ইউরো সফরের গল্প: পর্ব–১
‘নাগরিক সংবাদ’-এ নানা সমস্যা, জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: ns@prothomalo.com
গত বছর আগস্টের উত্তাল দিনগুলোর মধ্যেই ফরাসি দূতাবাস থেকে ভিসা পেয়ে গেলাম। ১৭ সেপ্টেম্ব উড়াল দিলাম অপার্থিব সুন্দর প্যারিসের পানে। গুগলে অনেক খোঁজাখুঁজি করে শ্রীলঙ্কান এয়ারের তিনটা টিকিটে শুরু হলো যাত্রা। পথে আবার কলম্বোয় ৮ ঘণ্টার বিরতি।
আমাদের আগে থেকে অনলাইনে ইলেকট্রনিক ট্রানজিট ভিসা নেওয়া ছিল। তাই মালপত্র ঢাকা বিমানবন্দরে দিয়ে এক্কেবারে খালি হাতে যাত্রা করলাম দুপুরের দিকে। তিন থেকে চার ঘণ্টা পর বিকেল পাঁচটায় কলম্বো নেমেই ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিমানবন্দর থেকে বাকি দিনের জন্য ৫০ ডলারে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ট্যাক্সি নিয়ে নিলাম। প্যারিসের উদ্দেশে বিমান ছাড়বে দিবাগত রাত একটায়।
তাই ট্যাক্সিওয়ালা আমাদের সুন্দর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কলম্বো নিয়ে এল। পথে কত গল্প হলো তার সঙ্গে। বাড়ি তার ক্যান্ডিতে।
সেদিন ছিল এক পূর্ণিমা, তাই ছুটি। শহরের রাস্তা ফাঁকা। এখান–সেখান ঘুরে, মন্দির, প্যাগোডা আর সব দ্রষ্টব্য দেখে গেলাম শহরের ভেতরে সুন্দর এক সৈকতে। কী সুন্দর সাজানো–গোছানো পরিষ্কার পাথুরে সৈকত বলে আর নামিনি। অবশ্য পোশাক–আশাক ছিল না সঙ্গে। বেশ অনেকক্ষণ বোধ হয় আপ্লুত হয়ে উপভোগ করছিলাম চাঁদের আলোয় চমকিত সাগর। আমাদের ট্যাক্সিওয়ালা দেখি খুঁজতে খুঁজতে হাজির। বেশ রাত হয়েছিল। ফেরার পথে কলম্বো বিমানবন্দরে আসার পথে ছোট এক শহর পাড়ি দিলাম। চাঁদের আলোয় এক সাদাটে গির্জা কী অদ্ভুত লাগছিল! আর পাশের শতাব্দীপ্রাচীন কবর দেখে ভয় ভয় করছিল বলে অগত্যা বিমানবন্দরে হাজির হলাম মধ্যরাত হওয়ার আগেই।
লাউঞ্জে বসে মৌজ করে মজার খাবার খেয়ে উঠে পড়লাম ময়ুরপঙ্খিতে। উঠেই দিলাম ঘুম।
এরপর রাতের খাবার এলে ঘুম ঘুম চোখে আধা আধা খেয়ে আবার ঘুম। খুব সকালে এল নাশতা। নাশতা খেতে না খেতেই শুনি পাইলটের প্যারিসে নামার ঘোষণা।
ইমিগ্রেশনের বিশাল লম্বা লাইন পাড়ি দিয়ে আমরা বাইরে এসে দেখি অপরূপ ফ্রান্সের ঝলমলে সূর্য উঁকি দিচ্ছে টার্মিনালে।
আমরা আজ প্যারিস যাব না, ফেরার পথে প্যারিস দেখব বলে আগে থেকে কেটে রাখা ইজি জেটের টিকিটে হাজির হলাম ইতালির পিসার ছোট মোটো বিমানবন্দরে। আমাদের কক্সবাজারের মতো।
সেখান থেকে পাশের এয়ারবিএনবিতে মালপত্র রেখে ট্রেনে চলে গেলাম লুক্কা নামের সুন্দর এক নীরব শহরে। এখানে দেখলাম বাঙালি ভাইয়েরা একেবারেই নেই। শহরটা বেশ পুরোনো মনে হলো। সেখানেই মজার ইতালির জিলাতো শেষে রাতের খাবার আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাঝে চন্দ্রালোক উপভোগ করতে করতে শেষরাতের ট্রেনে ফিরলাম পিসাতে। এভাবেই শেষ হয়ে গেল দ্বিতীয় দিন।
তৃতীয় দিন
আমরা বেশ ভোরে মালপত্র গুছিয়ে দ্রুত ট্রেনে চলে এলাম অ্যাম্পলি নামের আরেকটা ছোট্ট শহরে। আগামী তিন দিন এখানের এয়ারবিএনবিতে হবে আমাদের আবাস। এটা অনেকটা টঙ্গী জংশনের মতো।
ট্রেনলাইনগুলোর একটা চলে গেছে তুসকানি অঞ্চলের ছোট শহগুলোর দিকে, অন্যটা ফ্লোরেন্সের দিকে আর আমরা এলাম পিসা থেকে, যেটা এসেছে চিংকুয়ে টেরে হয়ে মিলানের থেকে।
তাই এবার ছোট ছোট শহর দেখার পালা। আজকের প্ল্যান হচ্ছে সিয়েনা হয়ে মন্টিপুলসিয়ানো থেকে পিয়েনজা যাওয়ার।
আমরা বুঝিনি যে পিয়েনজা এত দূর।
আমরা সিয়েনায় নেমে আরেকটা আঞ্চলিক ট্রেনে মন্টিপুলচিয়ানো পৌঁছালাম। সেখান থেকে বাসে করে হেলেদুলে পিয়েনজা আসতে আসতে সকাল শেষ। এ শহরের এক মজার ইতিহাস আছে। এখানে নাকি পোপ এসে থাকতেন সেই মধ্যযুগে।
তাই দেখলাম শহরটাতে অনেক পুরোনো বাড়িঘর, গির্জা আর সেমিনারির সমারোহ।
ঘুরেটুরে জিলাতো গিলে যেই না আমরা ফিরতি বাস নেব, জানা গেল, আজকে হরতাল ডাকা হয়েছে। কী মুশকিল। কী হবে এখন। আমরা ট্রেনস্টেশনে যাব কীভাবে?
অনেক সময় নষ্ট হলো এখানে, সারা বিকেল অপচয় শেষে শেষবিকেলে এল একটা রিলিফ বাস, সেটা আমাদের এক অদ্ভুত শহরের বাদ টার্মিনালে নামিয়ে দিয়ে লাপাত্তা। রাত প্রায় নেমে গেছে। শীত শীত বাতাস। নির্জন চারদিক।
অনেক কষ্টেসৃষ্টে দুনিয়ার ইউরো দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে রাতের অন্ধকার ভেদ করে হাজির হলাম চিউসি-সিয়ানচিয়ানো নামের এক নির্জন শহরে।
ভীষণ বন্যার কারণে আমাদের ট্রেন দেরি করে এল। গন্তব্য ফ্লোরেন্স।
আমরা ভয়েই মরছিলাম যে ফ্লোরেন্স থেকে কানেক্টিং অ্যাম্পলির ট্রেনটা না মিস করি।
ট্রেন পাগলের মতো ছুটে এসে হাজির হলো ফ্লোরেন্সে অনেক রাতে। তখন কিন্তু কানেক্টিং ট্রেন ছাড়ার সময় পার হয়ে গেছে।
লাউডস্পিকারে কী একটা ঘোষণা হচ্ছিল, যার আগামাথা আমাদের মাথায় ঢুকছিল না সেই মুহূর্তে। কীভাবে যাব সেই শহরে আমাদের এয়ারবিএনবিতে। ট্রেন তো চলে গিয়েছে। তাহলে? অ্যাটেনডেন্ট নারী এসে বলল, দৌড়াও, পাশের ৯ নম্বরে অপেক্ষা করছে।
আল্লাহ জানে, জীবনে শেষ কবে এত জোরে দৌড়েছিলাম। একগাধা আধা ঘুম আধা জাগো যাত্রীর সঙ্গে দৌড়ে সেই কানেক্টিং ট্রেনে যখন উঠলাম, তখন আমার জিহ্বা অর্ধেক বের হয়ে গেছে। এটা ছিল ১০০ মিটার স্প্রিন্টের মতো।
ওঠামাত্রই ট্রেন ছেড়ে দিল। আমরা প্রায় আড়াইটার দিকে জনমানুষহীন অ্যাম্পলিতে পৌঁছালাম। ভাগ্য ভালো, এয়ারবিএনবিটা স্টেশনের কাছে ছিল। রুমে ঢুকে সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুম দিলাম। কাল আবার রোম যাওয়ার কথা সকালের ট্রেনে।
চতুর্থ দিন
বেশ সকালে ট্রেনে চেপে ফ্লোরেন্স হয়ে সকাল ১০টার দিকে রোমে এসে হাজির হলাম। কী সুন্দর রোদ–ঝকঝকে দিন। আহ, মনটাই ভালো হয়ে গেল! টার্মিনি স্টেশন থেকেই ছাড়ে মেট্রোরেল।
সেখান থেকেই সারা দিনের ডেসপাস কিনলাম ৮ বা ১০ ইউরোতে।
সেটা নিয়ে চলে এলাম কলোসিয়াম স্টেশনে। বের হতেই সামনে উঁকি দিচ্ছে বিশাল কলোসিয়াম।
কলোসিয়াম দেখে সেই পাসেই বাসে করে হাজির হলাম পুরোনো রোমে। সেখানে প্যান্থিয়নে এসে দেখি দুনিয়ার লোক। আমরা লাইনে ঢুকলাম এই বিশাল রোমান আমলের এই গর্তওয়ালা গম্বুজওয়ালা ভবনে।
এটা নাকি সেই আমলের সবচেয়ে বড় ফ্রি স্ট্যাডিং গম্বুজওয়ালা ভবন।
এখানেই পিয়াজ্জা নভোনা। সেখানে সংস্কারকাজ হচ্ছিল। আমরা সেখান থেকে একগাদা পর্যটকের পিছে পিছে সাপের মতো এঁকেবেঁকে হাজির হলাম ট্রেভি ফাউন্টেনে।
কী ভীষণ ভিড়?
সবাই পয়সা ফেলতে ব্যাস্ত। সবার ধারণা, উল্টো হয়ে বাঁ দিক দিয়ে কয়েন ঝরনায় ছুড়ে দিলে আবারও আসতে পারবে রোমে।
তাই সেই বিশ্বাসে দীক্ষিত হয়ে আমরাও ফেললাম কয়েকটা কয়েন। সেখান থেকে হেঁটে হেঁটে গেলাম স্পেনিস স্টেপ্সে। ‘রোমান হলিডে’ ছবিতে এখানে অড্রে হেপবার্ন আর গ্রেগরি পেকের বেশ কিছু দৃশ্যায়ন ছিল। এই ছবিটার কারণে আজকে গাদা গাদা মার্কিনের এত আগমন। ইদানীং অবশ্য জেন-জিরা নেটফ্লিক্সের ‘এমিলি ইন প্যারিস’ মিনি সিরিজের এমিলির ঘন ঘন রোম সফরে মার্কিন পর্যটক আসার ঢল আরও বেড়ে গেছে।
এত কিছু দেখার পর আমরা গেলাম পিয়াজ্জা ডেল পপলোতে। বিকেল তখন প্রায় শেষ হয়ে আসছিল। তাই আমরা তাড়াহুড়া করে পোপের ভ্যাটিকান সিটির বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম বাসে করে। সেই পাস এখানেও কাজে লাগল। বিশাল একটা লাইন এঁকেবেঁকে একদম সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার ভেতরে চলে গেছে। ঘণ্টার কাছাকাছি একটু একটু করে এগিয়ে সাংঘাতিক নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে ঢুকে গেলাম ব্যাসিলিকার ভেতরে।
এত্ত বিশাল আর ভীষণ উঁচু, যার ছাদে অনেক বাইবেল আখ্যা ফ্রেসকো হিসেবে শিল্পীর তুলিতে আঁকা হয়েছে।
আর বিশালায় মূর্তি খ্রিষ্টান সাধুসন্তদের।
এসব দেখে যখন বাইরে এলাম, ততক্ষণে সূর্য ডুবু ডুবু।
আমরা বাসে করে আবার টার্মিনি স্টেশনে চলে এলাম।
বাসায় ফেরার পালা, কিন্তু ভাগ্য খারাপ, আজকেও ট্রেন দেরিতে। কোথায় বন্যা হয়েছে, লাইন পানির তলে, তাই তিন ঘণ্টা দেরিতে প্রায় মধ্যরাতে ট্রেন ছাড়ল। আজও গত রাতের নাটকের হুবহু পুনরাবৃত্তি।
ট্রেন ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি বেগে রাতের অন্ধকার ভেদ করে কোথাও না থেকে যখন ফ্লোরেন্স এসে পৌঁছাল, ততক্ষণে সবাই ঘুমিয়ে গেছে আজকেও কানেক্টিং ট্রেন দাঁড়িয়ে পাশের প্ল্যাটফর্মে। আজও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দিলাম দৌড়। গতি বোধ হয় গতকালের চেয়ে বেশি। আজকের রোম ফ্লোরেন্স ট্রেন ছিল ইটালো কোম্পানির আর ফ্লোরেন্স এম্পলিটা ছিল সরকার ট্রেন ইতালিয়ার।
তাই অপেক্ষা করার কথাও নয়, তবু ছিল। কেন কে জানে?
আমরা হেলেদুলে এবার আরও রাতে এসে পৌঁছালাম আমাদের শহরে হেঁটে হেঁটে ভূতের গল্প করতে করতে মাঝরাতে হাজির হলাম এয়ারবিএনবিতে।
আগামীকাল আমাদের ইতালির শেষ দিন, সারা দিন দেখব ফ্লোরেন্স।
পঞ্চম দিন
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পাশের ইতালিয়ান প্যাটিসারিতে সকালের নাশতা করলাম।
বেশ ভালো স্বাদ খাবারের। তাজা খাবারের গন্ধে ম–ম করছিল পুরো দোকান। এরপর রুমে এসে গোছগাছ করে নিজেরাই রান্নাঘরে কফি বানিয়ে খেলাম। ইতালিতে কফির দাম ৩–৪ ইউরো আর আইসক্রিম বা জিলাটো ২-৫–এর মধ্যে জায়গা অনুযায়ী।
এরপর মালপত্র নিয়ে রওনা দিলাম ফ্লোরেন্স। কি সুন্দর ফ্লোরেন্স। এটা নিয়ে আমার দ্বিতীয়বার।
এডামস দেখার খায়েস ছিল। কিন্তু টিকিট শেষ। তাই আমরা শহর ঘুরে বেড়ালাম। বিখ্যাত দ্যুমো ক্যাথিড্রাল দেখলাম। মেদিচি রাজাদের প্রধান পিয়াজ্জাতে অনেকক্ষণ বসে লোকজন দেখে সময় কাটিয়ে গেলাম পন্টে ভেকিয়ো নামের সাকো দেখতে। সাকোর ওপর দুনিয়ার সোনাদানার দোকান।
সেতু পেরিয়ে হেঁটে হেঁটে গেলাম পিত্তি প্যালেস আর লাগোয়া বুবলি গার্ডেন।
সেখানে অনেক গুলতানি মেরে গেলাম আবারও নদীর পাড়ে পুরোনো শহরে। জিলাতো নিলাম, খেলাম আরও বিচিত্র খাবার। মিষ্টিজাতীয়।
কিন্তু বিশাল লাইনওয়ালা দোকানে জিলাতো বা কফি বা এ–জাতীয় কিছু বিক্রি হচ্ছিল, আমার আর ইচ্ছা করছিল না, সকালেও লাইন আবার বিকালেও মানুষের সারি দেখে আমি দমে গেলাম। ইতালির কিছু ফল কিনে খেয়ে যেই না সূর্যাস্ত দেখতে পিয়াজ্জালে মাইকেল এঞ্জেলো পাহাড়ে উঠতে যাব, দেখি সামনের এক গির্জায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে, বর–কন্যা আর তাদের অতিথিরা গির্জার সামনে দাঁড়িয়ে গান গাচ্ছিল না হইহুল্লোড় করছিল, তা বোঝা মুসকিল দুনিয়ার পর্যটকদের ভিড়ের ঠেলায়। তাদের কাছে এটাও যেন ফ্লোরেন্সের কোনো আকর্ষণ।
কী আর করা, আমরা বিয়ে ফেলে উঠে গেলাম নদীর ওপারের পাহাড়ে, পথ হারিয়ে এদিক–সেদিক করে যখন গিয়ে পৌঁছালাম, দেখি সব সিঁড়ি বেদখল হয়ে গেছে। আমরা তাই পাহাড়ের ঢালের নিচে নদী ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা শহরটাকে বেশি দেখতে পারলাম না। টকটকে সূর্যটা যখন আরেক পাহাড়ের পাশ ঘেষে ডুবে গেল, তা দেখতে বেশ মোহনীয় লাগছিল। সূর্যের রশ্মি শহরের সব গির্জা আর উঁচু ছাদগুলোয় ঠিকরে পড়তে পড়তে একসময় হারিয়ে গেল।
আর আমরা পাহাড় থেকে নেমে আরনো নদী পার হয়ে আবারো শহরের অলিগলিতে ঘুরতে লাগলাম। শেষে বাঙালি এক রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেয়ে দ্যুমো বা ফ্লোরেন্সের ক্যাথিড্রালের আশপাশের অলিগলিতে গুলতানি মারলাম। আড্ডা শেষে মধ্যরাতের দূরপাল্লার ইউরোলাইন বাসে চেপে রওনা দিলাম পাশের দেশে।
আমাদের গন্তব্য স্লোভেনিয়া, স্লোভেনিয়ার লেক ব্লেড। সেই গল্প পরে আরেক পর্বে। চলবে...