ই-কমার্সে চাকরির সুযোগ নিয়ে ‘ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স’ আয়োজিত
ই-কমার্স খাতে চাকরির সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে ‘ইভ্যালি প্রেজেন্টস ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স’ ইভেন্ট আয়োজিত হয়েছে। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে গতকাল শনিবার (২৭ মার্চ) তারুণ্যনির্ভর সংগঠন ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে সারা দেশের ২৫০–এর অধিক শিক্ষার্থী এবং ই-কমার্স পেশাজীবীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স সেক্টরে চাকরির সুযোগ, সম্ভাবনা এবং ই-কমার্সে চাকরি করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশনা।
ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) পরিচালকেরা, দেশের শীর্ষ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও কর্মকর্তা এবং আইসিটি খাতের সাংবাদিকেরা।
বেসিস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পরিচালক সাইদ রহমান, ব্রেকবাইট ই বিজনেসের প্রধান নির্বাহী আসিফ আহনাফ, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট মোজাহিদুল ইসলাম, ই–ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান প্রমুখ বক্তরা ছিলেন।
বক্তারা ই-কমার্স খাতে তাঁদের অভিজ্ঞতা, করোনার কারণে ই-কমার্সে চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি, ই-কমার্সে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও দক্ষ কর্মীর গুণাবলি, ই-কমার্সের বিভিন্ন অংশ-বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, লজিস্টিক, ডেলিভেরি, কাস্টমার সার্ভিস, মার্কেটিং, জনসংযোগ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা আরেফিন দিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী রনি ও মাঝহারুল ইসলাম বেগ এবং সংগঠনটির ৬৪ জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স আয়োজনের আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ই-কমার্সই হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে কেনাকাটা করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এত দিন না বুঝলেও করোনার কারণে আমরা বুঝতে পেরেছি ই-কমার্সের গুরুত্ব কতটা বিশাল। দেশের ই-কমার্স সেক্টর দ্রুত বড় হলেও এখনো ই-কমার্সে কাজ করার মতো দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীর সংখ্যা অত্যন্ত কম। বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আগামীর সবচেয়ে বড় জব সেক্টর ই-কমার্সে চাকরির যোগ্য করে তোলা এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। আশা করছি আজকের আয়োজন ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্যই একটি মাইলফলক হবে।