জেনেভায় বাংলাদেশ ক্লাবের বার্ষিক বনভোজন
এ বছরের মে মাস থেকে সুইজারল্যান্ডে করোনার বিধিনিষেধের ওপর কিছুটা শিথিলতা আনা হয়। পবিত্র ঈদুল আজহার পর থেকে জীবনযাপনে মোটামুটি অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসে সবার মধ্যে। গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর এবং কর্মব্যস্ত প্রবাসজীবনে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ কাজগুলো অনেকটা উদ্দীপনার কাজ করে। তেমনি বাংলাদেশ ক্লাব, জেনেভা বরাবরের মতো এবারও ৪ সেপ্টেম্বর) Parc de la grange-এ তাদের বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ক্লাবের এ উদ্যোগে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নারীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ঠিক যেন তিন প্রজন্মের মিলনমেলা দেখতে পাওয়া যায়। ঝলমলে চমৎকার আবহাওয়া, প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ, দৃষ্টিনন্দন লেক ভিউ—সব মিলিয়ে ছিল পরিপূর্ণ বনভোজনের আনন্দময় পরিবেশ।
বাংলাদেশ ক্লাব, জেনেভা একটি অলাভজনক সংগঠন, যেখানে দল-মতনির্বিশেষে সব পেশাজীবী প্রবাসী বাংলাদেশি স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠান, যেমন: বনভোজন, ঈদ উদ্যাপন, নববর্ষ উদ্যাপন, ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রবাসীদের একতাবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে আসছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। প্রবাসে সংগঠন মানে এক টুকরো বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে সসম্মানে দাঁড়িয়ে থাকা। সবার ঐক্যবদ্ধতা এবং সম্মিলিত প্রয়াসে শক্তিশালী রেমিট্যান্সবোদ্ধারা বাংলাদেশকে সুন্দর, সুচারুভাবে প্রবাসে উপস্থাপিত করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বর্তমান সভাপতি হারুন রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক কুদরাত এলাহী সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরব উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। দুপুরের ভূরিভোজের পর চলে দারুণ আড্ডা, নারী ও শিশু–কিশোরদের নিয়ে মজার সব দেশীয় খেলা। আমন্ত্রিত অতিথিদের মাধ্যমে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পৃথিবী সুস্থ হলে হয়তো বড় কোনো পরিসরে সবার সঙ্গে আবার দেখা হবে—বনভোজন শেষে এই পরিতৃপ্তির বাক্যালাপ শুনতে পাই।
যাঁদের উপস্থিতিতে বনভোজনটি সর্বাত্মকভাবে সার্থক হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সভাপতি শ্যামল খান, নজরুল ইসলাম জমাদার, খলিলুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাদাত হোসাইন, মশিউর রহমান, আকবর আলীসহ সাবেক ও বর্তমান কমিটির সব সদস্য। বর্তমান কমিটিকে এই চমৎকার বনভোজনের আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন জেনেভার প্রবীণ ব্যক্তি আবদুর রব, আবু তাহের চৌধুরী, জাহিদুল হক, ডাক্তার সেলিম রেজা, মীর বাদল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন টিপু সুলতান, আনোয়ারুল ইসলাম, লিপি মীর, মাসুম খান, হোসাইন আহমেদ, মারুফ আনোয়ার, জোনায়েদ আহমেদ, আশিকুর রহমান, মান্নান রাব্বি, আলম, স্বপন হালদার, অরুণ বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।