বিদায় বন্ধু, বিদায় দূর পরবাস

প্রবাসে থেকেও দেশ

প্রথম আলোর কল্যাণে কিছু কথা দূর পরবাসের বন্ধুদের সঙ্গে ভাগাভাগি করছি। কর্মক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার সুখ-দুঃখগুলো কিছুই লিখিনি, লিখতে চাইনি। আত্মকেন্দ্রিক কারণে অনেক দুঃখ চাপা দিয়ে গেলাম। প্রচেষ্টা থাকুক মানবতা রক্ষার। সহ্যে মানব, অসহ্যে দানব। দানবের জ্বালা সয়েই মানবের পথে এগোতে হবে।

কাউকে দোষারোপে নিজের প্রতিফলন খাটো হয়। অন্যের ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিতে পারলেই প্রতিফলন সার্থক হয়। জীবন সুন্দর হোক। মানুষ বেছে নিক আলোর দিক...।
আজকের শেষ আগামীর শুরুর পথ খুলে দেয়। শুরু কোথাও না কোথাও অপেক্ষা করে, করছে...। তবু নিই বিদায়। বিদায়বেলা হৃদয়ে স্পর্শিল শোণিতের দাগ। বেদনাতুর মন বলল, ‘কে আমাকে ভালোবাসিবে কে জানাবে শেষ বিদায়। আমি তো ভালোবাসি নাই, আমি তো আবাদ করি নাই।’

আবেগপ্রবণ এ মন বাবাকেও বিদায় দিতে চায়নি! পরে দেখলাম, বিদায় চিরতরে চলে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য নয়। বিদায় শুধু বেঁচে থাকা মানুষের জন্য। আমি বেঁচে আছি বলেই বাবাকে হারানোর শোক বহন করছি। তার বিয়োগান্তে নিঃসঙ্গতা ভোগ করছি। অথচ বাবা ওপারে সব যন্ত্রণা ভুলে আছেন। খেলাঘরের জীবনে এমনই হয়। কত কী ঘটে! পুতুলেরই–বা দোষ কী?

মাঝেমধ্যেই হতাশ হই। প্রায় কিছু করার নেই বা থাকে না। আমাকে না হলে চলেও না। আমি আছি নাই–এ মাখামাখি। রিজিক আমার পেছনে ধার্য ছিল, আছে। তবু অদ্ভুত কোনো ঐশ্বরিক কারণে আমিই রিজিকের পিছু নিয়েছি।

স্মৃতির তাড়নায় দূর পরবাসের বন্ধুদের অবশ্যই মিস করব। কোনো দিনই ভুলব না। তোমরাও ভুলে যেয়ো না বন্ধু আমার। অনুরোধ রইল, ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে নিয়ে করুণার্তে দোয়া দিয়ো...। ধন্যবাদ দূর পরবাস। ধন্যবাদ প্রথম আলো।