দার্জিলিংয়ের দরজায়

অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলি, তখনো হুমায়ূন আহমেদের বেশ কয়েকটি বই পড়া হয়ে গেছে—বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে। নবম শ্রেণিতে পড়েছি ‘কবি’, ‘কহেন কবি কালিদাস’, ‘আঙুল কাটা জগলু’ ইত্যাদি। তো কিছু টাকা জমিয়ে স্থানীয় লাইব্রেরি, আসলে বুকশপ থেকে জীবনের প্রথম যে বইটা কিনি তা হচ্ছে, ‘দেখা না দেখা’। বই কেনার উত্তেজনায় বইয়ের টপিক, ফ্ল্যাপের লেখা বা শপে বইটা উল্টেপাল্টে দেখার সুযোগই নিইনি।

বাসায় এসে পড়তে বসে দেখি, এই যা! এ তো ভ্রমণকাহিনি, তা–ও আবার একেবারে ব্যক্তিগত। একে কাহিনি বললেও ভুল হবে। লেখক যেখানে যা দেখেছেন, ছবির সঙ্গে সঙ্গে তার কিছু বর্ণনা দিয়েছেন আর মাঝেমধ্যে কিছু জায়গার ইতিহাসও লিখেছেন। মনটা একেবারে ভেঙে গেল। ভেবেছিলাম, ‘মিসির আলি’ বা ‘হিমু’র মতো কোনো গল্পের বই হবে—তা নয়। এখন আর কী করা, প্রথম বই কেনা, তাই পড়লাম। আর বুঝলাম, কোনো একটা জায়গা ভ্রমণ করলে শুধু চোখের দেখা নয়, সেই জায়গার ইতিহাস, মানুষ, ঐতিহ্য সম্পর্কে যদি একটু জানা থাকে, তাহলে সেই দেখার মজাটাই অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা তো সেটা করি না।

এখন আসি আমাদের কথায়। এত কিছু জেনেও আমাদের বেলায় ঘটে উল্টোটা। আমরা ঘুরে আসি, দেখে আসি, তারপর মনে নানা প্রশ্ন জাগে। ফিরে এসে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বসি ইন্টারনেটে। আর কিছু উত্তর পেলে এমন অবাক হই যে মনে মনে বলি—আশ্চর্য! এটা তাহলে ওটা ছিল, এঁরা তাহলে তাঁরা ছিলেন।

এত কিছু বলার আসল কারণ হচ্ছে, দার্জিলিংয়ের লেপচা জগৎ। দার্জিলিং ভ্রমণের সবকিছু যখন ঠিক করছিলাম—মানে কোথায় থাকব, কোথায় কোথায় যাব—তখন কী মনে করে যেন প্রথম রাতটা এই লেপচা জগতেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিই। সাধারণ পর্যটকের চোখে আমাদের কাছেও তখন এটা ছিল নিতান্তই পাইনবনে ঘেরা, ছিমছাম, হাতে গোনা কয়েকটা হোম স্টে নিয়ে গড়ে ওঠা ছোট্ট গ্রাম—যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। নিদারুণ, কিন্তু অফবিট একটা পর্যটন স্থান। এর বেশি কিছু তো আমাদের বর্তমান পর্যটকদের জানা লাগে না। আমরা শুধু জানতে চাই, কোথায় কত খরচে কেমন খাওয়া-থাকা যাবে, কোথায় ভালো সেলফি বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য স্টোরি বা রিলসের ছবি-ভিডিও ভালো আসবে। বলতে দ্বিধা নেই, আমরাও সেই মানসিকতা নিয়েই দার্জিলিংয়ের প্রথম রাত ও পরের ভোর দেখার জন্য লেপচা জগৎকে বেছে নিয়েছিলাম।

দার্জিলিংয়ের ‘লিং’ মানে জায়গা এবং ‘দর্জি’ মানে বজ্র; অর্থাৎ দার্জিলিং মানে বজ্রের ভূমি/ বজ্রাস্ত্রের স্থান। দার্জিলিং একসময় সিকিমের অংশ ছিল, কিন্তু মজার বিষয় হলো, তখন সিকিম ভারতের অংশ ছিল না। সিকিম ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৭৫ সালে, ব্রিটিশদের ভারত ছাড়ার অনেক পরে। এর আগে সিকিম ছিল আলাদা রাজ্য, যা নামগ্যাল রাজবংশের (Chogyal dynasty) নেতৃত্বে পরিচালিত হতো।

তখন কে জানত, এই জগৎ যাদের—মানে লেপচারা (লেপচা জগৎ = লেপচাদের জগৎ)—তারাই হচ্ছে এই তল্লাটের, মানে পুরো সিকিমের (দার্জিলিং একসময় যার অংশ ছিল, এর বিস্তারিত একটু পরই বলব) সবচেয়ে আদি বাসিন্দা। কিন্তু আজ এই লেপচারাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এক সম্প্রদায়। কাজী দাওয়া সামদুপ (আরে, আমিও তো কাজী—এ তো আরেক গবেষণার বিষয় হয়ে গেল!) নামের একজন লেখক ১৯০৮ সালে সিকিমের ছগিয়াল রাজা থুতুব নামগ্যাল ও রানি ইয়েশি ডোলমা কর্তৃক রচিত একটি পাণ্ডুলিপি ‘The Royal History of Sikkim’ অনুবাদ করেন, যেখানে এর সত্যতা পাওয়া যায়।

‘The Lepcha: English Encyclopaedical Dictionary’-তে বলা হয়, লেপচা বিশ্বাস অনুযায়ী লেপচাদের আদি মাতা-পিতা যথাক্রমে ‘নাযং নিউ’ এবং ‘ফোদং থিং’—যাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার বরফ দিয়ে। লেপচাদের ধর্মীয় বিশ্বাসমতে, ফোদং থিং ও নাযং নিউয়ের বৈবাহিক সম্পর্কের আগেই সাতটি সন্তান জন্ম নেয়। যেহেতু অধর্মের যোগে এই সাত সন্তান জন্মেছিল, তাই তারা ডিমন বা রাক্ষস বা অপদেবতা—লেপচা ভাষায় ‘মুং’। এরা মানবজাতির জন্য বিভিন্ন দুর্ভাগ্য, রোগ ও অশুভ পরিস্থিতির প্রতীক। পরবর্তী সময়ে ফোদং থিং ও নাযং নিউ যখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, তখন তাঁদের থেকে যে সন্তানদের জন্ম হয়, তাঁরা পবিত্র এবং বর্তমানের ‘রং কুপ’ বা লেপচা জাতির পূর্বপুরুষ হিসেবে পরিচিত। লেপচারা নিজেদের ‘মুতাঞ্চি রং কুপ’; অর্থাৎ ধরিত্রীমাতা কাঞ্চনজঙ্ঘার (স্নো পিক বা তুষারচূড়া) সন্তান বলে পরিচয় দেয়। এ কারণেই কাঞ্চনজঙ্ঘা আজও সর্বাধিক পবিত্র স্থান। শুধু পরিচয়েই নয়, তাদের কাজকর্মেও বোঝা যায়, সন্তানের যেমন মায়ের প্রতি ভালোবাসা থাকে, প্রকৃতির প্রতিও তাদের ঠিক তেমনই ভালোবাসা। তাদের ধর্মের অনেকটা জুড়ে রয়েছে প্রকৃতিপূজা। নিজেদের এই ভূমিকে তারা বলে ‘Mayel Lyang’ বা পবিত্র ভূমি।

নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

লেপচাদের ঘরগুলোকে বলা হয় ‘কা-দে-মো-লি’, সংক্ষেপে শুধু ‘লি’। আশ্চর্যভাবে কাঠ ও বাঁশের তৈরি এই ঘরগুলো ভূমিকম্প ও পাহাড়ধস প্রতিরোধক, আর এসব ঘরে লোহার কোনো ব্যবহার নেই। কতটা প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব—ভাবা যায়! লেপচাদের আলাদা স্বতন্ত্র লিপিসহ ভাষাও রয়েছে, যাকে ‘রং’ বা ‘কাখা’ লিপি বলা হয়। আমরা যে হোম স্টেতে ছিলাম, তার নাম হচ্ছে ‘সালাখা’। লেপচা ভাষায় সালাখা (Salakha) শব্দের অর্থ হলো আলো বা জ্যোতি।

The Lepchas: Culture and Religion of a Himalayan People বইয়ে পাওয়া যায়, লেপচা রাজা বা প্রধানদের বলা হতো ‘পানু’, যারা সপ্তম শতাব্দী থেকে ১৬৪২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। এরপর লেপচারা স্বেচ্ছায় নামগ্যাল রাজত্ব মেনে নেয় এবং পুরো সিকিম নামগ্যালদের শাসনে চলে আসে। তবে শেষ রাজা ছিলেন ‘পানু গেবু আচায়ক’, যিনি ১৬৬০ থেকে ১৬৭৬ পর্যন্ত গদিতে ছিলেন। এই শেষ রাজার বিষয়ে অনেক মিথ ও কানাঘুষা ছিল—বিশেষ করে ভুটানিদের মধ্যে—যে তিনি জাদুবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। তাই গেবু আচায়ককে ভুটিয়া বা ভুটানবাসীরা ডেমন কিং বা শয়তান রাজা বলেও ডাকত। অন্যদিকে লেপচাদের কাছে তিনি ছিলেন আশা ও নিজস্বতার প্রতীক। লোককথা অনুযায়ী, ভুটানি গোষ্ঠী কর্তৃক তিনি ক্ষমতা ও প্রাণ—দুটিই হারান এবং এর মধ্য দিয়েই নিজেদের জমিনে লেপচাদের নিজস্ব ক্ষমতার সমাপ্তি ঘটে।

এখন আসি দার্জিলিংয়ের কথায়। ‘লিং’ মানে জায়গা এবং ‘দর্জি’ মানে বজ্র; অর্থাৎ দার্জেলিং মানে বজ্রের ভূমি / বজ্রাস্ত্রের স্থান। দার্জিলিং একসময় সিকিমের অংশ ছিল, কিন্তু মজার বিষয় হলো, তখন সিকিম ভারতের অংশ ছিল না। সিকিম ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৭৫ সালে, ব্রিটিশদের ভারত ছাড়ার অনেক পরে। এর আগে সিক্কিম ছিল আলাদা রাজ্য, যা নামগ্যাল রাজবংশের (Chogyal dynasty) নেতৃত্বে পরিচালিত হতো।

অপর দিকে নেপালের গোর্খা রাজবংশ বারবার সিকিমে আগ্রাসন চালাত নিজেদের পরিধি বিস্তারের জন্য। অষ্টাদশ শতাব্দীতে গোরখারা সিকিমে আক্রমণ করে এবং সিকিমের রাজা ছগিয়াল তিব্বতে আশ্রয় নেন। সিকিমের ছগিয়ালদের সঙ্গে ব্রিটিশদের ভালো সম্পর্ক থাকায় ব্রিটিশরা ১৮১৪ সালে নেপালের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যা অ্যাংলো-নেপাল যুদ্ধ নামে পরিচিত। নেপালের পরাজয়ের পর ১৮১৬ সালে Treaty of Sugauli-এর মাধ্যমে নেপাল সিকিমের দখলকৃত অংশ ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয়।
এরপর ব্রিটিশ ইস্ট–ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮১৭ সালে সিকিমের রাজা ছগিয়ালের সঙ্গে Treaty of Titalia স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে সিকিমের ভেতর দিয়ে কলকাতার সঙ্গে খোলাবাজারব্যবস্থার শর্তে নেপালিদের দখলকৃত অংশ সিকিমকে ফেরত দেওয়া হয়। ফেরত তো দেওয়া হলো, কিন্তু বাংলা ছবির ভিলেনের মতো ব্রিটিশদের নজর পড়ে থাকে দার্জিলিংয়ের দিকে। কিন্তু কেন? কী ছিল এই দার্জিলিংয়ে?

Treaty of Titalia-এর ১০ বছর পর নেপাল ও সিকিমের মধ্যে আবার গোলমাল শুরু হয়। তখন ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক দুজন অফিসার—ক্যাপ্টেন জর্জ লয়েড এবং জে ডব্লিউ গ্রান্টকে পাঠান মধ্যস্থতা করতে। তাঁরা দার্জিলিংয়ে প্রায় ছয় দিন কাটান এবং কলকাতার গরম ও ঘাম থেকে মুক্তি পেয়ে ইউরোপের মতো আবহাওয়ার লোভে পড়ে যান। ১৮২৯ সালে তাঁরা লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ককে রিপোর্ট দেন যে দার্জিলিংয়ে ব্রিটিশদের জন্য একটি স্যানেটোরিয়াম তৈরি করা দরকার। এখানকার আবহাওয়া ও পরিবেশ ব্রিটিশদের অবকাশযাপনের জন্য খুবই উপযোগী।
ব্রিটিশরা তো যেই ভাবা সেই কাজ। ১৮৩৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন সিকিমের ছগিয়াল থুগপুদ নামগ্যালের সঙ্গে একটি ‘Deed of Grant’ বা দানপত্র চুক্তি করে তারা। হি হিন্দুস্তানি-ফারসি লিপিতে অনূদিত এবং ইংরেজি ভাষায় লেখা চুক্তিটি ছগিয়াল থুগপুদ না বুঝেই সই করে ফেলেন। নিঃশর্ত উপহার হিসেবে সিকিম থেকে আলাদা হয়ে ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে চলে যায় দার্জিলিং। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশরা ভারত ছাড়লে দার্জিলিং চলে আসে ভারত নামের আরেকটি দেশের অধীনে। অথচ তখনো সিকিম ছিল একটি আলাদা রাজত্ব। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলে সিকিমের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। এক, সম্পূর্ণ স্বাধীন রাজ্য হিসেবে টিকে থাকা; দুই, ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। তখন সিকিমের রাজা ছিলেন ছগিয়াল তাশি নামগ্যাল। ১৯৫০ সালে তাঁর সঙ্গেই ভারতের একটি চুক্তি হয়—Indo-Sikkim Treaty। এই চুক্তি অনুযায়ী, সিকিম ভারতের অংশ হয়নি, তবে ভারতের দায়িত্বে যায় সিকিমের প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি ও যোগাযোগব্যবস্থা। বদলে ভারত স্বীকৃতি দেয় সিকিমের অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসন ও রাজতন্ত্রকে। ঐতিহ্যগতভাবে লেপচা ও ভুটিয়া জনগোষ্ঠী ছিল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেপালি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ও ভোটাধিকার নিয়ে এই বৈষম্য থেকেই জন্ম নেয় অসন্তোষ। আন্দোলনের ফলেই ভারতের মধ্যস্থতায় একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়—সিকিমের রাজা, সিকিমের রাজনৈতিক দলগুলো এবং ভারত সরকার। এর মাধ্যমে সিকিমে গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরু হয় এবং রাজতন্ত্রের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে আসে। ১৯৭৪ সালে সিকিম একটি নতুন সংবিধান গ্রহণ করে, যেখানে সিকিমকে ভারতের সঙ্গে ‘সংযুক্ত রাজ্য’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। যদিও তখনো সিকিম পুরোপুরি ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়নি।

চূড়ান্ত অধ্যায় আসে ১৯৭৫ সালে। সেই বছর একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্ন ছিল, সিকিমে রাজতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। ভোটের ফলাফল ছিল একতরফা। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার পক্ষে ভোট দেয়। এর ফলেই ছগিয়াল শাসনের অবসান ঘটে এবং সিকিম আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ২২তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এভাবেই একটি পাহাড়ি রাজ্য—যার শিকড়ে ছিল লেপচাদের Mayel Lyang, যার ইতিহাসে ছিল নামগ্যাল রাজবংশ, আর যার মানচিত্র থেকে আগেই কেটে নেওয়া হয়েছিল দার্জিলিং—শেষ পর্যন্ত নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ভারতের অংশ হয়ে যায়। ইতিহাসের বিচারে এটি কারও কাছে নিরাপত্তা, কারও কাছে হারানো স্বাধীনতা, আবার কারও কাছে সময়ের অনিবার্য পরিণতি।

লেখক: সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার