বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫: পর্যটন ও টেকসই রূপান্তর
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে এ দিবসটি নিয়মিত পালিত হয়। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ১৯৮০ সাল থেকে এ দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বজুড়ে পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
পর্যটন আজকের দিনে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্প ও অর্থনৈতিক খাত। এটি শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে না, বরং এটি সংস্কৃতি বিনিময় ও বৈশ্বিক ঐক্যকে শক্তিশালী করে, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও ক্ষমতায়নকে উন্নত করে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের জন্য দিকনির্দেশনা দেয়।
এ বছরের বিশ্ব পর্যটন দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পর্যটন এবং টেকসই রূপান্তর’ (যদিও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এটিকে ‘পর্যটন এবং টেকসই উন্নয়ন’ নামে অনুবাদ করেছে)। আজকের বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস, অতিরিক্ত পর্যটনের চাপ এবং সামাজিক বৈষম্যের মতো বহুমাত্রিক সংকটের মুখোমুখি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পর্যটন খাতে শুধু আংশিক উন্নয়ন যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু প্রক্রিয়াভিত্তিক টেকসই রূপান্তর। এই প্রতিপাদ্য আমাদের আহ্বান জানায় যে পর্যটনকে এমনভাবে উন্নয়ন করতে হবে, যাতে এটি কেবল ভ্রমণকারীদের আনন্দই না দেয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে আরও টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করে।
এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন সুশাসন, কৌশলগত পরিকল্পনা, শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ এবং দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুস্পষ্ট অগ্রাধিকার নির্ধারণ। টেকসই রূপান্তরের দৃষ্টিভঙ্গি তিনটি পরিবর্তনকে জোর দেয়:
নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
(ক) পদচিহ্ন থেকে হাতের ছাপ: কেবল নেতিবাচক দিক (যেমন কার্বন নিঃসরণ, বর্জ্য, অর্থনৈতিক ক্ষতি) কমানো নয়, বরং ইতিবাচক দিকগুলো (যেমন প্রকৃতি পুনরুদ্ধার, দক্ষতা বৃদ্ধি, স্থানীয় অর্থনীতিতে ধনাত্নক প্রভাব) বাড়ানো।
(খ) প্রকল্প থেকে ব্যবস্থা: নীতি, প্রণোদনা, অর্থায়ন এবং ডেটাকে এমনভাবে সাজানো, যাতে টেকসই উন্নয়ন তরান্বিত হয়।
(গ) ভ্রমণকারী কেবল ভোক্তা নন, অংশীদার: পর্যটকদের প্রকৃতি সংরক্ষণ ও সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগে অর্থায়ন ও অংশগ্রহণকারী হিসেবে যুক্ত করা।
পর্যটনে টেকসই রূপান্তর হলো একটি উদ্দেশ্যমূলক ও সময়সীমাবদ্ধ পুনর্গঠনপ্রক্রিয়া, যেখানে নীতি, বাজার প্রণোদনা, ব্যবসায়িক মডেল এবং আচরণগুলো এমনভাবে পরিবর্তিত হয়, যাতে খাতটি পৃথিবীর পরিবেশগত সীমার মধ্যে থেকে পরিচালিত হয় এবং মানবকল্যাণকে অগ্রসর করে। এই পরিবর্তন নিম্নোক্ত পাঁচটি নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত—
বিজ্ঞানসম্মত: প্যারিস চুক্তি, জীববৈচিত্র্য ও চক্রাকার অর্থনীতির লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
অবস্থানভিত্তিক: স্থানীয় ধারণক্ষমতা ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা।
ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক: সুষ্ঠু কাজ, লিঙ্গ সমতা, যুব সম্প্রদায়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের অধিকারকে প্রাধান্য দেওয়া।
ডেটা-নির্ভর: প্রভাব ও ফলাফলের স্বচ্ছ পরিমাপ ও প্রকাশ।
পুনরুত্থানমূলক: কেবল টেকসই ব্যবস্থা নয়, বরং প্রতিবেশব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক সম্পদের পুনর্জাগরণ।
গত তিন দশক ধরে পর্যটন খাত ‘টেকসই উন্নয়ন’ ধারণাকে গ্রহণ করেছে, কিন্তু সীমিত উন্নতি যেমন, কম পানির ব্যবহারকারী ট্যাপ বা ঝরনা বসানো, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এখন আর যথেষ্ট নয়। টেকসই রূপান্তর মানে কেবল ‘ক্ষতি কমানো’ নয়, বরং পুরো পর্যটন ব্যবস্থায় যেমন, গন্তব্য পরিকল্পনা, পরিবহন, আবাসন, আকর্ষণীয় স্থান, চলাচল, খাদ্যব্যবস্থা এবং অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিসহ সর্বত্র কীভাবে মূল্য সৃষ্টি ও তা বণ্টন হবে, তা নতুনভাবে নকশা করা। টেকসই রূপান্তরের মূল দিকগুলো ও করণীয় নিম্নে আলোচনা করা হলো—
পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ ও কার্বন মুক্তকরণ—
পরিবহন: রেল ও বৈদ্যুতিক বাসকে অগ্রাধিকার, টেকসই বিমান জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো, ‘দীর্ঘ সময় অবস্থান, কম ভ্রমণ’ নীতির প্রচার।
ভবন: হোটেল ও হোমস্টের জন্য জ্বালানিশক্তি দক্ষতার মানদণ্ড বাধ্যতামূলক করা, সৌরবিদ্যুৎ, হিট পাম্প ব্যবহার, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় প্যাসিভ কুলিং।
খাদ্যব্যবস্থা: স্থানীয় সরবরাহশৃঙ্খল ছোট করা, মৌসুমি মেনু ব্যবহার, খাদ্য অপচয় কমাতে ‘পরিমাপ ও ব্যবস্থাপনা’ প্রোগ্রাম।
অভিযোজন: ভূমির ব্যবহার পরিকল্পনায় জলবায়ুঝুঁকি অন্তর্ভুক্ত করা, ম্যানগ্রোভ, বালিয়াড়ি পুনরুদ্ধার, ইত্যাদি প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান।
প্রকৃতি সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা—
প্রকৃতি সংরক্ষণ অর্থায়ন: ভিজিটর ফি ও আয়ের একটি অংশ সংরক্ষণ ও সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ, ঋণ-বিনিময়ে প্রকৃতি সংরক্ষণ বা ব্লু কার্বন মডেল চালু করা।
বন্য প্রাণী সুরক্ষা: পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা, প্রকৃতিভিত্তিক পর্যটন অপারেটরদের জন্য সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা করা।
ক্ষতি নয়, লাভ: পর্যটন অবকাঠামোর জন্য জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক করা, লাইসেন্সের সঙ্গে পুনরুদ্ধার বা কর্মদক্ষতা ফলাফল যুক্ত করা।
প্রকৃতি সূচক: জীববৈচিত্র্য হটস্পটের অবস্থা, সংরক্ষিত এলাকার কার্যকারিতা নির্ণয়।
চক্রাকার অর্থনীতি ও বর্জ্যমুক্ত গন্তব্য:
প্লাস্টিক ও উপকরণ: একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ, পুনর্ভর্তি ও পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা চালু।
পানি ব্যবস্থাপনা: পানির সঠিক ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও ধূসর পানি পুনর্ব্যবহার।
লজিস্টিকস: পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবস্থা, জৈব বর্জ্য থেকে সার বা বায়ো গ্যাস তৈরি।
ভ্রমণকারীর পদচিহ্ন: মাথাপিছু কার্বন ও পানি ব্যবহার।
ন্যায্য কর্মসংস্থান ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি—
কর্মসংস্থান: জীবিকা নির্বাহের উপযুক্ত মজুরি প্রদান, অনানুষ্ঠানিক শ্রমের আনুষ্ঠানিকীকরণ, হয়রানিবিরোধী নীতি প্রণয়ন।
এসএমই ও সম্প্রদায়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান: ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, স্থানীয় বাজারে হোটেল ও রেস্তোরাঁর সঙ্গে সংযোগ।
সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ: স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে যৌথ ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক সম্পদের জন্য মেধাস্বত্ব ও লভ্যাংশ বণ্টন।
সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা: যুব ও নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, ভাষাশিক্ষা, গাইড প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যার দক্ষতা অর্জন, টেকসই চর্চার জন্য হোটেল ও ব্যবসার মালিকদের প্রশিক্ষণ এবং কারিকুলাম আধুনিকীকরণ, গবেষণা অংশীদারত্ব, বাস্তবভিত্তিক ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে একাডেমিয়া-শিল্প সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
সুশাসন ও নীতি প্রয়োগ—
পরিকল্পনা: নির্দিষ্ট লক্ষ্যসহ (নিষিদ্ধ স্থান, নীরব স্থান, বাফার স্থান) গন্তব্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা করা।
অর্থনৈতিক উপকরণ: পরিবেশগত কর্মক্ষমতাভিত্তিক ফি, সংরক্ষণে ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন কর।
নিয়ন্ত্রণ ও প্রণোদনা: ন্যূনতম টেকসই মান বাধ্যতামূলক করা, নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য কর প্রণোদনা প্রদান।
স্মার্ট, নৈতিক ডেটা ও পর্যটক ধারণক্ষমতা ব্যবস্থাপনা:
ধারণক্ষমতা: ভিড় নিয়ন্ত্রণে সেন্সর ও মোবাইল ডেটা, স্থান ও সময়ভিত্তিক টিকিটিং ব্যবস্থা।
বিশ্বাসযোগ্য দাবি: পরিবেশগত বিভিন্ন তথ্যের উন্মুক্ত মানদণ্ড, তৃতীয় পক্ষ দ্বারা যাচাই করা।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি: ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য ই-কমার্স ও এআই প্রশিক্ষণ, বাজার প্রবেশাধিকারের জন্য বহুভাষিক কনটেন্ট নির্মাণ।
সমন্বয়: ডেটা সংগ্রহে সরকার, একাডেমিয়া এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা জরুরি, যাতে পরিবর্তনের প্রবণতা বোঝা যায় এবং নীতি নির্ধারণে স্বচ্ছতা আসে।
পর্যটনকে কৌশলগত উদ্ভাবন ও দায়িত্বশীল উদ্যোগের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন ও উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল অসীম সুযোগ সৃষ্টি করছে। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং স্টার্টআপগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করা, বিশেষ করে যেগুলো নারী ও যুবদের নেতৃত্বে পরিচালিত, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ক্ষমতায়ন ছাড়া টেকসই রূপান্তর সম্ভব নয়। শিক্ষা হলো রূপান্তরের চালিকা শক্তি।
অন্যদিকে সবুজ ও টেকসই বিনিয়োগও রূপান্তরের একটি শক্তিশালী চালিকা শক্তি। দীর্ঘমেয়াদি সম্প্রদায় সুবিধা, জলবায়ু অভিযোজন এবং সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা এই বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই খাতে সারা বিশ্বে ২,৩০০-এর বেশি গ্রিনফিল্ড এফডিআই প্রকল্প এসেছে, যার বিনিয়োগের পরিমাণ ১২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এই বিনিয়োগগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি সম্প্রদায়গত সুফল, সহনশীলতা গড়ে তোলা এবং জলবায়ু পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিনিয়োগ হতে হবে আরও স্মার্ট ও টেকসই। জাতিসংঘ পর্যটনের টেকসই পর্যটন বিনিয়োগের নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত হয়ে সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনদেরকে সহযোগিতা করতে হবে, যাতে এর প্রবৃদ্ধি জলবায়ু লক্ষ্য, সামাজিক প্রভাব ও উদ্ভাবনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫–এর মূল প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন ও টেকসই রূপান্তর’ শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং এক নতুন দিকনির্দেশনা। এটি আমাদের কেবল পর্যটনের ক্ষতির পরিমাণ কমানো নয়, বরং এই খাতের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠন করতে আহ্বান জানায়। যদি পর্যটন সত্যিই টেকসই রূপান্তরের পথে অগ্রসর হয়, তবে এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের পরিবেশ রক্ষা, স্থানীয় সংস্কৃতিকে সমুন্নত, অর্থনৈতিক উন্নয়নে ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং ভ্রমণকারীদের দায়িত্বশীল অংশীদারে পরিণত করবে। একবিংশ শতাব্দীতে টেকসই রূপান্তরই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের পর্যটনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এই বিশ্ব পর্যটন দিবসে আহ্বান জানাই, আসুন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই ও পর্যটনকে একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করি, যা হবে প্রাতিষ্ঠানিক ও টেকসই রূপান্তরের বাহক, যা কার্যকর সুশাসন, কৌশলগত পরিকল্পনা, কঠোর পর্যবেক্ষণ এবং স্পষ্ট সম্মিলিত অগ্রাধিকারের দ্বারা পরিচালিত হবে। পর্যটনের সম্ভাবনা কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠায় নয়, বরং ক্ষমতায়ন, পুনর্জাগরণ এবং আমাদের পৃথিবীকে টেকসইভাবে রূপান্তরে নিহিত। এখনই কাজ করার সময়। আসুন, একটি আরও টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পর্যটনের পূর্ণ সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করি।
*লেখক: মো. ওয়াসিউল ইসলাম, অধ্যাপক, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। [email protected]