সাঁতারকে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী

‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস-২০২৩’ পালন উপলক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
ছবি: সিআইপিআরবির সৌজন্যে

পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সাঁতারকে শিক্ষাক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও তরুণ। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ, যা একটি অনন্য অর্জন।

জাতিসংঘ ঘোষিত ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস-২০২৩’ পালন উপলক্ষে ২১ থেকে ২৫ জুলাই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। প্রতিযোগিতায় সার্বিক সহযোগিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে কথাগুলো বলেন শিক্ষামন্ত্রী। সিআইপিআরবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিতর্ক আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ও উন্নয়ন পরিচালক ম্যাট ক্যানেল বলেন, বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাজ্য। ইউকে এইড ম্যাচ ফান্ড এবং রয়েল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশনের মাধ্যমে ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখানো, ৫ বছর বয়সের নিচের শিশুদের দিবাযত্ন কেন্দ্রে রাখা এবং কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবকদের ফার্স্ট রেসপন্স ট্রেনিংয়ে সহায়তা করে আসছে তার দেশের সরকার। ভবিষ্যতেও এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সিআইপিআরবির উপনির্বাহী পরিচালক আমিনুর রহমান তাঁর উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের পানিতে ডুবে মৃত্যুর পরিসংখ্যান, বাংলাদেশে সিআইপিআরবি পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণার ফল ও পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, পানিতে ডুবে বাংলাদেশে যে গড়ে প্রতিদিন ৪০ জন শিশু মারা যায়, তা প্রতিরোধে দেশীয় প্রযুক্তি আছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন যে ছয়টি কর্মপন্থা হাতে নিয়েছে, তার তিনটিই সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বই তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা। স্কুলপর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, রানার্সআপ হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল। কলেজ পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ , রানার্সআপ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রানার্সআপ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। সারা দেশ থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নির্বাচিত ৯৬টি দল এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।