পাথুরে সেন্ট মার্টিনে আমরা

ভ্রমণকারীদের আরাধ্যের শীর্ষস্থানীয় জায়গা হচ্ছে সেন্ট মার্টিন। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে ক্ষুদ্র ইউনিয়ন একটি দ্বীপের সেন্ট মার্টিন। প্রতিবছর শীতকালে (নভেম্বর-মার্চ) পর্যটকে মুখর থাকে দ্বীপটি। আসেন বিদেশি পর্যটকও। ২০১২ সালের পর চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে আবার গিয়েছি বারবার হাতছানি দেওয়ার প্রবাল দ্বীপে। আগেরবার একা গেলেও এবার গিয়েছি চারজনের পরিবার নিয়ে—স্ত্রী আঞ্জুমান আরা পারু, বড় মেয়ে প্রভা সালেহ ও ছোট মেয়ে নোভা আহমেদ ছিল আমার সঙ্গে।

১ / ৬
পাথুরে সৈকত, সেন্ট মার্টিন উত্তর সৈকত
ছবি: লেখক

টেকনাফ থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় ছেড়ে দুপুর ১২টার কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে সেন্ট মার্টিনে। ভাড়া জাহাজ ও শ্রেণিভেদে পার্থক্য আছে। যাতায়াত টিকিট নিলে ১০০০ টাকা থেকে শুরু। সেন্ট মার্টিনে থাকলে আরও উপভোগ করা সম্ভব। বেলা ৩টায় সেন্ট মার্টিন ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেকনাফ ঘাটে পৌঁছায় জাহাজ। জাহাজের টিকিট ভ্রমণের দিন টেকনাফ ঘাট থেকে অথবা আগেই কক্সবাজারের বিভিন্ন কাউন্টার থেকে কাটা যায়। সাধারণত শীতকালে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত জাহাজ চলে। কোনো কোনো বছর সময় একটু বাড়ে বা কমে। এ সময়ে সমুদ্র শান্ত থাকে। ফলে ঝুঁকি একেবারেই কম থাকে।

২ / ৬
পাথরের ওপর ঝিনুকের স্তূপ। উত্তর সৈকতে বেশি দেখা যায়
ছবি: লেখক

কক্সবাজার যেতে হলে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাসে বা ঢাকা থেকে বাস, প্লেন বা ট্রেনে যাওয়া যাবে। শ্রেণি ও বাহনভেদে ভাড়া কমবেশি হবে। এরপর জাহাজে সেন্ট মার্টিন যেতে হবে। কক্সবাজার বা টেকনাফ থেকে জাহাজ পাওয়া যাবে। টেকনাফ থেকে অনেক জাহাজ ও ভালো দৃশ্য দেখা যাবে।

৩ / ৬
কেয়াবন ও নীল জলরাশির মধ্যখানে লেখকের পরিবার
ছবি: লেখক

সেন্ট মার্টিনে মূলত একটিই রাস্তা। উপরাস্তা আছে কিছু। থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। কারও কারও বাড়িতেও থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। ছুটির দিনে ও পিক সিজনে খরচ বেশি হয়।

৪ / ৬
জাহাজে চলতিপথে সীগাল চলে আসে প্রায় হাতের নাগালে। চিপস/ খাবার ছিটালে তারা উড়বে জাহাজের কাছেই, মনে হয় এই বুঝি ধরে ফেললাম সীগাল! সীগালদের সঙ্গে খেলতে খেলতে চলে যাবে অনেক সময়
ছবি: লেখক
৫ / ৬
সূর্যাস্ত দেখতে কার না ভালো লাগে! আর যদি তা হয় জাহাজ থেকে কিংবা সাগর থেকে! অপূর্ব এ দৃশ্যই ধরা দেয় সেন্ট মার্টিন থেকে আসার পথে!
ছবি: লেখক
৬ / ৬
কেয়াবনে লেখক
ছবি: সংগৃহীত