বনলতার শহরে একদিন–১
পুরো একসপ্তাহ মিড পরীক্ষা; অনুভবে ফাইনালের মতোই মানসিক চাপ। কথা ছিল মিড শেষে রাজশাহীতেই আশেপাশের কোন এলাকায় হাঁটতে বের হব। একটু মন খুলে প্রকৃতি দেখব; হাঁটাহাঁটি করব সবুজ মাঠের সরু রাস্তায়। পরীক্ষা খারাপের গ্লানিবোধটুকু ঝেড়ে ফেলে আসব মেঠোপথের দূর্বাঘাসে।
আমাদের ছয়জনের একটা ছোট্ট গ্রুপ। নিশান কয়েক দিনের জন্য বাড়িতে গেছে। ঘুরাঘুরির বিষয়ে সবাই মতামত দিচ্ছিলাম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। যেহেতু দীর্ঘ কোনো পরিকল্পনা ছিল না কোথায় যাব। কেউ কেউ বানেশ্বর, পুঠিয়া, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে যেতে চায়। তবে এর বিপক্ষেই বেশি মত; এসব জায়গায় সবাই একবার হলেও গিছিলাম। এবার নতুন স্থানে যাওয়া দরকার।
বৃহস্পতিবার মিড শেষ। রাতে স্নিগ্ধ প্রস্তাব করল নাটোরে যেতে। বলা মতোই কাজ। অনলাইন থেকে খোঁজখবর নিলাম কোনো কোনো স্থানগুলোতে যাওয়া যায়, যা বেশি উপভোগ্য।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে বসে সবাই ভ্রমণের সার্বিক বিষয় আলোচনা করি। বাস নাকি ট্রেন, কত টাকা খরচ হতে পারে , কখন বের হবো, কয়টা স্পট ঘুরব, গ্রুপের বাহিরের কোনো সদস্য সঙ্গে নিবো কিনা, খানাপিনাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
২ তারিখ শনিবার, সকাল ৭: ৩০–এ বিনোদপুর গেটে থাকার কথা। বাঙালি বলে কথা, একটু বিলম্ব না হলে কি চলে? কয়েক মিনিট অপেক্ষার পর বাস আসলো। বরিশালগামী ‘গঞ্জেরাজ’। আমাদের নামতে হবে হরিপুর বাইপাস। বাস চলার গতিতে মনে হচ্ছে বরিশাল যেতেই সন্ধ্যা লেগে যাবে।
আজকের আবহাওয়াটা অন্যরকম। সূর্যটাও বিছানা থেকে উঠতে দেরি করছে; ওর বুঝি শীতের সকালে আলসেমি লাগছে। প্রকৃতিতে স্পষ্ট জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। হিম-শীতল বাতাস, মাঝারি কুয়াশা; যেন এক অন্যরকম ফুরফুরা অনুভূতি। পাশের সিটে বসা মাঝ বয়সী এক কাকু, ভয়েস দিয়ে ফেসবুকে কারও ছবিতে কমেন্ট লিখছেন ‘শীতের সকালে উষ্ণ অভিনন্দন।’ এদিকে আশরাফুল ঘুম ঘুম আবেশে ডুবে যাচ্ছে। বাস জার্নিতে ওর একটু এলার্জি আছে; আমারও। স্যালাইন আর বমির ট্যাবলেট সঙ্গেই আছে। স্নিগ্ধ আর ইসমোতারাও ঘুমাচ্ছে। কাশেম ওদের দেখছে আর কুটি কুটি হাসছে।
আমি দেখছি দূরের ওই কৃষকদের। ওরা হেমন্তের ধান কাটতে ব্যস্ত; শিশির সিক্ত উপেক্ষা করে ভাবলাম, এসময় বাড়িতে থাকলে আমাকেও ধান কাটতে হতো। নিশ্চয়ই কাটতাম। দেখছি রাজশাহী–নাটোর মহাসড়কের দুই ধারের সবুজ বৃক্ষরাজি; খেজুর, আম–পেয়ারাবাগান, কলাবাগান। যেন রাস্তাটাই কোনো বাগানের বুক চিরে অতিক্রম করেছে। এমন দৃশ্য দেখার জন্যই তো বেরিয়েছি, বেরিয়েছি নতুন কোনো অনুভবের আশায়, যা মিশে আছে রক্তের শ্বেত কণিকায়।
সামনেই বানেশ্বর বাজার। রাস্তার অনেকটা জায়গা দখল করেই চলছে বেচাকেনা। প্রথমেই চোখে পড়ল রাস্তার দক্ষিণ দিকটায়; পেঁয়াজে ভরপুর, চকচক করছে। হয়তো হিমাগারে সংরক্ষিত ছিল। এবার তেজ তার ভোজে পরিণত হবে। উত্তর দিকটায় শীতকালীন সবজির সমারোহ। এটুকু জায়গায় কাঁচা সবজির কতইনা জোগান, অথচ বাজারে আগুন। হাট এবং মানুষের সমাগম দেখে মনে হলো আমাদের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে ওঠা চিলমারী হাটের কথা। আব্বার সঙ্গে এখনো পাট, বাদাম, পেঁয়াজসহ উৎপাদিত ফসল হাটে বিক্রি করতে যাই। আগে বেকায়দায় পড়ে যেতাম, এখন যাই ভালো লাগার বদৌলতে। মিনিট দুয়েক সামনেই কলার বিশাল হাট। যতটুকু জানি প্রতিদিনই পাইকারি দরে হাজারো কাঁদি কলা বিক্রি হয় এ হাটে। পুঠিয়ার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকেরা বিক্রি করতে আসেন।
ঠিক এক ঘণ্টা পর আমরা হরিশপুর বাইপাস পৌঁছায় ৯টায়। প্রথমেই নাশতা করে নেই ইয়াসিন হোটেল থেকে। খেতে খেতে সিদ্ধান্ত নেই প্রথমেই নাটোর রাজবাড়ি দর্শন করব। অটোতে উঠে নিমিষেই পৌঁছে গেলাম রানী ভবানীর স্মৃতিবিজরিত নাটোর রাজবাড়ি। ভবানীর স্বামীর মৃত্যুর পর এ মহীয়সী অর্ধেক বঙ্গের রাজত্ব করতেন, তাই তাকে অর্ধবঙ্গেশ্বরীও বলা হয়। সেই থেকে নাটোর রাজবাড়ীর নাম হয় রানী ভবানী রাজপ্রাসাদ। জীবনানন্দ দাশের কাল্পনিক চরিত্র; বনলতা সেন; কিংবদন্তি ও স্মৃতিবিজরিত এ রাজবাড়ীটি। হয়তো রানী ভবানীকেই তিনি বনলতা সেন বলে আক্ষায়িত করেছিলেন। বর্তমানে রাজবাড়ীটি রানী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান (যুব পার্ক) নামে বন্দোবস্ত।
রানী ভবানীর রাজবাড়ি
মূল ফটকে প্রবেশ করতেই আওয়াজ পাই সারস পাখির। প্রথমে ভেবেছিলাম বাদুড়ের শব্দ। শত শত পাখি মেহগনি গাছে বাসা বেঁধেছে, একদম আগডালে। বিশ্রী গন্ধ; পুরো রাস্তায় সারসের বিষ্ঠা, যেন চুন দিয়ে রং করা হয়েছে। পড়ে আছে শামুক, ঝিনুকের মাংস। তবে ভালো লাগলো এতো এতো সারস পাখি দেখে, যা সচারাচর দেখাই যায় না, অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। বলা যায় রাজবাড়ির অধিকাংশ স্থানই অভয়ারণ্য।
রাজবাড়ির পুরো এলাকাটি দুটি অংশে বিভক্ত। একটি ছোট তরফ, অন্যটি বড় তরফ। উত্তর দিকে বড় তরফ রাজপ্রাসাদের অবস্থান। রাজা বিশ্বনাথ বড় তরফ এবং শিবনাথ ছোট তরফ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। আমরা প্রথমে বড় তরফ প্রাসাদের চারপাশ দেখি। দেখার চেয়ে ছবি উঠার পাল্লাটাই ভারি। ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি নেই; তালাবদ্ধ। যতটুকু শুনলাম ভেতরে তেমন কিছু দেখারও নেই। যদিও প্রাসাদটি ছিল চমকপ্রদ; হলুদাভ। প্রাসাদের সিঁড়িতে শত শত সিগারেটের ফিল্টার পড়ে আছে। হয়তো বখাটেদের আড্ডার আখড়াখানা। আরও পড়ে আছে অসংখ্য আতশবাজির খোলস। পূজার উল্লাসে পোড়ানো হয়েছে সম্ভবত।
বড় তরফ রাজপ্রাসাদ
বড় তরফরের পশ্চিম পাশে অবস্থিত রানী মহল। এ কী হাল! ছাদহীন টেরাকোটা ইটের ছোট ছোট ভঙ্গুর কক্ষ। অবস্থা দেখে মনে হলো, তৎসময় রানী বেহাল ছিল না তো? তবে, ছবি ওঠার জন্য জায়গাটা বেশ চমৎকার। কুৎসিত চেহারায়ও উজ্জ্বল ছাপ। স্নিগ্ধ আর ইসমো সম্ভবত অর্ধশত পার করেছে। আমরাও কমতি রাখিনি।
রানীমহলের পেছন হয়ে চলে যাই মেহগনি বাগানটায়। বেশ কয়েকটি পাকা বসার স্থান। জায়গাটা বেশ নীরব; সুনসান। আছে মিনি ক্যাফে। চোখ মিলতেই বুঝতে বাকি থাকল না, এ জায়গায় অনৈতিক কাজ কম–বেশি হয়। যদিও পুরো রাজবাড়ীর প্রতিটি স্থানেই সাইনবোর্ডে লেখা ‘অশালীন কাজ থেকে দূরে থাকুন, শালীনতা বজায় রাখুন’। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। দ্রুত প্রস্থান করলাম। পরিখা এবং পুকুরের মধ্য দিয়ে সরু রাস্তা। দুই পাশে আকাশচুম্বী নারিকেল গাছের সারি; বয়সের ভার স্পষ্ট, গাছে ফলন নেই বললেই চলে।
একটু দক্ষিণ দিকেই ছোট তরফ রাজপ্রাসাদ। বড় তরফ রাজপ্রাসাদের মতো গঠনগত দিক থেকে অনেকটাই মিল ও যথেষ্ট মজবুত। ছোট তরফের রাজারা দেবত্তোর সম্পত্তির জমিদার ছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে আরেকটু সামনের দিকে আগাই। জরাজীর্ণ ছোট তরফ কাচারি বাড়ি; রাজস্ব সংগ্রহ করা হতো। অনেকটা অংশই ক্ষয়প্রাপ্ত ও ধসে পড়েছে। একটি কক্ষে চোখ পড়তেই চমকে গেলাম; জেলখানা। যতটুকু বুঝলাম খাজনা প্রদানে ব্যর্থ কৃষকদের এখানে বন্দী করে নির্যাতন করা হতো।
এবার রানী ভবানীর জমিদার বাড়ি ছাড়ার পালা। মূল ফটকের বামে ছোট্ট মন্দির। পুকুর ঘাটে বসে আছেন দুজন ব্যক্তি। একজন রাজার বেশে পুরোহিত। পুরো শরীরে বাহ্যিক ডেকোরেশন। রাজা রাজা ভাব। ইসমো তো ভেবেই নিয়েছে তিনিই হয়তো এ যুগের রাজামশাই। পরে তার সঙ্গে একটু ভাব বিনিয়োগ।
পুরো জমিদার বাড়ির বিভিন্ন স্থানে কিছু হিন্দু পরিবারের বসবাস রয়েছে পুরাতন ভবনে। জমিদার আমলের ছোট–বড় প্রায় সাত থেকে আটটি ভবন এখনো বিদ্যমান। বিশাল রাজবাড়ীর জলবেষ্টিত পরিখা ও পুকুর, তিনটি মন্দির, বিভিন্ন গাছপালা, নিরিবিলি পরিবেশ এবং সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রাজবাড়ির প্রধান আকর্ষণ। তবে বনলতা, সে আকর্ষণের রেশ কোথায়?
কোথায় তার মাধুর্যের ছিটেফোঁটা
এবার পথ ধরি উত্তরা গণভবন খ্যাত দীঘাপাতিয়া জমিদার বাড়ির দিকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাই। ১৭৩৪ সালে রাজা দয়ারাম রায় স্থাপত্যকলার নিদর্শন এ রাজবাড়িটির নির্মাণ করেন। প্রধান ফটকটা দেখার মতো; নান্দনিক কারুকাজ। দুই পাশে দুটি ছোট আকৃতির কামান। প্রহরীর বেশে দাঁড়ানো; যেন ফায়ার করতে প্রস্তুত। নিমিষেই গুঁড়িয়ে দিবে শত্রুকে। ফটকের ওপর আছে ইতালির ফ্লোরেন্স থেকে আনা বিশালাকার ঘড়ি, যেটা এখনো সঠিক সময় দিচ্ছে; ঘণ্টাধ্বনি বহুদূর থেকে শোনা যায়; শুনলামও।
আসল নাম দিঘাপাতিয়া জমিদারবাড়ী
টিকিটমূল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। আমরা স্টুডেন্টস; কার্ড শো করতেই ১০ টাকা করে ছাড় পেলাম। নান্দনিক বৃক্ষে সজ্জিত ফটকের রাস্তাটা। একদল মাদ্রাসার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বের হচ্ছে। আমরা ডান দিক দিয়ে ঢুকলাম, পরিখার পাশ দিয়ে অভয়ারণ্যের রাস্তায়। পাশেই কাচারি ঘর; প্রবেশ নিষেধ। হরেক রকম বৃক্ষ; অনেকটা জঙ্গলের মতো। উল্লেখ করার মতো পাখি দেখলাম না। তেমন কিছু নেই, একটু গিয়েই ব্যাক করলাম।
ফটক ধরে সামনে এগোতেই দেখতে পাই বিশাল আকৃতির কামান। কী ভয়ংকর! কুমার প্যালেসের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ; দম্ভ ও তেজ নিয়ে। হয়তো বলতেছে, ‘কে আসবি আয়, একদম উড়িয়ে দেব। পড়বি গিয়ে সীমারেখার বাইরে।’ কী সাংঘাতিক! তবে ভয়ের কারণ নেই। ওর তেজ বাহিরেই, ভেতরে খালি টিস্যু পড়ে আছে বন্ধু কাশেম তো টিস্যুতেই আগুন লাগাতেই প্রস্তুত। কুমার প্যালাসের দোতালায় রাজার সন্তানদের সেবা যত্ন করা হতো। আর নিচতলা ছিল জেলখানা ; একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারবে না, এমন নিচু।
স্মৃতি হিসেবে কাশেম আমাদের সবার নাম পরিচয় দেয়ালে লিখে রাখল।
একদল সেনাবাহিনী দেখলাম। ওরা দুটা গাড়ি নিয়ে এসেছে। রানী ভবানীর রাজবাড়ীতে প্রথম দেখেছিলাম। এখানেও দেখলাম। আমাদের মত ছবি তুলছে না, শুধু দেখছে হনহন করে। ওদের কি আমাদের মতো সময় আছে? আমাদের পুরো দিন বরাদ্দ। ধীরেসুস্থেই দেখছি। এখনো বেলা মাথার ওপরে আসেনি।
প্যালেসের দক্ষিণে রয়েছে ইতালিয়ান গার্ডেন নামের ফুলের বাগান। যাতে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গাছ ও ফুলের সমারোহ। একটি পাঠশালাও বিদ্যমান ; শিক্ষার্থীবিহীন। বাগানটা সাজানো–গোছালো। এক আঙ্কেল-আন্টি ফুর্তিতে ছবি তুলছেন। কোন এক ভাই তুলে দিলেন। দৃশ্যটা বেশ লাগলো। বাগানের পাশেই মিনি চিড়িয়াখানা। একপাল চিত্রা হরিণ। আরও একটু দক্ষিণ-পশ্চিমে, একদম কোনার দিক খরগোশ, বানর, গিনিপিক, ময়ূর, ঘুঘুর খাঁচা। একটি কাঠবিড়ালিও দেখলাম ময়ূরের খাঁচায়। ভাবলাম ওকেও হয়তো আটকে রাখা হয়েছে; ধারণা ভুল। এক লাফে চলে গেল খাঁচার বাইরে। নিচের ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে।
পাশেই টিউবওয়েল, একটু পানি বিরতি নিলাম। বসার উপযুক্ত জায়গা নেই; সব দখলে দর্শনার্থীদের। যা–ও দুটো পুকুরঘাট ছিল আমরা যেতে যেতেই একদল মেয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিল। আরেকটিতে মধ্য বয়সী কয়েকজন লোক। একই টি–শার্ট পরা। ঢাকা থেকে এসেছেন। হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম কুমার প্যালেসের পেছনে। চললো এক দফা ফটো সেশন। কুমার প্যালেসের পশ্চিমের ভবনটি সংগ্রহশালা। সংগ্রহশালাতে সংরক্ষিত দীঘাপাতিয়া জমিদার পরিবারের ব্যবহার্য আসবাবপত্র, পোশাক, পত্র, বই, কাব্যগ্রন্থের পাণ্ডুলিপি, ডাইরি ও অন্যান্য। প্রবেশ করিনি। টিকিট মূল্য দেখে। এমনিতেই তেমন কিছু সংগ্রহশালায় নেই।
এবার মূল প্রাসাদ। সুরম্য অট্টালিকা; শিল্পের নন্দনতত্ত্ব। বাহ্যিক গঠন এবং সৌন্দর্যে অতুলনীয় নিদর্শন। ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। প্রতিটি কক্ষে ঝুলছে বিশাল বিশাল তালা। ভবনের সামনে দুই পাশে দুটি ব্রিটিশদের নির্মিত কামান; অতন্ত্র প্রহরী। এ নিয়ে ছয়টি কামান পুরো রাজবাড়ীতে। এত কামানের উপস্থিতি দেখে বোঝা যায়, হয় দীঘাপাতিয়া জমিদাররা যুদ্ধবাজ ছিল, না হয় নিরাপত্তার প্রস্তুতি স্বরূপ কামানগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। প্রাসাদের সামনে দয়ারাম রায়ের মূর্তি (সম্ভবত)। আরও একটু সামনে লোহার বেঞ্চ। এখানে ছবি না তুললে গণভবনে আসার প্রমাণ থাকলো কই। মনে হবে এ ভ্রমণটাই বৃথা। প্রধান প্রাসাদকে পেছনে রেখে অসাধারণ ভিউ। আমরা যে কয়েক ডজন ফটো তুলেছি হিসেব নেই। চলবে...
*লেখক: সবুজ আহমেদ মোল্যাহ, শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়