আজও ফেরা হয়নি প্রাণের ক্যাম্পাসে
ক্যাম্পাস মানে হাজারো তরুণের স্বপ্নমাখা মুখ, ক্যাম্পাস মানে অসংখ্য বন্ধু–বান্ধবের মেলবন্ধনের সুখ। ক্যাম্পাস মানে চোখজুড়ে ভেসে ওঠা অসংখ্য স্বপ্নের বিশাল স্বর্গ। জীবনের সবচেয়ে আনন্দ এবং স্বাধীনতার জীবন হলো ক্যাম্পাসজীবন। বন্ধুত্ব থেকে আড্ডা, আড্ডা থেকে রঙের খেলা, শুরু হয় স্বপ্ন দেখা, জমে ওঠে ক্যাম্পাস।
বলছি প্রাণের বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের কথা। উষালগ্নেই শুরু হতো ক্যাম্পাসের ব্যস্ততা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠত ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাস। কিন্তু হঠাৎ করোনা নামক অদৃশ্য এক শক্তি আমাদের সবার জীবনের হিসাব–নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। পুরো পৃথিবী আজ থমকে আছে। দিন যত বাড়ছে, মনের মধ্যে ক্যাম্পাসের মায়া আর ভালোবাসার টান যেন ক্রমেই বাড়ছে।
করোনায় দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ। ক্যাম্পাসের স্মৃতিগুলো আঁকড়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। স্মৃতির ক্যানভাসে ভেসে বেড়াচ্ছে ফেলে আসা ক্যাম্পাসের রঙিন জীবন। কখনো মনের অজান্তেই হারিয়ে যাই ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। চিরচেনা ক্যাম্পাসে নেই প্রাণের স্পন্দন, নেই কোনো কোলাহল। সবই যেন অতীতের স্মৃতি।
আষাঢ়ের ঘন কালো মেঘের ন্যায় আজ হাজারো শিক্ষার্থীর মনে কালো মেঘ এসে বাসা বেঁধেছে। সবাই প্রতীক্ষায় দিন গুনছে, দুঃসময় কাটিয়ে আবার ফিরবে প্রাণের ক্যাম্পাসে। আবার ফিরবে তারুণ্যের স্পন্দন। নিস্তব্ধ বিজয় চত্বর, পুকুরপাড়, ক্যানটিন, টেনিস লন ফিরে পাবে প্রাণের ছোঁয়া। দেখা হবে প্রাণের সহপাঠীদের সঙ্গে, কথা হবে প্রাণ খুলে!
*লেখক: শিক্ষার্থী: সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।