সকালের দীপ্ত আলোতে হেঁটেছে সে একাকী
বিকেলের সোনাঝরা রোদে হয়নি আসা ঘরে,
মন চায়নি বাঁধতে নিজেকে, উড়িয়েছে ঘুড়ি নীলিমায়
কাব্যের দরজায় কড়া নাড়তে, এত যে লাগল ভালো
মন তার অমাবস্যার রাতে হারাল পথ, খোঁজেনি ঘর।
মন চায়নি বাঁধতে নিজেকে, অঝোর বৃষ্টিতে ভিজেছে শরীর
মধ্যদুপুরের গনগনে আলোতে, হেঁটেছে সে একাকী
মাতৃস্নেহ তাকে টেনেছে, পথ হারিয়ে পথে ফিরেছে ঘরে
ভাতের ঘ্রাণে মন ভরেনি, পথ হেঁটেছে কাব্যের ধ্যানে।
কাব্যের জগতের মানুষেরা দিল না তাকে ঠাঁই,
আলোতে অন্ধকারে ঘুরপাকে, নিল ঠাঁই কাগজের ভিড়ে
মন চায়নি বাঁধতে নিজেকে, কলম রেখেছে কাব্যের পাতায়
দাউ দাউ আগুনঝরা দিনে, হেঁটেছে সে একাকী
আলোতে অন্ধকারে আগুনের লেলিহান ধোঁয়ায়
শহর হলো ধোঁয়াটে, মন পায়নি কোনো ঘরে ঠাঁই,
কাগজের ভিড়ে পুড়েছে সে সেই নিকষ রাত্রিতে
পথ হারিয়ে পথ হেঁটেছে কাব্যের ধ্যানে।