কাইন্ডনেস চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পেয়েছেন রুবাইয়ুল মুর্শেদ
সম্মান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রুবাইয়ুল মুর্শেদ কাইন্ডনেস চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমাজে সহনশীলতার চর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার আন্দোলন করছেন। তার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এ পুরস্কার দিয়েছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ওয়ার্ল্ড কাইন্ডনেস মুভমেন্ট। এ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে তারা বলেছে, রুবাইয়ুল মুর্শেদ সমাজে সহনশীলতা ও দয়ার মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছেন। এ পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর এ ভূমিকার স্বীকৃতি দেওয়া হলো। কাইন্ডনেস মুভমেন্টের পক্ষ থেকে রুবাইয়ুল মুর্শেদকে সমবেদনার আলোকবর্তিকা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
রুবাইয়ুল মুর্শেদ মনে করেন, কাইন্ডনেস বা দয়ার শক্তি অপরিসীম। একসময় দয়াকে মানুষের দুর্বলতা হিসেবে গণ্য করা হতো, কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই; বরং দয়া মানুষের শক্তি। এ শক্তি ছাড়া মানুষ জীবনে সুখী হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কোভিডের পর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের সুখের সঙ্গে দয়ার সম্পর্ক আছে।
রুবাইয়ুল মুর্শেদের প্রতিষ্ঠিত সম্মান ফাউন্ডেশন দেশের গৃহকর্মীদের প্রতি সহৃদয় আচরণ করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কাইন্ডনেস পুরস্কার দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সদ্য প্রয়াত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের প্রথিতযশা হৃদ্রোগ-বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আবদুল মালেক সম্মান কাইন্ডনেস পুরস্কার পেয়েছেন।
রুবাইয়ুল মুর্শেদ পেশায় একজন চিকিৎসক। সেই সঙ্গে তিনি একজন লেখক। ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে ‘হ্যাভ আ নাইস ডে’ শিরোনামে কলাম লিখছেন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি দৈনিক কালবেলায় প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কলাম লিখছেন। লেখার মাধ্যমে তিনি মূলত মানুষের মধ্যে সহনশীলতা, দয়ালু মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছেন। এ ছাড়া তিনি মানুষের জটিল মনস্তত্ত্ব ও সুখ নিয়েও লিখে থাকেন।