‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর’ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদারত্বে ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর (ওয়াশফরআপ) প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।
দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরে পরিবেশের সামগ্রিক অবস্থা এবং এর টেকসই-সক্ষমতার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ হবে এই প্রকল্পে। রাজধানীর গুলশান ২-এ অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসে সম্প্রতি এই প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়াটারএইডের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এর হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ও ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান।
তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, পাইকগাছা, সখীপুর ও সৈয়দপুরে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো সমাজে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং জলবায়ু–সহনশীল ও ওয়াশ কার্যক্রমে সবার সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট সমস্যা লাঘব করা।
প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বসবাসকারী মানুষ, বিশেষত নারীদের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। নারীদের প্রায়ই দীর্ঘ সময়ের জন্য পানিবোঝাই পাত্র বহন করতে হয়, যা তাঁদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো সবাই, বিশেষ করে যাঁরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন, তাঁদের প্রয়োজনে জরুরি সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা।
প্রকল্পটি পথচারী ও নগরবাসীর সুবিধাতেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে ৯৫ লাখ পাবলিক পয়োনিষ্কাশন–সুবিধা ব্যবহারকারী এবং ১৮ হাজার বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মী, সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন।
এ প্রসঙ্গে ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিত করা এবং এ প্রসঙ্গে সচেতনতা গঠনের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টার উল্লেখযোগ্য প্রভাব ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করতে এই অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’
বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ও ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রিডসম্যান বলেন, ‘পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিরাপত্তা বস্তুত মৌলিক মানবাধিকার। আর আমাদের প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সামাজিকভাবে ঝুঁকির মধ্যে থাকা সম্প্রদায়ের পরিষেবাগুলো নিশ্চিত করা।’