‘শত কথার শত গল্প’ চতুর্থ খণ্ডের প্রকাশনা আড্ডা

‘শত কথার শত গল্প’ চতুর্থ খণ্ডের প্রকাশনা আড্ডায় অতিথিরা
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সংগঠন মুক্ত আসরের কার্যালয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলা ভাষার প্রথম ১০০ শব্দের গল্পসংকলন ‘শত কথার শত গল্প’ বইয়ের চতুর্থ খণ্ডের প্রকাশনা আড্ডা।

প্রকাশনা আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এস এ মনসুর আহমেদ, মুক্ত আসরের উপদেষ্টা ফারাহ দিবা আহমেদ, শিক্ষক ফিজার আহমেদ, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদ, সহসভাপতি আশফাকুজ্জামান, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক নাফিজা মৌ, যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা ঈশিতা, সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পয়াড জাতীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হোসাইন মোহাম্মদ জাকি প্রমুখ।

‘শত কথার শত গল্প’ গল্পসংকলনের সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে মুক্ত আসর-স্বপ্ন ’৭১-এর উদ্যোগে ১০০ শব্দের গল্প লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি। ১০০ শব্দের গল্প প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীদের নির্বাচিত লেখা ও প্রতিষ্ঠিত ১০০ লেখকের ১০০টি গল্প নিয়ে “শত কথার শত গল্প” গল্পসংকলনটি প্রকাশ করছি। এবার প্রকাশিত হলো চতুর্থ খণ্ড। ধারণাটি দিন দিন বাংলা ভাষার গল্পপ্রেমীদের ব্যাপকতা পেয়েছে।’

শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও গবেষক পবিত্র সরকার উদ্যোগটি সম্পর্কে বলেন, ‘শত শব্দের মধ্যে গল্প, তার কথা তো শতমুখে বলা দরকার। কাজটা সহজ নয়, শত শতবার চেষ্টা করলে তবে একবার যদি সফল হওয়া যায়। যাঁরা লিখছেন, তাঁদের আমি শত শত প্রশংসা করি। আর আশা করি, তাঁদের সহস্র সহস্র পাঠক-পাঠিকা জুটবে।’

কবি, লেখক ও সংগঠক শামীম আজাদ বলেন, ‘“শত কথার শত গল্প” লিখতে গেলে শত চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। কখনো মনে হতে পারে সংখ্যা গুনে গুনে কাটাকুটির পর যা থাকছে, তাতে গল্পের ব্যায়ামই প্রধান, গল্প পালিয়ে গেছে। যাহোক, আমি মনে করি, এ এক গল্প গল্প খেলা, যা করতে হয় না অবহেলা। আমাদের ভাষা নিয়ে বাংলায় এমন ধরনের উদ্যোগ সত্যি আনন্দ এনে দেয়। তাই শতকণ্ঠে সহস্র শুভেচ্ছা জানাই।’

‘শত কথার শত গল্প’ চতুর্থ খণ্ডের প্রকাশনা আড্ডায় অতিথিরা
ছবি : সংগৃহীত

‘শত কথার শত গল্প’ সংকলনে দুই বাংলার ১০০ লেখক হলেন—কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন, দন্ত্যস রওশন, কবি পল্লব মোহাইমেন, কথাসাহিত্যিক তানজিনা হোসেন, কবি তৈমুর খান, কাজল সেন, মিলনকান্তি বিশ্বাস, গোপালকৃষ্ণ শর্মা, ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, রাজীব হাসান, খায়রুল বাবুই, স্বদেশ রায়, সঞ্জিত দত্ত, সেলিনা শিউলী, সাইদুর রহমান, অম্লানকুসুম চক্রবর্তী, অঞ্জন আচার্য, অর্ণব সান্যাল, তরুণ চক্রবর্তী, তাসনুভা অরিন, অনন্য যারিফ আকন্দ, অর্চনা রাণী সাহা, আবেদা সুলতানা, আবু সাঈদ, আশফাকুজ্জামান, আবদুর রাজ্জাক সরকার, আবদুল্লাহ আল রাফি সরোজ, আলমগীর হোসেন, আনারুল ইসলাম রানা, আশরাফ খান, আহমাদ সুফিয়ান, ইউনুছ আলী আলাল, এম এস এ মনসুর আহমদ, এম আল-মামুন, ঐশ্বর্য মীম, কস্তুরী সাহা, কাজী লুৎফুন্নেসা, কবির কাঞ্চন, খোকন কোড়ায়া, কাশফিয়া নাহিয়ান, জিনাত নাজিয়া, জুবায়ের আহাম্মেদ, জহিরুল আলম পাটোয়ারি, ঝুমকি বসু, ডানা মির্জা, তাসলিম আরিফ, তানভীর তূর্য, তাসদীকুল হক, দীপক সাহা, দীলতাজ রহমান, নুরুন আখতার, নাহার আহমেদ, নুসরাত জাহান, নুসরাত জাহান মিশু, নুরানী ইসলাম, প্রবীর ঘোষ রায়, পূজা পাল, পূর্ণা চকমা, ফরিদা বেগম, ফিরোজা ইয়াসমিন নীলা, ফারুক আহমেদ, ফাহিমা আক্তার, ফাহাদ হোসেন ফাহিম, বঙ্গ রাখাল, মাসুম বিল্লাহ, মাহফুজ রিপন, মাসরুর হাসান আহমেদ, মো. মুহাইমীন আরিফ, মিতালী সরকার, মীর মাইনুল ইসলাম, মৌসুমী বিশ্বাস, মোকাদ্দেস-এ-রাব্বী, মোহাম্মদ ইমরান, মনোয়ার হোসেন, রাজিয়া সুলতানা ঈশিতা, রোকেয়া ইসলাম, রণজিৎ সরকার, রাহিতুল ইসলাম, রনি রেজা, রুকাইয়া সাওম লীনা, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শায়লা রহমান, শরিফুল ইসলাম আকন্দ, শাহরিয়া পিয়াস, শিকদার নূরুল মোমেন, সাহাদাত পারভেজ, সোনিয়া তাসনিম খান, স্বর্ণময়ী সরকার, সাজিদ রহমান, সাজিদ মোহন, সাজেদুল আলম, সাব্বির হোসেন নাফিজ, স্বপ্নীলা চৌধুরী, সোহেল নওরোজ, সুব্রতা ঘোষ রায়, সাহিনা মিতা, হোসাইন মোহাম্মদ জাকি, হাবিবা বেগম ও হাবীব ইমন।

বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। প্রকাশ করেছে স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, প্রচ্ছদ করেছেন নিয়াজ চৌধুরী তুলি, মূল্য ২০০ টাকা। পৃষ্ঠপোষকতায় দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড।