সিঙ্গাপুর ভ্রমণের গল্প: পর্ব–১

অফিস থেকে ব্লক লিভ ঘোষণার পরপরই ভাবছিলাম পরিবার নিয়ে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়। কিছুদিন পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে সিঙ্গাপুরের ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করি। চাকরিজীবীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পরিবারসহ ভ্রমণের অনাপত্তি সনদ বা এনওসি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ৪৫*৩৫” সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের দুই কপি ছবি এবং পাসপোর্টের কপি জমা দিয়ে আবেদন করলেই ভিসা হয়ে যায়। ভিসার মেয়াদ পাওয়া যায় ২ মাসের। ভ্রমণের তিন দিন আগে থেকেই সিঙ্গাপুর এরাইভালের তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালে জমা দেয়া যাবে।

আমাদের ফ্লাইট ছিল ৯ তারিখ রাত ২টায় কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যাত্রাবাড়ীতে ৫ ঘণ্টা জ্যামে আটকে থেকে ফ্লাইট মিস করায় আমাদের ফ্লাইটটি পরেরদিনের জন্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। ফ্লাইট মিস করে মন খারাপ হলেও এয়ারপোর্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ। আমাদের তাড়াহুড়া দেখে ওনারা খুব দ্রুত পাসপোর্ট নিয়ে নিজেরাই সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কাউন্টারে চলে যান এবং বলেন আমি যেন লাগেজ নিয়ে তাড়াতাড়ি প্রবেশ করি। আমার আসতে দেরি হওয়ায় কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্ট থেকে মুঠোফোন নম্বর বের করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে ফোন করেন।

ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনের ঘোরাঘুরি

পরদিন খুব ভোরে আমরা সিঙ্গাপুর পৌঁছে যাই। বিমানবন্দরে নেমে কাউকে জিজ্ঞাসা করলে সহজেই এমআরটি বা বাসস্টেশন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিটি এমআরটি বা বাসস্টেশনের সাইন অনুসরণ করে যে কেউ তাঁর নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারেন। চাঙ্গী বিমানবন্দর থেকে সিজি নামে একটি শাটল সার্ভিস এক্সপো হয়ে তানাহ মেরা স্টেশন পর্যন্ত একটু পরপরই আসা যাওয়া করে। ভ্রমণকারী চাইলে স্বল্প খরচে হোটেলের নিকটবর্তী স্টেশনে নেমে যেতে পারেন। এক্সপো স্টেশনে নামলেই থম্পসন ইস্ট কোস্ট টিইএল বা ডাউন টাউন লাইন ডিটিএল ধরে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। শাটল ট্রেনের সর্বশেষ স্টেশনটি হচ্ছে তানাহ মেরা যেখান থেকে ইস্ট ওয়েস্ট লাইন ইডব্লিউএল ধরে ও গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।

সিঙ্গাপুর নেমে প্রথম দিনেই আমরা সিম এবং এমআরটি স্টেশন থেকে এমআরটি কার্ড সংগ্রহ করি। প্রথম দিন ঘুমেই কেটে যায়। পরের দিন, আমাদের প্রথম গন্তব্য সান্তোসা। আমাদের বাসা ছিল বুনলে এমআরটির পাশেই, যেখান থেকে আমরা ইস্ট ওয়েস্ট লাইন ধরে আউট্রাম পার্কে নেমে হারবার ফ্রন্ট হয়ে হেঁটে চলে যাই ভিভো সিটি স্টেশনে। ভিভো সিটি স্টেশন থেকে চার ডলার খরচ করে আমরা চড়ে বসি সান্তোসা এক্সপ্রেসে।

সান্তোসা এক্সপ্রেস করে রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড স্টেশন, ইম্বিয়াহ স্টেশন এবং বিচ স্টেশন তিনটি স্টেশনেই আপনি নামতে পারবেন। রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড স্টেশন বা ইম্বিয়াহ স্টেশন যেকোনো একটিতে নেমে জনপ্রতি ৪০ ডলার টিকিট কেটে সিইএ অ্যাকুরিয়ামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এখানে আরও পাবেন ৮৩ ডলার এন্ট্রি ফি তে ইউনিভার্সাল স্টাডিস সিঙ্গাপুরে প্রবেশের সুযোগ, একটু এগোলেই পেয়ে যাবেন পৃথিবী বিখ্যাত মাদাম ত্যুসো সিঙ্গাপুর যেখানে ৩০ ডলারে টিকিট কেটে সেলফি তুলতে পারেন পৃথিবীর বিখ্যাত সব কিংবদন্তিদের অবিকল ভাস্কর্যের সঙ্গে, কিংবা ব্রুস লির একশনের সঙ্গে ভিডিও ধারণ করে ই–মেইলও নিয়ে নিতে পারেন নিজের সংগ্রহে। সে ক্ষেত্রে ভিডিওধারণের পর ক্যামেরার পেছনের স্ক্রিনে মেইল আইডি টাইপ করে দিয়ে আসতে হবে। অবশ্য মেইল পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিও ডাউনলোড করে নিতে হবে, অন্যথায় সেটি আবার মিউজিয়ামের মেমোরি থেকে ডিলিট হয়ে যাবে। মাদাম ত্যুসো সিঙ্গাপুরের অন্যতম মূল আকর্ষণ ফোর ডি মার্ভেল মুভিজের ১৫ মিনিটের ভিডিও। এ ছাড়া রয়েছে ওশান রেস্টুরেন্ট, অ্যাডভেঞ্জার কোভ ওয়াটার পার্ক, ডলফিন আইল্যান্ডসহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান।

সান্তোসার সর্বশেষ স্টেশনটি হচ্ছে বিচ স্টেশন যেখানে একই সঙ্গে সিলোসো সৈকত, পালাওয়ান এবং তানজং তিনটি সৈকতের দেখা মিলবে। স্টেশনের কার পার্কের নিচেই রয়েছে ওজু করার এবং নামাজের স্থান। এখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সৈকতে বসে উপভোগ করতে পারতে পারেন মনোমুগ্ধকর আলোক প্রদর্শনী। এখান বিনা মূল্যে গরম এবং ঠান্ডা পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি স্থানে বাচ্চা এবং মায়েদের বিশ্রাম, ফিডিং এবং পরিচ্ছন্ন করার জন্য রয়েছে আলাদা বেবি কেয়ার কেবিন।

তৃতীয় দিনে যা যা করলাম

তৃতীয় দিন ঘুম থেকে উঠেই আমরা চলে যাই গার্ডেনস বাই দ্যা বে তে। যেখানে একটি লেকের চারপাশে গড়ে তোলা হয়েছে সুবিশাল মনোমুগ্ধকর সবুজ বাগান।

এখানকার সবুজ ঘাসের মাঠ আপনার মনকে প্রশান্ত করবেই। ঘুরতে ঘুরতেই দেখা হয়ে যায় এই বাগানে কর্মরত আমার বাংলাদেশি ভাইদের সঙ্গে। কাজের ফাঁকে কেউ এখানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন আবার কেউ নামাজ আদায় করছিলেন। আসরের ওয়াক্তে আমিও ভাইদের সঙ্গে নামাজ পড়ে নিলাম। গার্ডেন্স বাই দ্য বে তে আপনি পেয়ে যাবেন ক্লাউড ফরেস্ট, ফ্লাওয়ার ডোম, সুপার ট্রি অবজারভেটারি এবং ফ্লোরাল ফ্যান্টাসির মতো মনমুগ্ধকর প্রদর্শনী। সব কটিতে আপনাকে প্রবেশ মূল্য দিয়ে ঢুকতে হবে। তবে সমতল থেকে সুপার ট্রিগুলো আপনি দেখতে পারেন বিনা মূল্যে। এখানে সন্ধ্যার পর থেকেই সুপার ট্রিগুলোয় আলোক প্রদর্শনী এবং মিউজিক উপভোগ করতে পারেন বিনা মূল্যে ।

সন্ধ্যায় কিছুক্ষণ পরপরই এই আলোক প্রদর্শনীগুলো চলতে থাকে এবং দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীর আগে থেকেই পুরো রাস্তাজুড়ে শুয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে সুপার ট্রির আলো–ঝলমলে রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করে।

গার্ডেন্স বাই দ্য বে–এর বাসস্টেশনেই পেয়ে যাবেন ম্যাকডোনাল্ডস। রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করে ম্যাকডোনাল্ডসে খাবারদাবার সেরে আপনি সেখান থেকে ১৫ মিনিটেই চলে যেতে পারেন সিঙ্গাপুরের আইকনিক স্থান মারলন পার্কে। মারলন পার্কে যেতে হলে থমসন ইস্ট কোস্ট লাইন ধরে চলে যেতে হবে মেরিনা বে এমআরটি স্টেশনে। এখান থেকে নর্থ সাউথ এমআরটি ধরে আপনাকে নেমে যেতে হবে রেফেলস প্লাজা স্টেশনে। এখানে অনেক দর্শকদের সঙ্গে আপনি উপভোগ করতে পারেন সুবিশাল সিংহের মুখের অবয়ব থেকে পানি ছোড়ার সৌন্দর্য। এ পার্কটি ও রয়েছে সবার জন্য উন্মুক্ত।

চতুর্থ দিনের ঘোরাঘুরি

পরের দিন এমআরটিতে চড়ে সকাল সকাল চলে যাই মেরিনা সাউথ পিয়ার স্টেশনে, উদ্দেশ্য আইল্যান্ড ভ্রমণ। স্টেশনে নেমে হেটেই চলে যাওয়া যায় আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষমাণ ইঞ্জিনচালিত বোটগুলোর জেটিতে। জেটিতে আপনি কিছুটা সময় কাটাতে পারেন এখানে ঘুরে বেড়ানো কবুতর, পাখি দেখতে দেখতে। এখানে কবুতরকে খাবার ছিটিয়ে দেওয়ার অনুমতি নেই। আইল্যান্ড যাওয়ার বোটের টিকেট কিনতে জেটিতে তিনটি অপারেটরের আলাদা আলাদা তিনটি কাউন্টার চোখে পড়ল। প্রথম কাউন্টারে জনপ্রতি ৩০ ডলার টিকিট মূল্য চাইলে জানতে চাইলাম কোনো প্রকার ডিসকাউন্টের সুযোগ আছে কি না। এদের অনাগ্রহ দেখে অন্য অপারেটরের দিকে এগিয়ে যেতেই পাঁচ ডলার ডিসকাউন্ট দিতে চাইল। দ্বিতীয় অপারেটরের টিকিট মূল্য বিশ ডলার হওয়ায় টিকিট কেটে বোটের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। একটু পরেই বোট চলে আসে এবং আমরা উঠে পড়ি দ্বিতল বোটে। বোটের নিচতলা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং বসার জন্য রয়েছে অনেকগুলো বেঞ্চ। তবে সমুদ্র দর্শনের জন্য দ্বিতীয় তলাই উত্তম। বোটের যাত্রী সব মিলিয়ে আমরা তিনজন।

মিনিট বিশেক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আমাদের প্রথম নামানো হলো কুসু আইল্যান্ডে। সুন্দর, নিরিবিলি, সবুজে ভরপুর এক দ্বীপ। এখানে একটু সামনে এগিয়ে যেতেই একটি বিশাল উপাসনালয় চোখে পড়ল। মানুষজন নেই খুব একটা। পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য ডানদিকে এগিয়ে যেতেই পেয়ে যাবেন সুন্দর বসার স্থান। এখানে বসে সমুদ্র দর্শন করে নির্দ্বিধায় কাটিয়ে দিতে পারেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দ্বীপ ভ্রমণের সময় অবশ্যই পানি নিয়ে যাবেন সঙ্গে করে।

ঘণ্টা দেড়েক পর আরেকটি ছোট বোটে করে কুসু আইল্যান্ড থেকে আমরা চলে যাই সেইন্ট জনস আইল্যান্ডে। এ যাত্রায় সময় লাগে ১০-১৫ মিনিট।

এই দ্বীপটি বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে। দ্বীপটি সিঙ্গাপুরের লোকজনের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত কোয়ারেন্টাইন দ্বীপ নামে। ১৮৭৩ সালে কলেরা মহামারীর কারণে সিঙ্গাপুরের ৩৫৭ জন লোক মারা যায়, যেটি থাইল্যান্ডের একটি মহামারি আক্রান্ত জাহাজ থেকে সে সময়ে ছড়িয়ে পড়ে। ১৮৮৪ সালে মহামারি আক্রান্ত লোকজনকে আলাদা রাখার জন্য এ কোয়ারেন্টাইন দ্বীপ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৪০ সালে সিঙ্গাপুরে জাপানের দখলদারিত্বের সময় সাজাপ্রাপ্ত মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রোগীদের এখানে এনে রাখা হতো। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে দ্বীপটি পুনরায় কোয়ারেন্টাইন দ্বীপ হিসেবে চালানো হয়।

১৯৪৮ সালের মালয়েশিয়ার জরুরি অবস্থা থাকার সময় এর অংশ বিশেষকে রাজনৈতিক বন্দীদের আটক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখানকার বন্দিদের একজন সিভি ডিভান নয়্যার তার পড়াশোনার উল্লেখযোগ্য একটি সময় এখানেই অবস্থান করেন এবং পরবর্তী সময়ে সিঙ্গাপুরের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৯৫০ সালে এই দ্বীপটিকে তিনি সেইন্ট জনস ইউনিভার্সিটি হিসেবে নামকরণ করেন। ১৯৫৫ সালে এই স্থানটি মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে পরিচালনা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালে দ্বীপটিতে কোয়ারেন্টাইন সেবা ও ১৯৭৫ সালে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। অনেক পর্যটককে এখানে তাবু বিছিয়ে পরিবারসহ বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।

সেইন্ট জনস আইল্যান্ডের সঙ্গেই রয়েছে লেজারাস আইল্যান্ড এবং পায়ে হেঁটেই সেখানে যাওয়া যায়। আইল্যান্ড দুইটির সংযোগ সড়কের রোদে তীব্রতা ব্যপক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দ্বীপ জুড়ে বহু গাছ থাকলেও সংযোগ সড়কে কোনো গাছ নেই। তীব্র রোদে অনেককেই দেখা গেল মাছ শিকারে ব্যস্ত। সেইন্ট জনস আইল্যান্ডের সাইকেল ভাড়া পেয়ে যাবেন ঘণ্টা প্রতি ১০ ডলারে। দ্বীপটি সুবিশাল হওয়ায় সাইকেল নিয়ে আপনি অনায়াসে পুরোটা ঘুরে দেখতে পারেন। অনেক পর্যটক এখানে সঙ্গে করে সাইকেল নিয়েও আসেন। কুসু আইল্যান্ডে পানি কিনতে না পারলেও এখানে এসে পানির জন্য একটি দোকান খুঁজে পেলাম। সেইন্ট জনস আইল্যান্ডের সমুদ্রের পাশে সাজিয়ে রাখা অনেক বেঞ্চ রয়েছে, যেখানে বসে আপনি আপনমনে সমুদ্র দর্শন করতে পারেন। চারপাশের সবুজের ঘেরা চমৎকার পরিবেশ আপনার মনকে প্রফুল্ল করবেই। এখানে সমুদ্রের পানিতে নেমে পা ভিজিয়ে নিতে পারেন। তবে দ্বীপটি বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং মানুষের উপস্থিতি কম থাকার কারণে এখানে নেমে গোসল না করাই ভালো, যদিও এখানে শাওয়ার নেয়ার জন্য টয়লেটের পাশে আলাদা শাওয়ার রুম রয়েছে।

বিকাল সাড়ে চারটায় আমাদের ফিরতি বোট চলে এল। অবশ্য এখানকার ফিরতি বোটের সর্বশেষ সময় পৌনে ছয়টা। কোন কারণে আপনি বোট মিস করলে ২০০ ডলার দিয়ে এখানে থাকতে হবে। ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই আমরা বোটে উঠে পড়লাম। ফিরতি বোটে উঠতে হলে আপনাকে অবশ্যই টিকেট প্রদর্শন করতে হবে। যেহেতু এটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অবশ্যই আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে। আপনি যদি বড় লাগেজ বহন করেন তাহলে জেটিতে অবস্থিত অভ্যন্তরীণ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পার হয়ে আসতে হবে। ফেরার পথে আমরা চলে যাই মেরিনা বে ওয়াটার ফ্রন্টিয়ারে যেখানকার নান্দনিক সুউচ্চ কাচের ভবনগুলো আপনাকে বিস্মিত করবেই। চলবে....

** আগামীকাল পড়ুন সিঙ্গাপুর ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব