চরের মানুষ আর হতদরিদ্র থাকতে চায় না: নমিতা হালদার

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে বেসরকারি সংগঠন এসকেএস ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার
ছবি: সংগৃহীত

পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার বলেছেন, ‘চরের মানুষ আর হতদরিদ্র থাকতে চায় না। আপনারা নিজেদের উন্নয়নের পথ বেছে নিচ্ছেন। এসকেএস ফাউন্ডেশন আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এসকেএস ফাউন্ডেশনের পাশে রয়েছে পিকেএসএফ। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। ফলে আপনাদের অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।’

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলে এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়নে এসকেএস ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি পরিদর্শনকালে নমিতা হালদার এ কথা বলেন। এসকেএসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নমিতা হালদার আজ ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নীলকুঠির চরে এসকেএস ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত সমন্বিত শস্য ও প্রাণিসম্পদ খামার পরিদর্শন করেন। তিনি সদস্যদের সঙ্গে দল ও পরিবার পর্যায়ে বৈঠক করেন। স্থানীয় মানুষের কৃষিপণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখেন। তিনি তাঁদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নারীদের সঙ্গে বৈঠকে নমিতা হালদার বলেন, ‘বাড়িতে বসে না থেকে চরের প্রত্যেকটি নারীকে একেকজন উদ্যোক্তা হতে হবে। তাহলে উন্নয়ন সুসংহত হবে।’

উঠান বৈঠকের পাশাপাশি নমিতা হালদার এসকেএস ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির সহায়তায় নীলকুঠির চরে গড়ে ওঠা বিউটি বেগমের ‘সমন্বিত শস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং ফুলছড়ি বাজারে কৃষিপণ্যের ‘মার্কেট লিঙ্কেজ’ কার্যক্রম দেখেন। তিনি এসকেএস ফাউন্ডেশনের অন্যতম সফল কর্মসূচি ফুড ব্যাংকের কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন। এর অংশ হিসাবে তিনি সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নে গোবিন্দী দক্ষিণপাড়া সমাজভিত্তিক সংগঠন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘ফুড ব্যাংক’ পরিদর্শন করেন এবং সংগঠনের নারী সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী–অধ্যুষিত গ্রামে এসকেএস ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং সামাজিক সচেতনতা ও নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নমিতা হালদার।

এ সময় এসকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ (লিটন), সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।