ঈদের তৃতীয় দিন ঘুরতে গিয়েছিলাম চা–বাগানে

ঈদ আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বছরে দুইবারই আমরা ঈদের আনন্দের সুযোগ পাই, তাই প্রতিবারই কোনো না কোনো যায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয়। কখনো পরিবারের সঙ্গে আবার কখনোবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কিংবা এলাকার বড় ভাইদের সঙ্গে বেড়ানোর সুযোগ আসে। এবার ঈদের দিন স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিচালক শুভ ভাই জানান তাঁরা বেড়াতে যাবেন চা-বাগানে। আমার বাড়ি মৌলভীবাজার হওয়ার সুবাদে আমি প্রায়ই চা–বাগানে যাই এবং বলতে গেলে প্রতিদিনই চা–বাগানের সঙ্গে দেখা হয়।

কিন্তু আমি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ আর এই ভ্রমণ যদি হয় সফরসঙ্গীদের সঙ্গে, তাহলে আমি যেকোনো জায়গায়ই যেতে প্রস্তুত।

ঈদের দিনেই পরিকল্পনা হয়, ঈদের দ্বিতীয় দিন আমরা চা–বাগানে যাব। কিন্তু ঈদের দ্বিতীয় দিন আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায় ঝড়বৃষ্টি। ঝড়বৃষ্টির কারণে আমাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করে দিতে হয়। তারপর প্ল্যান হয় যদি আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আমরা ঈদের তৃতীয় দিন বাগানে যাব।

ঈদের তৃতীয় দিন সৃষ্টিকর্তায় কৃপায় আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় আমরা বাগানে যাওয়ার সুযোগ পাই।

বাগানে গিয়ে সবাই ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি। যদিও চা–বাগানে আমার বেশ ছবি আছে, তবুও সবার ছবি তোলা দেখে আমারও আগ্রহ হয়, আমিও ছবি তুলি। নিজের কয়েকটি ছবি তুলি। আমাদের ভ্রমণের সব থেকে মজার বিষয়টি ছিল ‘বেলুন রক্ষা’ খেলা। একটা সার্কেল দিয়ে সার্কেলের ভেতরে সবাই হাতে করে একটা বেলুন নিয়ে ঢুকব এবং নিজের বেলুন রক্ষা করে অন্যেরটা ফোটাতে হবে।

খেলাধুলা আর চা–বাগানে ঘোরার মধ্য দিয়ে এবারের ঈদের সব থেকে সুন্দর সময়টি কাটিয়েছি।