অযথাই খুঁজেছি স্বপ্নের সম্ভার
হাজার রাতের ঘুম ছেড়ে উঠে
ফোলা দুই চোখ মন নিয়ে, বালিশের নিচে
খুঁজেছি আমি দুষ্প্রাপ্য স্বপ্নের সম্ভার!
ক্লান্ত আমি তখন অকারণেই কল্পনা করি, আমার
চিঠির উত্তরে লেখা তোমার ঝড়ুয়া মনের প্রশান্তি।
আষাঢ়ের ভালোবাসা আমার বেকায়দায় অনাবৃত করে
দিয়ে গেছ হাজার অজুহাতে ঢাকা ত্রপাহীন রঙিন ঠোঁটে
তোমার সোহাগী স্বপ্নের ভালো লাগার নিঝুম কাহিনি।
রেখে গেছ অনেক অনেক না পাওয়ার অর্থান্তর,
বিবশ মর্মপীড়া আর অপরিতৃপ্ত তৃষ্ণা যাতনার।
প্রশান্ত ললাটের অধিকারী আমার উড়ু উড়ু
মনটা ভীষণ লাগামছাড়া, আর বাতিকহীন
ভাবনার সব জমা কথা ঠিকানাহীন প্রান্তর।
কুয়াশা চোখ চেখে নেয় বিনয় রপ্ত করা তোমার
আহামরি ঢং, আর মেনে নেয় মন হারানো নৈরাশ্য।
শনি গ্রহের করুণাহীন দৃষ্টিতে ভালোবাসা বদলে
দিয়ে, দাঁড়ালে ধুলোপথে শুধু ভালো লাগার
মর্মান্তিক কাহিনি হয়ে। কুহকী গুনিনরা সব
লুটেপুটে নিয়ে গেল তোমার কামনার সম্ভার,
রেখে গেল আমার দুয়ারে শ্রাবণের অজস্র
মনভাঙা ঢেউ, আর নবলব্ধ স্বপ্ন দেখা মাতলামির।
স্বতঃসিদ্ধ সত্য হলো, চিরন্তন না পাওয়ার রায়
কলমের দুছত্র লেখনিতে বলে দিলে নির্ণয়, যেন
আশাহীন আস্ত ঘটনার টুকরো স্বাদ।
জন্মের মতো আড়ি দিয়ে হারিয়ে গেলে চিরতরে।
অশ্রুনদীর এপারে দাঁড়িয়ে এখন, উত্তরা বাতাসে
এক বুক ব্যথা নিয়ে ভাবি, স্বপ্নের বোঝাটা কে নেবে,
তা নিয়ে বোঝাপড়া হয়নিকো কোনো দিন আমাদের।