গোলাম কাসেম ড্যাডি শুধু আলোকচিত্রী ছিলেন না। ছিলেন বাংলা ছোটগল্পের দিকপাল। তিনি বাংলার আলোকচিত্রীদের কাছে ‘ড্যাডি’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাঁটাবন পাঠক সমাবেশে গোলাম কাসেম ড্যাডির ২৫তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় নগরবিদ ও শিল্প সমালোচক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে ছবি তুলবার জন্য তেমন আধুনিক সুবিধা ছিল না। তবুও ড্যাডি তার ক্যামেরার পাণ্ডিত্য দিয়ে বাংলার ইতিহাসে এক নতুনত্ব জুড়ে দিয়ে গেছেন। গল্পের মধ্যে মায়া ঢেলেছেন। সৃষ্টিকর্তা ড্যাডিকে ছবি ও গল্পের জাদুকর হিসেবে এ গ্রহে পাঠিয়েছেন।
কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান বলেন, ‘ড্যাডি বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের দিকপাল। সত্যিকার অর্থে তাঁর গল্পগুলোকে মহাকালে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বহু বছর পর এক তরুণ তুর্কীর জন্য নতুন করে আমরা ড্যাডিকে জানতে পারেছি।’
কাউন্টার ফটোর অধ্যক্ষ সাইফুল হক অমি বলেন, ‘ড্যাডি তাঁর ছবিতে রাজনৈতিক কলঙ্ক দেননি। তাঁকে বুঝতে হলে আমাদের আরও ১০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনিস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান তানভীর মুরাদ তপু বলেন, ছবি তোলার নেশা তাঁকে নিয়ে গেছে বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে জাতির ফটোগ্রাফির ড্যাডিতে রূপান্তরিত হয়েছেন।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থপতি সালমা এ শফি, স্থপতি শামিম আমিনুর রহমান, অধ্যাপক হরষিদ বালা, আলোকচিত্রী সাহাদাত পারভেজ, সুদীপ্ত সালাম, শাহীন আহমেদ তনু, সিরাজুল হক প্রমুখ।