আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে হাবিপ্রবি

আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে হাবিপ্রবি

করোনা দেশে এল গেল বছরের মার্চে। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হাটবাজার, গণপরিবহন, খেলার মাঠ, রাজনৈতিক জনসভাসহ সবকিছু কখনো চলে, আবার কখনো বন্ধ হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর একতরফা লকডাউন হচ্ছে দাবি করে সারা দেশে চলে মানববন্ধন, আন্দোলন। চলছে এখনো। এরই মধ্যে সশরীর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিনদের সভা শেষে এমন সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে পরীক্ষা ব্যাচভিত্তিক হবে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ফজলুল হক। সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে হাবিপ্রবিসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানববন্ধনরত শিক্ষার্থীরা। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ জুন থেকে শুরু হবে সশরীর পরীক্ষা গ্রহণ।

হাবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মো. ফজলুল হক জানান, আগামী ১০ জুন থেকে যেকোনো অনুষদ কিংবা বিভাগ চাইলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা চলাকালে হলগুলো বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে মেসে কিংবা বাসায় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ইমরান পারভেজ জানান, পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীরা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসাসেবা পান, সে লক্ষ্যে মেডিকেল টিম গঠন করা হবে।

এদিকে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। আবার প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠতে শুরু করেছে হাবিপ্রবি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চলে এসেছেন অনেক শিক্ষার্থী। যেহেতু হল বন্ধ থাকার শর্তে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেহেতু হলবাসী শিক্ষার্থীরা ছুটে চলেছেন মেসের খোঁজে।

কুড়িগ্রাম থেকে ফিরেছেন আল নোমান। তিনি জানান, দীর্ঘ ১৫ মাস পর ক্যাম্পাস তার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। করোনাকালীন বন্ধেও বিভিন্ন প্রয়োজনে তাঁকে কয়েকবার ক্যাম্পাসে আসতে হয়েছে। তবে এবার ক্যাম্পাসকে একটু অন্য রকম লাগছে। মনে হচ্ছে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে হাবিপ্রবি। নোমানের মতো ক্যাম্পাসে ফিরেছেন অনেক শিক্ষার্থী। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী ফিরে আসবেন হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে।