাস্ক বিতরণের সময় সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের ফলে পরিবেশ ক্ষতিকারক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করি এবং এর পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে সচেতন করি, যা পরবর্তী সময়ে করোনা সংকট মোকাবিলায় ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি। শুধু করোনা মোকাবিলা করতে হবে তা নয়, পাশাপাশি আমাদের এই পরিবেশ কে সুরক্ষিত রাখতে হবে। কারণ, পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব।’